Connect with us

ওটিটি

বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষায় চরকির ফিল্ম ‘সাহস’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্য
‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্যে মোস্তাফিজুর নুর ইমরান ও নাজিয়া হক অর্ষা (ছবি: চরকি)

বাগেরহাটের দুই পাশে নদী আর পেছনে জঙ্গল। জীবন এখানে প্রকৃতির মতোই খেয়ালী, ঝড়-ঝঞ্ঝা অবিরাম। এর মাঝেই ফুল হয়ে ফুটতে চায় নীলা-রায়হানের প্রেম। কিন্তু আচমকা ঝড়ে লণ্ডভণ্ড সব। ঘুরে যায় জীবনের কম্পাস। তবুও দমে যায় না তারা। বুকে সাহস নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়, লড়াই করে প্রাণপণ। এমন গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘সাহস’। বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষায় এটি পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ খান।

রায়হান চরিত্র দেখা যাবে মোস্তাফিজুর নুর ইমরানকে। তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে বাগেরহাটেই। তাই ‘সাহস’ নিয়ে তার আবেগের জায়গা একটু যেন বেশি। তিনি বলেন, ‘বাগেরহাট আমার নিজের শহর। অভিনেতা হিসেবে যদি বলি, এই শহরে হেঁটে-চলে অভিনয় করা আমার কাছে ছিল উপভোগ্য। বাগেরহাটের মানুষ কখনও শুটিং দেখেনি, তার ওপর আবার সিনেমা। গোটা শহরের মানুষ শুটিং দেখে খুব মজা পেয়েছে। পুরো কাজ করার সময় পরিবার, বন্ধু ও বাগেরহাটের রেপার্টরি থিয়েটারের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। তাদের সহযোগিতার জন্য কাজটা করার সাহস পেয়েছি।’

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্য

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্যে মোস্তাফিজুর নুর ইমরান ও নাজিয়া হক অর্ষা (ছবি: চরকি)

প্রধান নারী চরিত্রে আছেন নাজিয়া হক অর্ষা। তার কথায়, ‘এমন একটি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ একটি অঞ্চলের চিন্তা-চেতনা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে ফিল্ম নির্মাণ হয় না বললেই চলে।’

বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ বলার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন? অর্ষার উত্তর, ‘বাগেরহাটে গিয়ে জানতে পারি স্থানীয় ভাষায় শুটিং হবে। প্রথমে বেশ ভয়ই পেয়েছি। পরে সবার সহযোগিতায় কাজটা ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি। জানি না দর্শকের কতটুকু ভালো লাগবে। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।’

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্য

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্যে মোস্তাফিজুর নুর ইমরান ও নাজিয়া হক অর্ষা (ছবি: চরকি)

বাগেরহাটের লোকাল ভাষায় কাজ করার জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেছেন- এমন প্রশ্নে অর্ষা বলেন, ‘আমি বাগেরহাটে গিয়ে জানতে পারি সেখানকার লোকাল ভাষায় শুটিং হবে। প্রথমে বেশ ভয়ই পেয়েছি। কিন্তু সবার সহযোগিতায় কাজটা শেষ করেছি। জানি না দর্শকের কতটুকু বভালো লাগবে তবে আমি চেষ্টা করেছি।’

‘সাহস’-এ ভিন্ন একটি চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাসারকে। তিনি বলেন, ‘আমার চরিত্রে উপস্থিতি খুব অল্প সময়। তবে খুব জরুরি ও রহস্যময় চরিত্র এটি। এমন চরিত্রে আমার কাজ করা হয়নি। এখানে গল্প নিজেই হিরো।’

খায়রুল বাসার

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্যে খায়রুল বাসার (ছবি: চরকি)

‘সাহস’ দিয়ে অভিনয়ে পথচলা শুরু করলেন কুন্তল বিশ্বাস বিকু। তিনি বলেন, ‘এবারই প্রথম ফিল্মের কাজ করলাম। দুই-একজন বাদে আমরা সবাই নবীন অভিনেতা। প্রচণ্ড উত্তেজনা, ভয়, সাহস, আবেগ নিয়ে কাজটা করেছি। মোস্তাফিজ নুর ইমরান ভাইয়ের সহযোগিতা থাকায় আমার জন্য কাজটা সহজ হয়েছে। দর্শকের পছন্দ হলেই আমরা সার্থক মনে করবো।’

ঢাকায় বড় হয়েছেন নির্মাতা সাজ্জাদ খান। বাগেরহাটের আঞ্চলিক ভাষা ও ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে ওয়েব ফিল্ম নির্মাণের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি, ‘একদিন রাতে ইমরানের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে ফিল্ম তৈরির পরিকল্পনা করি। তারপর সাহস নিয়ে বানিয়ে ফেললাম। শুরু থেকে ইচ্ছে ছিলো মফস্বলের গল্প দেখাবো। এখন দর্শকদের দেখার পালা।’

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টার

‘সাহস’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টার (ছবি: চরকি)

‘সাহস’ ফিল্মে অভিনয় করেছেন একঝাঁক নতুন ছেলেমেয়ে, যাদের বেশিরভাগই বাগেরহাটের। তারা হলেন খালিদ মাহবুব তূর্য, শাফিন সানি, রাজেশ সেন, রিজিয়া পারভীন, বাবুল রহমান, সাহেদ রানা ও ইমরান হোসাইন ফার্সি।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাচ্ছে ‘সাহস’। আগামীকাল ১৬ জুন রাত ৮টা থেকে দেখা যাবে এটি।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ