Connect with us

ওটিটি

সঞ্জয়লীলা বানসালির প্রথম ওয়েব সিরিজে যৌনকর্মী চরিত্রে ছয় নায়িকা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ‘হীরামান্দি’ ওয়েব সিরিজের ছয় নায়িকা (ছবি: নেটফ্লিক্স)

বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা সঞ্জয়লীলা বানসালি প্রথমবার ওয়েব সিরিজ পরিচালনা করছেন। এর নাম রাখা হয়েছে ‘হীরামান্দি’। এতে প্রধান কয়েকটি চরিত্রে দেখা যাবে বলিউডের বিভিন্ন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের। তারা হলেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, শারমিন সিগাল ও সানজিদা শেখ। তাদের রাজকীয় সাজগোজ নিয়ে সাজানো বহুল প্রতীক্ষিত ফার্স্ট লুক টিজার প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতের মুম্বাইয়ে গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে সঞ্জয়লীলা বানসালি বলেন, “১৪ বছর ধরে ‘হীরামান্দি’ আমার ভাবনায় ঘুরপাক খাচ্ছে। গল্পটি আমার মনে বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে। সিরিজটির নারী চরিত্ররা নিজের ভুবনে রানি। গল্পে এসব ঐতিহাসিক চরিত্রকে আধুনিক ঢঙে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। দৃঢ় মনের নারী চরিত্র আমার যেকোনো কাজের ভিত্তি।”

সঞ্জয়লীলা বানসালি ও টেড সারান্ডস (ছবি: টুইটার)

অনুষ্ঠানে আরো ছিলেন নেটফ্লিক্সের সহ-সিইও টেড সারান্ডস। সিরিজটির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমেরিকা থেকে ভারতে উড়ে এসেছেন তিনি। নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘হীরামান্দি’।

১৯৪০ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল পটভূমিতে ধনী খদ্দের থাকা আট যৌনকর্মীর গল্পের পরতে পরতে চাকচিক্যময় জেলা হীরামান্দির গোপন সাংস্কৃতিক বাস্তবতা দেখা যাবে এই সিরিজে। এতে থাকছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, পরম্পরা ও ঘরোয়া রাজনীতির সংমিশ্রণ।

সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ‘হীরামান্দি’ ওয়েব সিরিজের ছয় নায়িকা (ছবি: নেটফ্লিক্স)

সঞ্জয়লীলা বানসালি উল্লেখ করেছেন, ভাবনা ও পরিশ্রমের দিক থেকে ‘হীরামান্দি’ তার ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠিন কাজ। তিনি বলেন, ‘এটি অনেকটা আটটি পৃথক সিনেমা নির্মাণের মতো ব্যাপার। প্রতিটি পর্ব যেন একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মতো। পর্দার আকার যাই হোক, কোনো আপস করিনি। সিরিজটির আটজন নারী দুঃসময়ে লড়াই করা, মর্যাদার জন্য অটল থাকা এবং যৌনকর্মীদের কাছে মর্যাদার মানে কী সেইসব গল্প বলতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। যৌনকর্মীদের কাছে মর্যাদা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজটির আট নারী যৌনকর্মী। পর্দার আড়ালে অন্য নারীদের মতো তাদেরও অনেক বেদনা আছে। তারা অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দেয়, তবুও সন্ধ্যায় নাচ-গান করে। তাদের জীবনটা দেখুন, তারা যৌনকর্মী। সমাজে তাদের স্থান থাকে না। সমাজ তাদের কাছে যায়। তারা সমাজের উচ্চবিত্তদের খুশি করে ও বিনোদন দিয়ে আবার অন্ধকার জগতে ফেরে। যৌবন শেষ হলেই তাদের চাহিদা ফুরায়। সবাই ভুলে যায়।’

সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত ‘হীরামান্দি’ ওয়েব সিরিজের ছয় নায়িকা (ছবি: নেটফ্লিক্স)

নারীকেন্দ্রিক কাজ বেশি করা প্রসঙ্গে সঞ্জয়লীলা বানসালি বলেন, ‘বলিউডের কিংবদন্তি নির্মাতা রাজ কাপুর, যশ চোপড়া, মেহবুব খান, বিমল রায়, গুরু দত্ত ও ভি. শান্তারামের কাজে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তারা জানতেন, পুরুষের স্রষ্টা হলো নারী। তাই সাহিত্য ও সিনেমাসহ শিল্পের সবক্ষেত্রে তাকে স্থান দেওয়া প্রয়োজন। তারা বরাবরই নারীদের গল্প বলেছেন পর্দায়।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ সিনেমার দারুণ সাফল্যের পর দর্শকরা সঞ্জয়লীলা বনসালির পরবর্তী কাজ দেখার অপেক্ষায়। অবশেষে নীরবতা ভেঙে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন তিনি। এবার ডিজিটাল জগতে নাম লেখাচ্ছেন ৫৯ বছর বয়সী এই নির্মাতা।

ওটিটি

অবশেষে ‘একটি খোলা জানালা’ খুলছে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘একটি খোলা জানালা’র দৃশ্যে তাসনিয়া ফারিণ ও ফারিয়া শামস সেঁওতি (ছবি: কেএস ফিল্মস)

ছোট পর্দার আলেচিত নির্মাতা ভিকি জাহেদের শর্টফিল্ম ‘একটি খোলা জানালা’ অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে। আগামীকাল (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ-এ দেখা যাবে এটি।

অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ গতকাল (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ভিডিও বার্তায় ‘একটি খোলা জানালা’র মুক্তির দিনক্ষণ জানিয়েছেন। এতে নার্স চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসপাতালের নার্সদের হত্যা করা ভয়ংকর এক সিরিয়াল কিলারের গল্প থাকছে এই শর্টফিল্মে।

‘একটি খোলা জানালা’ গত ১৮ জুলাই মুক্তির পরিকল্পনা ছিলো সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে এর মুক্তি স্থগিত রাখা হয়। এরপর ভয়াবহ বন্যায় আরেকবার পেছায় এটি। অবশেষে খুলছে জানালা!

ভিকি জাহেদ (ছবি: ফেসবুক)

গত ৬ জুলাই ‘একটি খোলা জানালা’র ১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের ট্রেলার প্রকাশিত হয়। এতে আরও অভিনয় করেছেন সালহা খানম নাদিয়া, ফারিয়া শামস সেঁওতিসহ অনেকে।

‘একটি খোলা জানালা’য় তাসনিয়া ফারিণ ও সালহা খানম নাদিয়া (ছবি: কেএস ফিল্মস)

প্রয়াত আমেরিকান চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক জেমস ব্রিজেসের গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে অ্যাকশন, থ্রিলার/সাসপেন্স, ক্রাইম ধাঁচের শর্টফিল্ম ‘একটি খোলা জানালা’। কেএস ফিল্মসের প্রযোজনায় এর শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন আলভিরা তাসনিম।

পড়া চালিয়ে যান

ওটিটি

হইচই তুলবে, চরকিতে ঘুরবে ‘তুফান’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: চরকি)

ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ বড় পর্দা কাঁপিয়ে এবার আসছে ছোট পর্দায়। শিগগিরই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সুবিধাজনক সময়ে যত খুশি ততবার উপভোগ করা যাবে দেশ-বিদেশে রেকর্ড গড়া ব্লকবাস্টার সিনেমাটি। হইচই এবং চরকিতে একসঙ্গে মুক্তি পাবে এটি। 

রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’ মুক্তির খবর গতকাল (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিশ্চিত করা হয়েছে। শিগগিরই মুক্তির দিনক্ষণ জানানো হবে।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: চরকি)

‘তুফান’ মুক্তি প্রসঙ্গে হইচই-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর. খান বলেন, “আমাদের দর্শক ও অংশীজনদের মধ্যে ‘তুফান’ হইচইয়ে মুক্তির খবরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করছি। আশা করি, হইচইয়ে ‘তুফান’ উপভোগ করে বিনোদন পাবেন দর্শকরা।”

হইচইয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সৌম্য মুখার্জি বলেন, “আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, বিশ্বব্যাপী ব্লকবাস্টার ‘তুফান’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে হইচইয়ে। হইচইয়ে সম্ভবত এখন পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় ক্যানভাসের সিনেমার প্রিমিয়ার। ‘তুফান’ নিয়ে আমরা শুধু বাংলাদেশের বাজার নয়, বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষি দর্শকদের প্রতি নজর দিচ্ছি।”

‘তুফান’ সিনেমায় মিমি চক্রবর্তী (ছবি: চরকি)

রায়হান রাফির আশা, ‘বড় পর্দায় মুক্তির দিন থেকে ‘তুফান’কে দর্শকরা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, ওটিটিতে মুক্তির পর সেসব অব্যাহত থাকবে। যারা সিনেমাহলে এটি দেখতে পারেননি, ওটিটিতে দেখার মাধ্যমে তাদের সেই অতৃপ্তি ঘুচবে।’

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান ও মাসুমা রহমান নাবিলা (ছবি: চরকি)

তুফান’ সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। তার সঙ্গে পর্দায় নেচে-গেয়ে ও অভিনয়ে দর্শকদের মন কেড়েছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সিনেমাটিতে শাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে আট বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন ‘আয়নাবাজি’ তারকা মাসুমা রহমান নাবিলা।

‘তুফান’ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

সিআইডি আকরাম চরিত্রে দর্শক মাতিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে পর্দায় এসেছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, সালাহউদ্দিন লাভলু, সুমন আনোয়ার, গাউসুল আলম শাওন, হাসনাত রিপন, মানব সাচদেব প্রমুখ।

‘তুফান’ সিনেমায় মিমি চক্রবর্তী (ছবি: চরকি)

সিনেমাটিতে গান রয়েছে পাঁচটি। সবই দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এরমধ্যে আকাশ সেনের কথা, সুর ও সংগীতে ‘দুষ্টু কোকিল’ ইউটিউবে ২০ কোটির বেশিবার দেখা হয়েছে। এটি গেয়েছেন দিলশাদ নাহার কনা ও আকাশ। সিনেমাটির টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন আরিফ রহমান জয়। এতে র‍্যাপ করেছেন রাপাস্তা দাদু। এর কথা লিখেছেন তাহসান শুভ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় নাভেদ পারভেজ। আইটেম গান ‘লাগে উরাধুরা’ গেয়েছেন প্রীতম হাসান ও দেবশ্রী অন্তরা। এটি লিখেছেন শরিফ উদ্দিন ও রাসেল মাহমুদ। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন রাজ্জাক দেওয়ান ও প্রীতম হাসান। ‘ফেঁসে যাই’ শিরোনামের গান গেয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ। এর কথা লিখেছেন তন্ময় পারভেজ, সুর ও সংগীত পরিচালনায় আরাফাত মহসীন নিধি।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: চরকি)

ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৭ জুন ঢাকাসহ সারাদেশের সিনেমাহলে মুক্তি পায় ‘তুফান’। জুন-জুলাইয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে টিকিট বিক্রিতে হলিউড-বলিউডের সিনেমাকে টপকে শীর্ষে ছিলো ‘তুফান’। দর্শক চাহিদার কারণে মুক্তির আড়াই মাস পরেও অভিজাত এই মাল্টিপ্লেক্সে চালানো হচ্ছে সিনেমাটি।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ভারত, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইডেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, পর্তুগাল, আবুধাবি, বাহরাইন, কাতার ও ওমানের সিনেমাহলে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে ‘তুফান’। গত ২৩ আগস্ট এটি মুক্তি পায় মালয়েশিয়ায়।

‘তুফান’ সিনেমায় শাকিব খান (ছবি: চরকি)

‘তুফান’-এর চিত্রনাট্য লিখেছেন আদনান আদিব খান। চিত্রগ্রহণে তাহসিন রহমান, শিল্প নির্দেশনায় শহীদুন নবী ও পোশাক পরিকল্পনায় ফারজানা সান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওস লিমিটেড। এর ডিজিটাল পার্টনার চরকি এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশব এসভিএফ।

পড়া চালিয়ে যান

ওটিটি

মেহজাবীনের ‘ফরগেট মি নট’ আসছে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘ফরগেট মি নট’ ওয়েব ফিল্মে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: চরকি)

ছোট-বড় দুই পর্দাতেই এখন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত মেহজাবীন চৌধুরী। তার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র ‘সাবা’ যাচ্ছে দেশের বাইরের বড় উৎসবে। এদিকে ওয়েব ফিল্ম ‘ফরগেট মি নট’-এর মুক্তি আসন্ন। সব মিলিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাস তার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি গতকাল (২৯ আগস্ট) রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফরগেট মি নট’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টার শেয়ার দিয়েছে। এর ক্যাপশনে লেখা, ‘হঠাৎ করে নাই হয়ে যাওয়া ছেলেটার ভেতর কী চলছিলো?’

‘ফরগেট মি নট’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টারে ইয়াশ রোহান ও মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: চরকি)

পোস্টারে দেখা যাচ্ছে, মেহজাবীনের সঙ্গে আবেগঘন একটি মুহূর্তে ইয়াশ রোহান। এতে আরো অভিনয় করেছেন বিজরী বরকতউল্লাহ ও ইরফান সাজ্জাদ। রবিউল আলম রবি পরিচালিত ‘ফরগেট মি নট’ চরকিতে মুক্তি পাবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। এর আগে একটি স্কুটির ছবি দিয়ে সাজানো আরেকটি পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে এই ওয়েব ফিল্মের।

‘ফরগেট মি নট’ ওয়েব ফিল্মের পোস্টার (ছবি: চরকি)

‘ফরগেট মি নট’ হলো চরকি’র মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের চতুর্থ ফিল্ম। আগের তিনটি ছিল মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, শিহাব শাহীনের ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ এবং মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মনোগামী’।

‘ফরগেট মি নট’ ওয়েব ফিল্মে ইয়াশ রোহান ও মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: চরকি)

এদিকে ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের (টিআইএফএফ) ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত ‘সাবা’। এটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের মাকসুদ হোসেন। দুইজনেরই এটি বড় পর্দার জন্য নির্মিত প্রথম সিনেমা। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর টরন্টো উৎসবে ‘সাবা’র বিশ্ব প্রিমিয়ার হবে। উৎসবে ৮ ও ১৪ সেপ্টেম্বর এর আরো দুটি প্রদর্শনী হবে। এরমধ্যে ৮ সেপ্টেম্বরের প্রদর্শনী দর্শকদের সঙ্গে বসে দেখবেন মেহজাবীন।

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নবাগত ও উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র জায়গা পেয়ে থাকে। এবারের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে ‘সাবা’সহ ২৪টি সিনেমা। ৪৯তম টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পর্দা উঠবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। কানাডার টরন্টোতে উৎসব চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

‘সাবা’ সিনেমার শুটিংয়ে মেহজাবীন চৌধুরী ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

গতকাল (২৯ আগস্ট) টরন্টোর পথে উড়াল দিয়েছেন নির্মাতা মাকসুদ হোসেন। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মেহজাবীনের যাওয়ার কথা রয়েছে। ‘সাবা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। তার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রোকেয়া প্রাচী। বাবা নিখোঁজ হওয়ার পর অসুস্থ মাকে নিয়ে সাবার জীবনসংগ্রামকে পর্দায় তুলে ধরা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে আছে মোস্তফা মন্ওয়ার। গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন। আগামী বছরের শুরুর দিকে সিনেমাটি দেশে মুক্তি পাবে।

‘সাবা’ সিনেমার দৃশ্যে মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফিউশন পিকচার্স)

শুধু অভিনয় নয়, ‘সাবা’ প্রযোজনাও করেছেন মেহজাবীন। প্রযোজকের তালিকায় তার পাশাপাশি আছেন আরিফুর রহমান, তামিম আব্দুল মজিদ, ত্রিলোরা খান, মাকসুদ হোসেন ও বরকত হোসেন পলাশ। চিত্রগ্রহণ করেছেন বরকত হোসেন পলাশ। আবহ সংগীতে আম্মান আব্বাসি।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ