Connect with us

ওটিটি

আজ রাতে ফারুকী-তিশার ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

ইলহামের জন্মের পর অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার প্রথম সিনেমা, গল্পকার-চিত্রনাট্যকার হিসেবে তার প্রথম কাজ, ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম অভিনয়– ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’তে এমন বেশ কিছু প্রথমের সমন্বয় ঘটেছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের প্রথম সিনেমা এটি। এজন্য তিশা বলেন, ‘যেকোনো প্রথম বিষয় জীবনে অনেক স্পেশাল। তাই সিনেমাটি আমার জন্য অনেক স্পেশাল। যদি আরও কিছু বলতে হয় তাহলে ছোট্ট করে বলবো, সিনেমাটি সকল সন্তানের প্রতি তার মা-বাবার অনুভূতির উপহার।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ আজ (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টায় মুক্তি পাচ্ছে চরকিতে। তার আগে ঢাকার মহাখালীতে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য এর প্রিমিয়ারের আয়োজন করা হয়েছে।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: চরকি)

ফিল্মমেকার ফারহান ও অভিনেত্রী তিথিকে কেন্দ্র করে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র গল্প। বিয়ের অনেক বছর পেরিয়ে যাওয়া সন্তান নিতে সামাজিক চাপে পড়ে তারা। একপর্যায়ে গর্ভধারণ করে তিথি। এরপর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিক বেরিয়ে আসতে থাকে। ৮২ মিনিটের এই সিনেমায় ফারুকী-তিশা ছাড়াও অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবনসহ অনেকে।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: চরকি)

প্রথমবার অভিনয় নিয়ে মিশ্র মনোভাবে আছেন ফারুকী। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন তো কাজ করছি, কখনো ভাবি নাই অভিনয় করবো। সেটাও করা হয়ে গেলো। ফলে এক ধরনের সংকোচ ভাব তো আছেই। একইসঙ্গে উত্তেজনাও কাজ করছে। নিজেদের জীবন ছেঁকে গল্প বের করার মধ্যে একটা ভালনারেবিলিটি আছে। কিন্তু হৃদয় খুঁড়ে বেদনা বের করে আনাই তো শিল্পীর কাজ।’

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

ফারুকী যোগ করেন, ‘নিজের সময়ের সাক্ষী হওয়া ছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে। এখানে সেটাই করার চেষ্টা ছিলো আমাদের। বাবা-মা হিসেবে আমরা বিশেষ কেউ না। সব বাবা-মায়ের গল্পই এক। সন্তানের জন্য সব বাবা-মায়েরই স্পেশাল ত্যাগ, আনন্দ ও বিব্রতকর গল্প আছে। সিনেমাটি যদি তাদের মধ্যে সেসব অনুভূতির কথা মনে করিয়ে দেয় তাহলেই আমরা খুশি হবো।’

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রেদওয়ান রনি বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এই সিনেমা প্রযোজনা করা ছিলো খুব আবেগঘন বিষয়। কেননা আমার জীবনের প্রথম নির্মাণের প্রযোজক ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এবার তার সিনেমা আমি প্রযোজনা করেছি। ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ অন্য সব সিনেমা থেকে খুব স্পেশাল। এতে ফারুকী ভাই প্রথমবার অভিনয় করেছেন। তাকে পর্দায় দেখার জন্য আমরা সবাই মুখিয়ে আছি। এখন অপেক্ষা দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখার।”

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র পোস্টারে নুসরাত ইমরোজ তিশা ও মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: চরকি)

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র চিত্রগ্রহণ করেছেন তাহসিন রহমান, সম্পাদনায় মোমিন বিশ্বাস। কালার গ্রেডিংয়ে ছিলেন দেবজ্যোতি ঘোষ। সাউন্ড ডিজাইনে রিপন নাথ, আবহ সংগীত তৈরি করেছেন পাভেল আরিন। শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন শিহাব নুরুন নবী। সিনেমাটির রূপসজ্জাকর আতিয়া রহমান ও পোশাক পরিকল্পনাকারী ইদিলা ফরিদ তুরিন।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পে ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি ফিল্ম বানাচ্ছেন। পুরো প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র পাশাপাশি তিনি নির্মাণ করেছেন ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ নামের আরেকটি সিনেমা।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র দৃশ্যে নুসরাত ইমরোজ তিশা (ছবি: চরকি)

চরকির সিইও রেদওয়ান রনি বলেন, ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া ছিলো দর্শকদের জন্য আমাদের অনেক বড় প্রতিশ্রুতি। তাদের প্রত্যাশা যেমন বেশি, একইসঙ্গে আমাদের আয়োজন বেশ বড়। আমার আশা, সিনেমাটি দর্শকদের কাছে চমকপ্রদ লাগবে।’

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ