Connect with us

ঢালিউড

নাটকে গান গাওয়াসহ হুমায়ুন ফরীদির প্রথম যা কিছু

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

হুমায়ুন ফরীদি (ছবি: ফেসবুক)

তারকাদের তারকা বিশেষণটি বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কয়েকজনের সঙ্গে মানায়, কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি তাদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর অসামান্য অভিনয় কৌশল থেকে শিখে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের অভিনয়শিল্পীরা। মরণোত্তর একুশে পদক পাওয়া হুমায়ুন ফরীদি মঞ্চনাটক, টেলিভিশন ও সিনেমা জগতের অন্যতম সেরা অভিনেতা ছিলেন। নায়ক-খলনায়ক দুই চরিত্রেই তিনি ছিলেন বর্ণিল। আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) তাঁর প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখা যাক গুণী মানুষটির প্রথম কিছু ঘটনা।

প্রথম অভিনয়
১৯৫২ সালের ২৯ মে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। বাবার চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরতে হয়েছে তাঁকে। ১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জে মহল্লায় ‘এক কন্যার জনক’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন তিনি।

প্রথম মঞ্চনাটক
১৯৬৫ সালে হুমায়ুন ফরীদির কৈশোর কাটে মাদারীপুরে। সেখানে কলেজের বার্ষিক নাট্যোৎসবে ‘মুখোশ যখন খুলবে’ নামের নাটকে অভিনয় করেন। মাদারীপুরের নাট্যাঙ্গনে হুমায়ুন ফরীদির গুরু ছিলেন বাশার মাহমুদ। তার নির্দেশনায় শিল্পী নাট্যগোষ্ঠীতে যুক্ত হন। সংগঠনটির প্রযোজনা কল্যাণ মিত্রের ‘ত্রিরত্ন’ নাটকে রত্ন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথম দর্শকদের সামনে আসেন তিনি।

হুমায়ুন ফরীদি (ছবি: ফেসবুক)

প্রথম নির্দেশনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। ১৯৭৬ সালে জাবি’তে অনুষ্ঠিত নাট্যোৎসবের অন্যতম সংগঠক ছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। তখন ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামের একটি নাটক রচনা ও নির্দেশনার পাশাপাশি এতে অভিনয় করেন তিনি। সেই উৎসবের মাধ্যমে তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিতি পান। এর সুবাদে ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক ছিল। রাজস্থানি গল্প নিয়ে ঢাকা থিয়েটারের ‘ভূত’ নাটকটি নির্দেশনা দেন তিনি।

ঢাকা থিয়েটারে প্রথম অভিনয়
ঢাকা থিয়েটারের মাধ্যমে হুমায়ুন ফরীদির মঞ্চযাত্রা শুরু হয়। শুরুতে চা আনা ও কস্টিউম পরিয়ে দেওয়া পর্যন্ত ছিলো তাঁর কাজ। পরে সেলিম আল দীনের ‘চরকাঁকড়ার ডকুমেন্টারি’ নাটকের প্রোডাকশনে যুক্ত ছিলেন। এরপর তার রচনায় ‘সংবাদ কার্টুন’ নাটকে স্বল্প উপস্থিতির একটি চরিত্রে সুযোগ পান তিনি। সেলিম আল দীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকে তক্ষক ছিলো ঢাকার মঞ্চে তার প্রথম পূর্ণাঙ্গ চরিত্র। ঢাকা থিয়েটারে তাঁর অভিনীত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসি’, ‘কীত্তনখোলা’, ‘ফণিমনসা’, ‘কেরামত মঙ্গল’।

হুমায়ুন ফরীদি (ছবি: ফেসবুক)

প্রথম টিভি নাটক
১৯৯২ সালে মঞ্চের গণ্ডি পেরিয়ে টেলিভিশনে পা রাখেন হুমায়ুন ফরীদি। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর অভিনীত প্রথম নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় ‘নিখোঁজ সংবাদ’। শহীদুল্লা কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় বিটিভির ধারাবাহিক ‘সংশপ্তক’ নাটকে ‘কান কাটা রমজান’ চরিত্রটি দেশজুড়ে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে হুমায়ুন ফরীদি আলোচনায় আসেন।

‘সংশপ্তক’ নাটকে হুমায়ুন ফরীদি ও খলিল

প্রথম গান গাওয়া
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘সমুদ্রে গাঙচিল’ নাটকে ‘দেখা হয় তবুও’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছেন হুমায়ুন ফরীদি। বিটিভির স্টুডিওতে এর রেকর্ডিং হয়। এটাই ছিলো তাঁর প্রকাশিত প্রথম গান। এর কথা লিখেছেন গীতিকবি নজরুল ইসলাম বাবু, সুর ও সংগীতায়োজনে মো. শাহনেওয়াজ। নাটকে গানটি প্রচারের পর দেশজুড়ে সাড়া পড়ে। মোহন খানের রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেন জিয়া আনসারী। নাটকটিতে তিনি ছাড়াও অভিনয় করেন আফজাল হোসেন ও সুবর্ণা মুস্তাফা।

হুমায়ুন ফরীদি (ছবি: ফেসবুক)

প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা
১৯৮৪ সালে তানভীর মোকাম্মেলের ‘হুলিয়া’র মাধ্যমে প্রথমবার সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান হুমায়ুন ফরীদি। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অবলম্বনে সাজানো হয় এটি। এর গল্প ষাটের দশকে প্রগতিশীল সংগঠনের কর্মীদের ওপর পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে হুলিয়া বুকে নিয়ে ঘরছাড়া এক তরুণকে কেন্দ্র করে। কবিতার প্রধান চরিত্র খোকার ভূমিকায় প্রথমবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান আসাদুজ্জামান নূর। এতে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা গেছে হুমায়ুন ফরীদিকে। ২৯ মিনিট দৈর্ঘ্যের হুলিয়ায় আরো আছেন আলী যাকের, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, ইনামুল হক, লিলি চৌধুরী, ডলি আনোয়ারসহ অনেকে। এটি সম্পাদনা করেছেন সাইদুল আনাম টুটুল।

প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা
১৯৮৫ সালে রাষ্ট্রীয় অনুদানে প্রয়াত নির্মাতা শেখ নিয়ামত আলীর ‘দহন’ ছিলো হুমায়ুন ফরীদির প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এতে মুনীর চরিত্রে দারুণ নৈপুণ্যের জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান তিনি। এতে আরো অভিনয় করেছেন বুলবুল আহমেদ, ববিতা, শর্মিলী আহমেদ, প্রবীর মিত্র, ডলি আনোয়ার, রওশন জামিল, আবুল খায়ের, সাইফুদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, সৈয়দ আহসান আলীসহ অনেকে।

হুমায়ুন ফরীদি (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমায় প্রথম খলচরিত্র
শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘সন্ত্রাস’-এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এর মধ্য দিয়ে খলনায়ক হিসেবে তার যাত্রা শুরু হয়। নেতিবাচক চরিত্রে তাঁর মতো খ্যাতি পেয়েছেন খুব কমই। তার অভিনীত সিনেমার তালিকায় রয়েছে সন্ত্রাস, দহন, লড়াকু, দিনমজুর, বীরপুরুষ, বিশ্বপ্রেমিক, আজকের হিটলার, দুর্জয়, শাসন, আঞ্জুমান, আনন্দ অশ্রু, মায়ের অধিকার, আসামি বধূ, একাত্তরের যীশু, প্রাণের চেয়ে প্রিয়, ভালোবাসি তোমাকে, কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি, প্রবেশ নিষেধ, ভণ্ড, ‘ঘাতক’, টাকার অহংকার, অধিকার চাই, মিথ্যার মৃত্যু, বিদ্রোহ চারিদিকে, মনে পড়ে তোমাকে, মাতৃত্ব, টাকা, ব্যাচেলর, জয়যাত্রা, শ্যামল ছায়া, দূরত্ব, চেহারা, আহা!, কী জাদু করিলা।

(বাঁ থেকে) মাসুদ পারভেজ, হুমায়ুন ফরীদি ও মাসুম পারভেজ রুবেল

প্রথম সিনেমা প্রযোজনা
শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘পালাবি কোথায়’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেন হুমায়ুন ফরীদি। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। নারীবাদী হাস্যরসাত্মক গল্প নিয়ে সাজানো হয় এটি। নারী অধিকারের পক্ষে বার্তা দেওয়ায় এই সিনেমা প্রশংসিত হয়। এতে তাঁর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন শাবানা, সুবর্ণা মুস্তাফা, চম্পা, আফজাল হোসেন। তাঁর প্রযোজিত একমাত্র সিনেমা এটি।

প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতা হন হুমায়ুন ফরীদি। ২০১৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পান এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ