Connect with us

বলিউড

অমিতাভ বচ্চনের যে ৭টি ছবি কখনো দেখেননি

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের ৮০তম জন্মদিন আজ ১১ অক্টোবর। ভক্ত, দর্শক ও তারকাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন বলিউডের ‘শাহেনশাহ’। এখানে তার দুর্লভ সাতটি স্থিরচিত্র ও সেগুলোর গল্প রইলো৷

অমিতাভ বচ্চন ও জয়া ভাদুড়ি

** অমিতাভ বচ্চন ও জয়া ভাদুড়ির ছবিটি ‘অভিমান’ সিনেমার শুটিংয়ে তোলা। এটি অমিতাভের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের ব্যবসাসফল সিনেমা। ১৯৭৩ সালে তাদের বিয়ের এক মাস পর এটি মুক্তি পায়। হৃষিকেশ মুখার্জির পরিচালনায় এর গল্পে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুই জনই কণ্ঠশিল্পী। একপর্যায়ে স্বামীর জনপ্রিয়তাকে ছাড়িয়ে যায় স্ত্রী। বোদ্ধাদের চোখে, বড় পর্দায় অমিতাভ-জয়া জুটির সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে এটি অন্যতম।

সুভাষ ঘাই ও অমিতাভ বচ্চন

** বলিউডের শীর্ষস্থানীয় পরিচালক সুভাষ ঘাই ‘দেবা’ সিনেমার জন্য অমিতাভকে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি স্থগিত হয়ে যায়। যদিও কখনো এর কারণ স্পষ্ট হয়নি। অমিতাভ এতে ডাকাত চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। তার অভিনীত নাচনির্ভর একটি গানসহ কিছু দৃশ্যের শুটিং হওয়ার পর থমকে যায় কাজ। আশির দশকের মাঝামাঝি সেই সিনেমার শুটিংয়ে এই ছবিটি তোলা। অমিতাভ ও সুভাষ ঘাই এরপর আর একসঙ্গে কাজ করেননি। ‘দেবা’ তৈরি না হওয়ার পেছনে নিজে দোষ স্বীকার করে সুভাষ ঘাই এক সাক্ষাৎকারে জানান, অমিতাভের সঙ্গে আর কাজ করার সুযোগ পাননি তিনি।

অমিতাভ বচ্চন

** ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভিলেন চরিত্রে রূপদানকারী রঞ্জিতকে চেপে ধরেছেন অমিতাভ বচ্চন। ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বান্ধে হাত’ সিনেমার শুটিংয়ে এটি তোলা। তখন দুই অভিনেতার পেছনে ছিলেন পরিচালক ওপি গয়াল। থ্রিলার ধাঁচের এই সিনেমায় চোর হিসেবে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ। এটি তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের ফ্লপ সিনেমা।

অমিতাভ বচ্চন

** ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জুরমানা’ সিনেমার সেটে তোলা ছবিটিতে অমিতাভ বচ্চন ও অভিনেত্রী রাখীকে দেখা যাচ্ছে। তাদের পেছনে প্রযোজক দেবেশ ঘোষ। হৃষিকেশ মুখার্জির পরিচালনায় এতে প্লেবয় চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ। তারা সব মিলিয়ে আটটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছেন।

অমিতাভ বচ্চন

** অমিতাভ বচ্চন ও ভারতের প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক জল মিস্ত্রির (বাঁয়ে) ছবিটি ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মর্দ’ সিনেমার আউটডোর শুটিংয়ে তোলা। মনমোহন দেশাই পরিচালিত অ্যাকশনধর্মী সিনেমাটি ছিলো হিট। এতে একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন অমিতাভ, যিনি বড় হয়ে সাম্রাজ্য শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন। বোদ্ধাদের চোখে, এই সিনেমায় অমিতাভের আধিপত্য ছিলো অবিসংবাদিত। তাকে গণমানুষের নায়কে পরিণত করার ক্ষেত্রে মনমোহন দেশাইয়ের ভূমিকা ব্যাপক।

অমিতাভ বচ্চন

** অমিতাভ বচ্চনের আরেকটি দুর্লভ স্থিরচিত্র। ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কেতন মেহতার ‘হিরো হিরালাল’ সিনেমার সেটে তোলা এটি। সবার বাঁয়ে পরিচালক, অভিনেত্রী সানজানা কাপুর (ডান থেকে তৃতীয়), কমেডিয়ান জনি লিভার ও প্রযোজক গুল আনন্দ (সবার ডানে)। সিনেমাটির প্রধান নায়ক ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। তাকে দেখা গেছে অটোরিকশা চালক চরিত্রে। উদীয়মান অভিনেত্রী রুপার সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এরপর তারা প্রেমে পড়ে। এতে অমিতাভ ছিলেন অতিথি চরিত্রে। কেতন মেহতার পরিচালনায় ক্যারিয়ারে এই একবারই কাজ করেছেন তিনি।

অমিতাভ বচ্চন

** সুপারহিট সিনেমা ‘কালা পাথর’-এর প্রচারণামূলক একটি স্থিরচিত্রে অমিতাভ বচ্চন। এতে বিজয় পাল সিং চরিত্রে দেখা গেছে তাকে। ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অ্যাকশনধর্মী সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন যশ চোপড়া। এর গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সেলিম-জাভেদ। সেলিম খান ও জাভেদ আখতার জুটির লেখা গল্পে অমিতাভ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সবই সুপারহিট। এ তালিকায় আছে ‘শোলে’ (১৯৭৫), ‘জঞ্জির’ (১৯৭৩), ‘মজবুর’ (১৯৭৪), ‘দিওয়ার’ (১৯৭৫), ‘ঈমান ধরম’ (১৯৭৭), ‘ডন’ (১৯৭৮), ‘ত্রিশূল’ (১৯৭৮), ‘দোস্তানা’ (১৯৮০), ‘শান’ (১৯৮০), ‘শক্তি’ (১৯৮২)।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ