Connect with us

স্টার জোন

অভিনেত্রীদের দোকান উদ্বোধনে বাধার ঘটনায় দুই সংগঠন যা বললো

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

(বাঁ থেকে) অপু বিশ্বাস, পরীমণি ও মেহজাবীন চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

মেহজাবীন চৌধুরী, অপু বিশ্বাস, পরীমণি– একের পর এক অভিনেত্রী বিভিন্ন ধরনের দোকান উদ্বোধনের নিমন্ত্রণ পেয়েও শেষ পর্যন্ত একটি মহলের বাধার মুখে পড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। এসব ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে সমালোচনা করলেও শিল্পীদের সংগঠনগুলো ছিলো নিশ্চুপ। অবশেষে বড় পর্দা ও ছোট পর্দার পৃথক দুটি সংগঠন অভিনেত্রীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

টিভি নাটকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম ও সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত করেছে এবং শিল্পীর স্বাধীনতা ও পেশার প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করেছি নারী অভিনয়শিল্পীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা অবগত হয়েছি যে, কয়েকটি স্থানে শুটিং করার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সবই আমাদের স্বাধীন পেশা হিসেবে কর্ম পরিচালনায় শঙ্কা তৈরি করছে। এছাড়া কোনো কোনো সময় কোনো কোনো অভিনয়শিল্পীকে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বিদেশ গমনে বাধা প্রদান করা হয়েছে। যদি কোনো অভিনয়শিল্পী কোনোরকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে। কিন্তু অহেতুক হয়রানি বন্ধ করা না গেলে ভয়, শঙ্কাহীন ও স্বাধীনভাবে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চা করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এতে দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ভিনদেশী ও অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটার আশঙ্কা তৈরি হবে। আমরা এ বিষয়ে সরকার ও যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আশু সমাধান দাবি করছি। এই মুহূর্তে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আগামী দিনের বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও সংস্কৃতিবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণ হোক আমাদের সকলের লক্ষ্য।’

গত ৩১ জানুয়ারি ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অভিনয়শিল্পী সংঘ বাংলাদেশের তৃতীয় বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনটির সদস্যদের সম্মতিক্রমে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক আরমানের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকজন চলচ্চিত্র অভিনয় শিল্পী, নাট্যকর্মী, নারী ফুটবলার, সংগীত শিল্পীদের সাথে সংঘটিত কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটনা ন্যাক্কারজনক ও উদ্বেগের। যা, একজন শিল্পী তথা নাগরিকের স্বাধীনতা ও পেশার প্রতি সরাসরি বাঁধা প্রদানের সামিল। তাই, বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতি এজাতীয় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, আমরা অবগত হয়েছি নারী অভিনয়শিল্পীবৃন্দের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে বাঁধা দেওয়া হয়েছে, কয়েক স্থানে শুটিং করার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়াও, কোন কোন সময়ে কতিপয় অভিনয় শিল্পীকে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বিদেশ গমনে বাঁধা প্রদান করা হয়েছে। যদি কোন অভিনয়শিল্পী অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আইনানুযায়ী বিচার আমাদের কাম্য। কিন্তু, অহেতুক হয়রানি করা স্বাধীনভাবে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার সাথে সাংঘর্ষিক। এতে দেশীয় শিল্প-সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং অপসংস্কৃতির আগ্রাসন বৃদ্ধি পাবে। তাই, উপরোক্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে অভিনয় শিল্পীদের পেশা ও কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানাই।’

গত বছরের নভেম্বরে চট্টগ্রামে মেহজাবীন চৌধুরী পোশাকের শোরুম, গত মাসে টাঙ্গাইলে পরীমণি প্রসাধন পণ্যের দোকান ও ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে অপু বিশ্বাস রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করতে পারেননি একটি মহলের আপত্তির কারণে।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ