Connect with us

ঢালিউড

আজ নায়করাজের জন্মবার্ষিকী, শ্রদ্ধায় স্মৃতিচারণ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

রাজ্জাক (ছবি: চ্যানেল আই)

দেশীয় সিনেমার নায়করাজ রাজ্জাকের জন্মবার্ষিকী আজ। রুপালি পর্দার কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ভক্ত, দর্শক ও তারকারা।

রাজ্জাকের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন রেখেছে চ্যানেল আই। এরমধ্যে রয়েছে তার পরিচালিত ও অভিনীত সিনেমা ও গান এবং বিশিষ্টজন ও পরিবারের স্মৃতিচারণ।

রাজ্জাক (ছবি: ফেসবুক)

চ্যানেল আইয়ে আজ দুপুর ১২টা ০৫ মিনিটে থাকবে আবদুর রহমানের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় রাজ্জাককে নিয়ে ববিতার স্মৃতিকথা ‘অন্তরঙ্গ ববিতা’। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ‘তারকাকথন’ অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করবেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও রাজ্জাকের ছেলে সম্রাট। বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে দেখানো হবে রাজ্জাক পরিচালিত ‘অভিযান’। এতে তার পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, রোজিনা, অঞ্জনা, জসিম, আহমেদ শরীফ, খলিল প্রমুখ।

আগামীকাল (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে প্রচার হবে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় রাজ্জাক পরিচালিত ‘আয়না কাহিনী’। তার সঙ্গে এতে অভিনয় করেছেন সম্রাট, কেয়া, শতাব্দী ওয়াদুদ, শামস সুমন, লুৎফর রহমান জর্জ প্রমুখ।

রাজ্জাক (ছবি: ফেসবুক)

১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় জন্মগ্রহণ করেন আবদুর রাজ্জাক। আকবর হোসেন ও নিসারুননেছার এই ছেলের অভিনয়ের শুরু কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্বরসতী পূজায় মঞ্চনাটকে। গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। প্রথম অভিনীত নাটক ‘বিদ্রোহী’। কলেজজীবনে ‘রতন লাল বাঙালি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক। এছাড়া কলকাতায় ‘পঙ্কতিলক’ ও ‘শিলালিপি’ নামে আরো দুটি সিনেমায় অভিনয় করেন।

‘জীবন থেকে নেয়া’ সিনেমায় রাজ্জাক ও সুচন্দা (ছবি: ফেসবুক)

১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। ঢালিউডে নায়ক হিসেবে প্রথম সিনেমা জহির রায়হানের ‘বেহুলা’। বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে তিন শতাধিক সিনেমায় দেখা গেছে তাঁকে। তার উল্লে­খযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘আবির্ভাব’, ‘এতটুকু আশা’, ‘ময়নামতি’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘পীচ ঢালা পথ’, ‘নাচের পুতুল’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘বেঈমান’, ‘বাদী থেকে বেগম’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘শুভদা’, ‘টাকা আনা পাই’ প্রভৃতি। নায়ক হিসেবে শেষ সিনেমা ‘মালামতি’। সবশেষ অভিনীত সিনেমা ‘কার্তুজ’ (২০১৪)।

রাজ্জাক (ছবি: ফেসবুক)

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ১৬টি সিনেমা পরিচালনা করেছেন রাজ্জাক। তাঁর প্রথম পরিচালিত সিনেমা ‘অনন্ত প্রেম’ (১৯৭৭)। এছাড়া নিজের প্রতিষ্ঠান রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে সিনেমা প্রযোজনা করেছেন।

‘অনন্ত প্রেম’ সিনেমায় ববিতা ও রাজ্জাক (ছবি: ফেসবুক)

রাজ্জাক পাঁচবার সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এগুলো হলো ‘কী যে করি’ (১৯৭৭), ‘অশিক্ষিত’ (১৯৭৯), ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ (১৯৮৩), ‘চন্দ্রনাথ’ (১৯৮৫) এবং ‘যোগাযোগ’ (১৯৮৯)। তাঁকে নায়করাজ উপাধি দিয়েছিলেন চিত্রালী সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন রাজ্জাক। ২০১৫ সালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে রাজ্জাক (ছবি: ফেসবুক)

২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ৭৬ বছর বয়সে রাজ্জাক পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন। ঢাকার বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাঁকে। স্ত্রী খাইরুন্নেছা এবং পাঁচ সন্তান রেজাউল করিম বাপ্পারাজ, নাসরিন পাশা শম্পা, রওশন হোসেন বাপ্পি, আফরিন আলম ময়না, খালিদ হোসেইন সম্রাট।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ