Connect with us

টেলিভিশন

অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

মাসুদ আলী খান (জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯২৯; মৃত্যু: ৩১ অক্টোবর, ২০২৪)

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন। আজ (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার কলাবাগানে নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।

মাসুদ আলী খানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে গ্রামেই তাকে সমাহিত করা হতে পারে।

অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন মাসুদ আলী খান। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়ায় বেশিরভাগ সময় ঘরেই থাকতেন তিনি। স্বাভাবিক হাঁটাচলায় সমস্যার কারণে হুইল চেয়ারই ছিল তার ভরসা।

মাসুদ আলী খান (জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯২৯; মৃত্যু: ৩১ অক্টোবর, ২০২৪)

১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ আলী খান। তার বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মায়ের নাম সিতারা খাতুন।

মাসুদ আলী খান ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিকে উত্তীর্ণ হন। এর দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’ প্রভৃতি।

মাসুদ আলী খান বিভিন্ন দফতরে সরকারি চাকরি করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি।

বড় পর্দায় মাসুদ আলী খান অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘নদী ও নারী’। তার উল্লেখযোগ্য ছবির তালিকায় রয়েছে ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’ প্রভৃতি।

মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ