Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এসব তথ্য কতটা জানেন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবন (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

বিশ্ব সিনেমার বৃহৎ শোকেস হিসেবে সমাদৃত কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের লালগালিচা সাজানো হয়ে গেছে। ভূমধ্যসাগরের তীরে জমকালো এই আয়োজনে জৌলুস ছড়াবেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, নাটালি পোর্টম্যান ও হ্যারিসন ফোর্ডের মতো হলিউড তারকারা।

৭৬তম কানে থাকছে সিনেমার প্রদর্শনী, সংবাদ সম্মেলন এবং ঝলমলে পার্টি। জেনে নিন কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়ে কিছু তথ্য এবং এবারের আসরে স্বর্ণপামের লড়াইয়ে থাকছে যেসব সিনেমা।

পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবন (ছবি: সিনেমাওয়ালা নিউজ)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল কী, কেন এটি উদযাপন করা হয়?
সিনেমা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব কান। তৎকালীন ফ্যাসিবাদী-প্রভাবিত ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বিকল্প হিসেবে ১৯৩৯ সালে প্রথমবার এর আয়োজন করা হয়। ১৯৩৯ সালের ১ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘোষণার কারণে এটি বাতিল হয়।

১৯৪৬ সাল থেকে প্রতিবছর কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যুদ্ধ শেষের পর প্রথম আসর হয়েছিলো সাগরপাড়ের শহরটির আগেকার পৌর ক্যাসিনোতে। ১৯৪৯ সাল থেকে বর্তমান জেডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে থাকা পালে ক্রজেট ৩৩ বছর উৎসবটির ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার হয়। ১৯৪৮ ও ১৯৫০ সালে অর্থের অভাবে বাতিল হয় কান। ১৯৬৮ সালে ফ্রান্স জুড়ে ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে বাতিল হয়ে যায় কান।

বিভিন্ন আয়োজন অনেক যত্নের সঙ্গে সাজানোর জন্য উৎসবটি দুনিয়াজোড়া গ্রহণযোগ্য। কানে নির্বাচিত সিনেমা অস্কারে গুরুত্ব পায়। এছাড়া কোয়েন্টিন টারান্টিনোর মতো বিখ্যাত পরিচালকদের ক্যারিয়ার গড়ে দিতে কানের ভূমিকা অপরিসীম। পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফিল্ম মার্কেট মার্শে দ্যু ফিল্মে প্রতিবছর অংশ নিয়ে থাকেন সাড়ে ১২ হাজারের বেশি ফিল্ম প্রফেশনাল।

কান কোথায় হয়?
বরাবরের মতো ফ্রান্সের দক্ষিণে উপকূলীয় শহর কানে হতে চলেছে উৎসবটি। পর্যটন শহরটির পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবন এর প্রাণকেন্দ্র। এতে অংশ নিতে পারেন কেবল আমন্ত্রিতরা। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানেই কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল সিলেকশনের আয়োজন থাকে। ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভবনটির সব দেয়াল পুনরায় রাঙাতে চার হাজার লিটার সাদা রঙ লেগেছিলো। এতে রয়েছে ২ হাজার ৩০০ আসনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়ের।

‘জান দ্যু ব্যারি’ সিনেমার দৃশ্যে মাই ওয়েন ও জনি ডেপ (ছবি: হোয়াই নট প্রোডাকশন্স)

৭৬তম কানের সময়সূচি
আজ (১৬ মে) পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনে শুরু হতে যাচ্ছে উৎসবটির ৭৬তম আসর। এবারের উদ্বোধনী সিনেমা ফরাসি ভাষায় নির্মিত ‘জান দ্যু ব্যারি’। এর মাধ্যমে রুপালি পর্দায় প্রত্যাবর্তন করছেন হলিউড সুপারস্টার জনি ডেপ। তার বিপরীতে আছেন মাই ওয়েন। তিনিই এটি পরিচালনা করেছেন।

১২ দিনব্যাপী উৎসবের পর্দা নামবে আগামী ২৭ মে। সমাপনী আয়োজনে দেখানো হবে পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওর ২৭তম সিনেমা ‘এলেমেন্টাল’। উদ্বোধনী ও সমাপনী সিনেমা দুটি রয়েছে অফিসিয়াল সিলেকশনের প্রতিযোগিতার বাইরে।

‘মে ডিসেম্বর’ সিনেমার দৃশ্যে নাটালি পোর্টম্যান ও জুলিয়ান মুর (ছবি: কিলার ফিল্মস)

মূল প্রতিযোগিতার জন্য কোন সিনেমাগুলো বেছে নেওয়া হয়েছে?
কানের অফিসিয়াল সিলেকশনে রয়েছে বিভিন্ন শাখা। এরমধ্যে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত হলো প্রতিযোগিতা। এতে নির্বাচিত সিনেমাগুলো স্বর্ণপামের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এবারের আসরে এই দৌড়ে রয়েছে ২১টি সিনেমা। এগুলো হলো–

* ক্লাব জিরো
পরিচালনা: জেসিকা হাউজনার (অস্ট্রিয়া)

* দ্য জোন অব ইন্টারেস্ট
পরিচালনা: জনাথন গ্লেজার (যুক্তরাজ্য)

* ফলেন লিভস
পরিচালনা: আকি কাউরিসমাকি (ফিনল্যান্ড)

* ফোর ডটারস
পরিচালনা: কাউতার বেন হানিয়া (তিউনিসিয়া)

* অ্যাস্টেরয়েড সিটি
পরিচালনা: ওয়েস অ্যান্ডারসন (যুক্তরাষ্ট্র)

* অ্যানাটমি অব অ্যা ফল
পরিচালনা: জাস্টিন ত্রিয়েত (ফ্রান্স)

* মনস্টার
পরিচালনা: কোরি-এদা হিরোকাজু (জাপান)

* অ্যা ব্রাইটার টুমরো
পরিচালনা: নান্নি মোরেত্তি (ইতালি)

* লাস্ট সামার
পরিচালনা: ক্যাথেরিন ব্রেইয়াত (ফ্রান্স)

* অ্যাবাউট ড্রাই গ্রাসেস
পরিচালনা: নুরি বিলগে জেলান (তুরস্ক)

* লা কিমেরা
পরিচালনা: আলিস রোরওয়াকার (ইতালি)

* দ্য পত-অঁ-ফু
পরিচালনা: ট্র্যান আন হাং (ভিয়েতনাম/ফ্রান্স)

* কিডন্যাপড
পরিচালনা: মার্কো বেলোকিও (ইতালি)

* মে ডিসেম্বর
পরিচালনা: টড হেইন্স (যুক্তরাষ্ট্র)

* ইয়ুথ (স্প্রিং) প্রামাণ্যচিত্র
পরিচালনা: ওয়াং বিং (চীন)

* দ্য ওল্ড ওক
পরিচালনা: কেন লোচ (যুক্তরাজ্য)

* ব্যানেল অ্যান্ড অ্যাদামা
পরিচালনা: রামাতা তুলাই সি (প্রথম সিনেমা, সেনেগাল/ফ্রান্স)

* পারফেক্ট ডেজ
পরিচালনা: ভিম ভেন্ডার্স (জার্মানি)

* ফায়ারব্র্যান্ড
পরিচালনা: কারি আইনুজ (ব্রাজিল)

* ব্ল্যাক ফাইলস
পরিচালনা: জ্যঁ-স্টেফান সোভেয়ার

* হোমকামিং
পরিচালনা: ক্যাথরিন কোরসিনি (ইতালি)

প্রতিযোগিতার বাইরে হলিউডের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন তারকার নতুন সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে কানে। এগুলো হলো মার্টিন স্করসেসির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ (লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও), ‘ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য ডায়াল অব ডেস্টিনি’ (হ্যারিসন ফোর্ড)। এছাড়া শর্ট ফিল্ম এবং আর্ট-হাউস সিনেমাকেন্দ্রিক শাখা আঁ সাঁর্তা রিগা শাখা রয়েছে।

স্বর্ণপাম পুরস্কার (ছবি: টুইটার)

কানের পুরস্কার কী, কারা জিতেছেন?
কানের সর্বোচ্চ পুরস্কার হলো স্বর্ণপাম। অতীতে এটি জিতে নেওয়া সিনেমার তালিকায় উল্লেখযোগ্য– ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘অ্যাপোক্যালিপস নাউ’, ‘পাল্প ফিকশন’, ‘দ্য পিয়ানিস্ট’ এবং ‘প্যারাসাইট’। ইতিহাসে মাত্র দুই নারী স্বর্ণপাম জিতেছেন। তারা হলেন নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন (দ্য পিয়ানিস্ট) ও ফ্রান্সের জুলিয়া দুকুরনো (তিতান)। গত বছর এটি জিতেছে সুইডেনের ‘ট্রায়াঙ্গেল অব স্যাডনেস’। এর পরিচালক রুবেন অস্টলান্ড এবারের আসরে মূল প্রতিযোগিতা শাখার প্রধান বিচারক। সর্বশেষ ৫০ বছর আগে সুইডেন থেকে প্রধান বিচারক ছিলেন অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যান।

কানের অন্যান্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে গ্রাঁ প্রিঁ, জুরি প্রাইজ, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা, সেরা অভিনেত্রী, সেরা চিত্রনাট্য ও সেরা শর্টফিল্ম।

৭৬তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল পোস্টার

অফিসিয়াল পোস্টার কেমন এবং সঞ্চালক কে?
৭৬তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল পোস্টারে স্থান পেয়েছেন বর্ষীয়ান ফরাসি অভিনেত্রী ক্যাথরিন দ্যুনোভ। ১৯৬৮ সালে ‘লা শামাদ’ সিনেমার শুটিংয়ে তোলা হয় তার সাদাকালো ছবিটি। তিনি হলেন কিংবদন্তি ফিল্মমেকার মার্সেলো মাস্ত্রোইয়ান্নির স্ত্রী। তাদের মেয়ে ফরাসি অভিনেত্রী কিয়ারা মাস্ত্রোইয়ান্নি এবারের আসরের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন। ফ্রান্স টেলিভিশন এবং ব্রুট এসব আয়োজন সরাসরি দেখাবে।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: কোন বিভাগে পুরস্কার পেলো কোন সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের বিজয়ী ও বিচারকরা (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সমাপনী হলো। দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যালে গত ১৪ মে এর পর্দা ওঠে। গতকাল (২৫ মে) পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে ১২ দিনের এই আয়োজন সমাপ্ত হলো। একনজরে এবারের পুরো বিজয়ী তালিকা দেখে নিন।

মূল প্রতিযোগিতা
স্বর্ণপাম: আনোরা (শন বেকার, যুক্তরাষ্ট্র)
গ্রাঁ প্রিঁ: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)
জুরি প্রাইজ: এমিলিয়া পেরেস (জ্যাক অদিয়াঁর, ফ্রান্স)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
সেরা অভিনেতা: জেসি প্লেমন্স (কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, যুক্তরাষ্ট্র)
সেরা অভিনেত্রী: সেলেনা গোমেজ, জোয়ি স্যালডানা, আদ্রিয়ানা পাজ, কার্লা সোফিয়া গাসকোন (এমিলিয়া পেরেস)
সেরা পরিচালক: মিগেল গোমেজ (গ্র্যান্ড ট্যুর, পর্তুগাল)
সেরা চিত্রনাট্যকার: কোরালি ফারগাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স, ফ্রান্স)

কারিগরি পুরস্কার
সিএসটি আর্টিস্ট-টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শব্দ): দারিয়া দা’ন্তোনিও (চিত্রগ্রহণ, পার্থেনোপে; ইতালি)
সিএসটি ইয়াং ফিল্ম টেকনিশিয়ান অ্যাওয়ার্ড (শিল্প নির্দেশনা): এভেনিয়া আলেকজান্দ্রোভা (দ্য ব্যালকোনেটস, গ্রিস)

আঁ সাঁর্তে রিগা
সেরা চলচ্চিত্র: ব্ল্যাক ডগ (গুয়ান হু, চীন)
জুরি প্রাইজ: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেতা: আবু সনগারে (দ্য স্টোরি অব সুলেমান, ফ্রান্স)
সেরা অভিনেত্রী: অনসূয়া সেনগুপ্ত (দ্য শেমলেস)
সেরা পরিচালক: রবার্তো মিনারভিনি (ছবি: দ্য ড্যামড, ইতালি), রুঙ্গানো নিয়োনি (ছবি: অন বিকামিং অ্যা গিনি ফাউল, জাম্বিয়া/ওয়েলশ)
ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড: হলি কাউ (লুইস কুরভয়জিয়ের, ফ্রান্স; প্রথম চলচ্চিত্র)
স্পেশাল মেনশন: নোরা (তৌফিক আল জায়দি, সৌদি আরব; প্রথম চলচ্চিত্র)

সম্মানসূচক স্বর্ণপাম
সম্মানসূচক স্বর্ণপাম: মেরিল স্ট্রিপ, স্টুডিও জিবলি, জর্জ লুকাস

গোল্ডেন ক্যামেরা
ক্যামেরা দ’র: হল্ফদান উলমন তন্দেল (আরমান্ড, নরওয়ে; আঁ সাঁর্তে রিগা)
স্পেশাল মেনশন: মংগ্রেল (চাং ওয়ে লিয়েং, ইউ চাও ইন, তাইওয়ান)

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
স্বর্ণপাম: দ্য ম্যান হু কুড নট রিমেইন সাইলেন্ট (নেবোজা স্লিজেপসেভিক, ক্রোয়েশিয়া)
স্পেশাল মেনশন: ব্যাড ফর অ্যা মোমেন্ট (দানিয়েল সোয়ারিস, পর্তুগাল)

লা সিনেফ
প্রথম পুরস্কার: সানফ্লাওয়ার্স ওয়্যার দ্য ফার্স্ট ওয়ানস টু নো (চিদানন্দ এস নায়েক, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-এফটিআইআই; ভারত)
দ্বিতীয় পুরস্কার: আউট দ্য উইন্ডো থ্রো দ্য ওয়াল (আচিয়া সেগালোভিচ, কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি; যুক্তরাষ্ট্র), দ্য কেওস শি লেফট বিহাইন্ড (নিকোস কোলিয়োকোস, অ্যারিস্টোটল ইউনিভার্সিটি অব থেসালোনিকি; গ্রিস)
তৃতীয় পুরস্কার: বানিহুড (মানসী মহেশ্বরী, ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্কুল-এনএফটিএস; যুক্তরাজ্য)

সেরা ইমারসিভ পুরস্কার
কালার্ড (তানিয়া দ্যু মনতেইন, স্টেফানে ফোনকিনোস, পিয়েরে-আঁলা জিরু; ফ্রান্স)

মুক্ত পুরস্কার
ফিপরেসি
মূল প্রতিযোগিতা: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
আঁ সাঁর্তে রিগা: দ্য স্টোরি অব সুলেমান (বরিস লোজকাইন, ফ্রান্স)
প্যারালাল শাখা (ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট): ডেজার্ট অব নামিবিয়া (ইয়োকো ইয়ামানাকা, জাপান)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
জুরি প্রাইজ: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)

ক্রিটিকস’ উইক
গ্র্যান্ড প্রাইজ: সায়মন অব দ্য মাউন্টেন (ফেদেরিকো লুইস, আর্জেন্টিনা)
ফ্রেঞ্চ টাচ জুরি প্রাইজ: ব্লু সান প্যালেস (কনস্ট্যান্স সাং, যুক্তরাষ্ট্র)
রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড (লুই রোদ্যুরের ফাউন্ডেশন): রিকার্দো তেওদোরো (ছবি: বেবি, ব্রাজিল)
লাইৎজ সিনে ডিসকোভারি প্রাইজ (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): মন্টসুরিস পার্ক (গিল সেলা, ফ্রান্স)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড ফর ডিস্ট্রিবিউশন: জুলি কিপস কোয়ায়েট (লিওনার্দো ফন ডেইল, বেলজিয়াম)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড: লিওনার্দো ফন ডেইল ও রুথ বেকার্ট (ছবি: জুলি কিপস কোয়ায়েট, বেলজিয়াম)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড (স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র): অ্যাবসেন্ট (জেম দেমিরার, তুরস্ক)

ডিরেক্টরস’ ফোর্টনাইট
সেরা ইউরোপিয়ান সিনেমা (ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড): দ্য আদার ওয়ে অ্যারাউন্ড (হোনাস ত্রুয়েবা)
সেরা ফরাসি ভাষার সিনেমা (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): দিস লাইফ অব মাইন (সোফি ফিলিয়ের, ফ্রান্স)
অডিয়েন্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড: ইউনিভার্সেল ল্যাঙ্গুয়েজ (ম্যাথু র‍্যানকিন, কানাডা)
ক্যারোস দ’র: আন্ড্রেয়া আর্নল্ড

লই দ’র (সেরা প্রামাণ্যচিত্র)
গোল্ডেন আই: আরনেস্ট কোল: লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড (রাউল পেক), দ্য ব্রিঙ্ক অব ড্রিমস (নাদা রিয়াদ, আইমান এল আমির)

আর্টহাউস সিনেমাস প্রাইজ
এএফসিএই আর্টহাউস সিনেমা অ্যাওয়ার্ড: দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (মোহাম্মদ রাসুলফ, ইরান)
স্পেশাল মেনশন: অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট (পায়েল কাপাডিয়া, ভারত)

পাম ডগ (সেরা কুকুর অভিনয়শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: কোডি (ডগ অন ট্রায়াল)
গ্র্যান্ড জুরি প্রাইজ: জিন (ব্ল্যাক ডগ)
মাট মোমেন্ট: বার্ড, কাইন্ডস অব কাইন্ডনেস, মেগালোপলিস

কুইয়ার পাম (সমকামী সিনেমা)
সেরা সিনেমা: থ্রি কিলোমিটারস টু দ্য এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
সেরা শর্টফিল্ম: সাউদার্ন ব্রাইডস (এলেনা লোপেজ রিয়েরা)

ট্রফি শপার্ড
শপার্ড ট্রফি: মাইক ফেইস্ট, সোফি ওয়াইল্ড

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: ভারতের পায়েল জিতলেন গ্রাঁ প্রিঁ

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রাঁ প্রিঁ পুরস্কার হাতে পায়েল কাপাডিয়া ও তার সিনেমার তিন অভিনেত্রী (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়ার ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ ইতিহাস গড়লো। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার গ্রাঁ প্রিঁ জিতেছে এই সিনেমা। গতকাল (২৫ মে) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

পায়েল কাপাডিয়ার হাতে পুরস্কার তুলে দেন আমেরিকান অভিনেত্রী ভায়োলা ডেভিস। মঞ্চে তখন ছিলেন কম্পিটিশন শাখার ৯ বিচারক এবং সঞ্চালক ফরাসি কমেডিয়ান ক্যামিল কোঁতা।

গত ২৩ মে কান উৎসবে ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৩০ বছর পর কানের কম্পিটিশন শাখায় দেখা গেলো ভারতীয় সিনেমা। সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে শাজি এন করুণের ‘সোয়াহাম’ কানের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে স্থান করে নেয়।

‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’-এর গল্প কেরালার দুই নার্স প্রভা ও অণুকে কেন্দ্র করে। মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চাকরি করে তারা। দুই জন থাকে একই ঘরে। সাগরপাড়ের শহরে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পর তাদের জীবনে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন কানি কুসরুতি, দিব্যা প্রভা ও ছায়া কদম।

২০১৭ সালে পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার (এফটিটিআই) শিক্ষার্থী হিসেবে পায়েল কাপাডিয়ার শর্টফিল্ম ‘আফটারনুন ক্লাউডস’ কান উৎসবের শিক্ষার্থী নির্মাতাদের শাখা সিনেফঁদাসোতে নির্বাচিত হয়। এরপর ২০২১ সালে কানের প্যারালাল শাখা ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হয় পায়েলের ডকুমেন্টারি ‘অ্যা নাইট অব নোয়িং নাথিং’। এটি সেরা ডকুমেন্টারি হিসেবে গোল্ডেন আই পুরস্কার জিতে নেয়। এবার তার প্রাপ্তির খাতায় যুক্ত হলো আরও বড় স্বীকৃতি।

পড়া চালিয়ে যান

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ৭৭তম আসরের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম জিতলো আমেরিকান সিনেমা ‘আনোরা’। এটি পরিচালনা করেছেন ৫৩ বছর বয়সী শন বেকার। গতকাল (২৫ মে) দক্ষিণ ফ্রান্সে ভূমধ্যসাগরের তীরে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে তার হাতে স্বর্ণপাম তুলে দেন আমেরিকান পরিচালক জর্জ লুকাস।

‘আনোরা’ সিনেমায় মিকি ম্যাডিসন (ছবি: সিআরই ফিল্মস)

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি নাইটক্লাবের একজন নৃত্যশিল্পীকে ঘিরে ‘আনোরা’র গল্প। এতে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা মিকি ম্যাডিসন।

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ