Connect with us

টালিউড

‘পদাতিক’: কলকাতায় যাওয়ার সময় আবেগপ্রবণ চঞ্চল

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

মৃণাল সেন ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির পরিচালনায় ‘পদাতিক’ সিনেমার শুটিং করতে কলকাতায় গেলেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এতে কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি। আজ (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই তারকা। সেইসঙ্গে বাবাকে হারানোর শোক ভেসে উঠেছে তার মনের কথায়।

চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, “যখনই কোনো কাজে দেশের বাইরে যাই, বিমান ছাড়ার আগে মা-বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিদায় নিই। আজও যাচ্ছি, কিন্তু… আর কোনোদিন বাবাকে ফোন করে বলা হবে না। জিজ্ঞাসা করা হবে না, বাবা, তোমার জন্য কী আনবো? বাবার একটাই উত্তর ছিলো, ‘চেইনের ঘড়ি।’ শেষবার বাবার জন্য পছন্দ হয়েছিলো বলে একসঙ্গে দুটি ঘড়ি এনেছিলাম। ঘড়ি দুটো আর বাবার হাতে দেওয়া হয়নি। তার আগেই বাবা সকল সময়ের হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে আকাশের তারা হয়ে গেলো। জাগতিক সময়ের বেড়াজাল পেরিয়ে আমাদের বাবা অসীম সময়ের যাত্রী হয়ে গেলেও বাবার ঘড়ির কাটাগুলো এখনও টিকটিক করে আমার ঘরে। আজ রওনা হয়েছি কলকাতার পথে। উদ্দেশ্য ‘মৃনাল সেন’। ‘পদাতিক’…সৃজিত মুখার্জির সিনেমায় অভিনয়।”

গত ১১ জানুয়ারি চঞ্চল চৌধুরী ও সৃজিত মুখার্জিকে শুভকামনা জানিয়েছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। একইসঙ্গে ‘পদাতিক’ সিনেমার প্রচারণামূলক পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি। টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে চঞ্চল, সৃজিত ও তাদের সিনেমার নাম হ্যাশট্যাগে জুড়ে দিয়েছেন বিগ বি।

দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী লিখেছেন, “কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ‘পদাতিক’-এর জন্য তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে শুভকামনা জানিয়েছেন একসপ্তাহ আগেই। তাঁর প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম ও কৃতজ্ঞতা। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা ও আশীর্বাদ। আমার শুভানুধ্যায়ীরা অনেকেই অমিতাভজি’র সেই পোস্ট শেয়ার করে আনন্দ আশীর্বাদের অংশীদারও হয়েছেন।”

চঞ্চল চৌধুরী

কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২৮তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান ও রানি মুখার্জির পাশে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

সম্প্রতি ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী আয়োজনে অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খানের সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। উৎসব থেকে ফিরতেই বাবাকে হারান তিনি। এ কারণে মৃণাল সেনের মতো কিংবদন্তির চরিত্রে অভিনয়ের ঘোষণা, অমিতাভ বচ্চনের শুভকামনাসহ ভক্তদের প্রশংসাসহ কিছুই তার মধ্যে তেমন উচ্ছ্বাস জোগাতে পারেনি।

বাবার সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

চঞ্চল ফেসবুকে আরো লিখেছেন, “বাবার মৃত্যু আমাকে এতটাই মানসিকভাবে দুর্বল করে দিয়েছে যে, কোনো আনন্দেই আমি সান্ত্বনা পাচ্ছি না। কয়েকদিন আগে ‘পদাতিক’-এর ফার্স্টলুক প্রকাশ পাওয়ার পরেও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের উচ্ছ্বাস দেখে আপ্লুত হয়েছি। এত এত মানুষের আশীর্বাদ আর ভালোবাসা নিয়ে যখন নতুন কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে চলেছি, তখন বারবার বাবার মুখটাই চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আর চোখ দুটো বাঁধ না মানা জলে ভরে উঠছে। আমার বিশ্বাস বাবা সব দেখতে পাচ্ছে। তাঁর আশীর্বাদের হাত দুটো আমার মাথায় বুলিয়ে দিচ্ছে।”

চঞ্চলের কথায়, ‘অনেক গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে। সফল হলে আমার সকল শুভাকাঙ্ক্ষী অনেক খুশি হবেন আমার বিশ্বাস। বাবার আশীর্বাদ আর শক্তি এবং সকলের প্রেরণায় এগিয়ে চলি নতুন পথে।’

মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

চলতি বছরের ১৪ মে মৃণাল সেনের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে তৈরি হচ্ছে ‘পদাতিক’। গত বছরের ১৪ মে মৃণাল সেনের জীবনে অনুপ্রাণিত একটি ওয়েব সিরিজ নির্মাণের ঘোষণা দেন সৃজিত মুখার্জি। পরে এটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ‘পদাতিক’ সিনেমার একটি পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন সৃজিত মুখার্জি। এতে দেখা গেছে, একটি বড় রাস্তায় পাজামা-পাঞ্জাবি পরে হেলে আছেন মৃণাল সেন। তার নিচে লেখা ‘পদাতিক’। এতে উল্লেখ রয়েছে চঞ্চল চৌধুরীর নাম। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশনের ব্যানারে তৈরি হবে এটি।

চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

‘পদাতিক’ নামটি মৃণাল সেনের একটি সিনেমার নাম থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)।

‘পদাতিক’ হতে যাচ্ছে কলকাতায় চঞ্চলের প্রথম সিনেমা। এতে তার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন কলকাতার অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে।

‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: হইচই)

গত বছরের আগস্টে ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার পার্ট-১’ দেখে চঞ্চল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন সৃজিত মুখার্জি। কোনো বাক্য উচ্চারণ না করেও সাত পর্বের পুরো সিরিজ জুড়ে অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। যেন কিছু না বলেই কতো কথা বলে দিলেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃজিত লিখেছেন, ‘অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরীর চোখ সংরক্ষণ করলে আগামী প্রজন্ম শিখতে পারবে।’

সৃজিতের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তখন অনেক ভক্ত-দর্শক চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে ভালো গল্পের সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ বানাতে আহ্বান জানান। দুই বাংলার এই দুই প্রতিভার রসায়ন দেখতে উন্মুখ ছিলেন সবাই। তাদের সেই প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে।

টালিউড

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলো ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ও ‘অপরাজিত’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘কাবেরী অন্তর্ধান’ সিনেমায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (ছবি: সুরিন্দর ফিল্মস)

ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশিত হলো। সেরা বাংলা সিনেমার পুরস্কার জিতেছে কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত ‘কাবেরি অন্তর্ধান’ (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়)। অনিক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ জিতেছে সেরা শিল্প নির্দেশনা ও সেরা রূপসজ্জার পুরস্কার। এতে তুলে ধরা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি।

গতকাল (১৬ আগস্ট) নয়াদিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় সিনেমার মধ্য থেকে সেরাদের তালিকা ঘোষণা করা হয়। এবার যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন নিত্যা মেনন ও মানসী পারেখ। ‘কান্তারা’ সিনেমার সুবাদে সেরা অভিনেতার স্বীকৃতি পেয়েছেন কান্নাডা তারকা ঋষভ শেঠি। হিন্দি সিনেমা ‘উনচাই’ নির্মাণের জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন সুরজ বরজাতিয়া। তার সিনেমার সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হয়েছেন নীনা গুপ্তা।

‘অপরাজিত’ সিনেমায় জিতু কমল (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন্স)

সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাসহ সেরা চিত্রনাট্য ও সেরা সম্পাদনা শাখার পুরস্কার পেয়েছে মালায়লাম ভাষায় নির্মিত ‘আত্মাম’। চারটি করে পুরস্কার জিতেছে রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাট জুটির ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা’ ও মনিরত্নম পরিচালিত ‘পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান’। ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘কেসারিয়া’র জন্য সেরা গায়ক হয়েছেন অরিজিৎ সিং। সিনেমাটির গানের জন্য সেরা সুরকার হয়েছেন প্রীতম।

১৯৫৪ সাল থেকে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসে সর্বাধিক আটটি পুরস্কার জিতেছে আমির খান অভিনীত ‘লগান’ (২০০২)।

‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা’ সিনেমায় আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুর (ছবি: ধর্মা প্রোডাকশন্স)

ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিজয়ী তালিকা
সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা: আত্মাম (মালায়লাম)
সেরা অভিনেতা: ঋষভ শেঠি (কান্তারা)
সেরা অভিনেত্রী: মানসী পারেখ (কুছ এক্সপ্রেস), নিত্যা মেনেন (তিরুচিত্রাম্বালাম)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: পবন মালহোত্রা (ফৌজা)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: নীনা গুপ্তা (উনচাই)
সেরা পরিচালক: সুরজ বরজাতিয়া (উনচাই)
সেরা নবাগত পরিচালক: প্রমোদ কুমার (ফৌজা)
সেরা বিনোদনমূলক জনপ্রিয় সিনেমা: কান্তারা (কান্নাডা)
সেরা জাতীয় সংহতিমূলক সিনেমা: কুছ এক্সপ্রেস (গুজরাটি)
সেরা শিশুশিল্পী: শ্রীপাঠ (মল্লিকাপ্পুরাম)
সেরা চিত্রনাট্য: আনন্দ একার্ষি (আত্মাম)
সেরা সংলাপ রচয়িতা: অর্পিতা মুখার্জি, রাহুল ভি ছিত্তেলা (গুলমোহর)
সেরা সংগীত পরিচালক (গান): প্রীতম চক্রবর্তী (ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা)
সেরা সংগীত পরিচালক (আবহ সংগীত): এআর রাহমান (পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান)
সেরা গায়ক: অরিজিৎ সিং (কেসারিয়া, ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা)
সেরা গায়িকা: বোম্বে জয়শ্রী (সৌদি ভেলাক্কা)
সেরা গীতিকবি: নওশাদ সরদার খান (ফৌজা)
সেরা নৃত্য পরিচালক: জানি মাস্টার, সতীশ কৃষ্ণান (তিরুচিত্রাম্বালাম)
সেরা চিত্রগ্রাহক: রবি বর্মণ (পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: নিকি জোশি (কুছ এক্সপ্রেস)
সেরা ভিএফএক্স: ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা
সেরা শিল্প নির্দেশনা: আনন্দ আধ্যা (অপরাজিত)
সেরা সম্পাদনা: মহেশ ভুবনেন্দ (আত্মাম)
সেরা রূপসজ্জা: সোমনাথ কুন্ডু (অপরাজিত)
সেরা শব্দসজ্জা: আনন্দ কৃষ্ণমূর্তি (পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান)
সেরা অ্যাকশন পরিচালনা: আনবুমানি ও আরিভুমানি (কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু)
স্পেশাল মেনশন: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী (গুলমোহর), সংগীত পরিচালক সঞ্জয় সলিল চৌধুরী (কাধিকান)
সেরা সিনেমা (অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস গেমিং ও কমিক): ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা
সেরা হিন্দি সিনেমা: গুলমোহর
সেরা বাংলা সিনেমা: কাবেরি অন্তর্ধান (কৌশিক গাঙ্গুলি)
সেরা কান্নাডা সিনেমা: কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু
সেরা মালায়লাম সিনেমা: সৌদি ভেলাক্কা
সেরা তামিল সিনেমা: পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান
সেরা তেলুগু সিনেমা: কার্তিকেয়া টু
সেরা মারাঠি সিনেমা: ভালভি
সেরা অসমিয়া সিনেমা: এমুথি পুথি
সেরা ওড়িয়া সিনেমা: দামান
সেরা পাঞ্জাবি সিনেমা: বাঘি দি ধী
সেরা তিওয়া সিনেমা: সিকায়সাল

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

শুটিংয়ে এসেই মনামীকে ‘গিন্নি’ ডাকতেন চঞ্চল

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘পদাতিক’ ছবির একটি দৃশ্যে মনামী ঘোষ ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিশেন্স)

সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘পদাতিক’ সিনেমায় ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামী ঘোষ। মৃণাল সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। এবারই প্রথম জুটি বেঁধেছেন তারা। সিনেমাটির ট্রেলারে তাদের রসায়নের কিঞ্চিৎ দেখা গেছে।

মৃণাল সেনের বায়োপিকে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লেগেছে? পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে মনামী বলেন, “চঞ্চল চৌধুরী খুবই ভালো মানুষ। ফ্লোরে শটের ফাঁকে আমরা একসঙ্গে চিত্রনাট্য পড়তাম। এর মধ্যেই ফ্লোরে টুকটাক আড্ডা হতো। মনে আছে, সকালে ফ্লোরে এসেই আমার দিকে তাকিয়ে বলতেন, ‘গুড মর্নিং, গিন্নি। কেমন আছো?’ সবসময় তিনি চরিত্রের মধ্যে থাকতেন।”

গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত হয় ‘পদাতিক’ সিনেমার প্রায় ৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের ট্রেলার। এতে বিভিন্ন দৃশ্যে মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চলের অভিনয় দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইউটিউবে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন্সের চ্যানেলে মন্তব্যের ঘর জুড়ে তার প্রশংসা। ‘পদাতিক’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে।

চঞ্চল চৌধুরী ও মনামী ঘোষ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায় বিদেশে সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’র প্রশংসিত হওয়ার দৃশ্য। এতে সত্যজিতের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে জিতু কমলকে। এটি অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ (২০২২) থেকে নেওয়া। সেই সিনেমায় ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি তুলে ধরা হয়। ‘অপরাজিত’ ও ‘পদাতিক’ দুটি সিনেমারই প্রযোজক ফিরদাউসুল হাসান।

মৃণাল সেন ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

পশ্চিমবঙ্গে ‘পদাতিক’ই চঞ্চল চৌধুরীর প্রথম সিনেমা। এতে মধ্যবয়সী ও পূর্ণবয়স্ক মৃণাল সেন রূপে চঞ্চলকে আর তরুণ মৃণাল সেনের ভূমিকায় থাকছেন সামন্ত কোরাক। ট্রেলারের সবশেষে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন কোরাক সামন্ত। মৃণাল-গীতার একমাত্র পুত্র কুণাল সেনের চরিত্রে আছেন সম্রাট চক্রবর্তী। আরেক কিংবদন্তি ফিল্মমেকার ঋত্বিক ঘটকের ভূমিকায় থাকছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।

‘পদাতিক’ সিনেমার পোস্টারে চঞ্চল চৌধুরী ও কোরাক সামন্ত (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন)

সিনেমার নামটি মৃণাল সেনের বিখ্যাত ট্রিলজির একটি পর্ব থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)। সিনেমায় মৃণাল সেনের শৈশব থেকে শুরু করে ফিল্মমেকিংয়ে আসার ঘটনা ও ব্যক্তিজীবনের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

‘পদাতিক’ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

কলকাতা ও মুম্বাই ছাড়াও ভারতের বাইরে কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছে। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন্স হাউসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন ফিরদাউসুল হাসান ও প্রবাল হালদার। সহ-প্রযোজনায় শুভজিৎ মণ্ডল। নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছে ‘পদাতিক’।

সিনেমাটির মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিং। এতে ব্যবহার হয়েছে প্রয়াত সলিল চৌধুরীর সুর। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছেন কবীর সুমন, রূপঙ্কর বাগচী, সাহানা বাজপেয়ী, দেবায়ন ব্যানার্জি। আবহ সংগীত করেছেন ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলায় ছাত্র আন্দোলন নিয়ে স্বস্তিকার প্রশ্ন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

বাংলাদেশের কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের প্রতি এবং এক রিকশাচালকের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তিনি। তবে শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ হওয়ার পর ঘটে যাওয়া একের পর এক নাশকতার কারণে এই গণবিক্ষোভকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন নায়িকা। বিশেষ করে জলের গান ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এই তারকা।

গতকাল (৮ আগস্ট) ইনস্টাগ্রামে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন গুলি ও মার খেয়েছেন তখন দেশটির নাগরিক না হয়েও তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু দুই দিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, নারীদের নিগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুণী শিল্পী রাহুলের (রাহুল আনন্দ) বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এই দায় বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে নিতে হবে। নিতে হবে তামাম বাংলাদেশিদের।’

স্বস্তিকা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এসবই কি ছিলো কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য? মুক্তিযুদ্ধ তো জেনেছিলাম সকল বাংলাভাষী মানুষের প্রাণের মূল্যের সমান। কীভাবে আপনারা একজন স্বৈরশাসককে হটাতে গিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করলেন? আপনারা সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলেছিলেন। তার প্রথম শর্ত একটি দেশের সংখ্যালঘুদের প্রাণ, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা। সেসব ব্যর্থ হলো।’

রাহুল আনন্দ (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবি করে স্বস্তিকা যোগ করেন, ‘পালাবদলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আপনারা, সবার আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রাণ বুক দিয়ে রক্ষা করুন।’

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সবশেষে নায়িকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আপনাদের স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেবেন না। তরুণদের ত্যাগকে ব্যবহার করে কোনো শক্তি যেন গণহত্যা না চালায়। সেই দায়দায়িত্বও আপনাদের। বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, সংখ্যালঘুদের অধিকার ফিরুক যত শিগগিরই সম্ভব।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ