Connect with us

গান বাজনা

জীবন কখনো কখনো অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম: কুমার বিশ্বজিৎ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

কুমার বিশ্বজিৎ (ছবি: ফেসবুক)

সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এখন ভীষণ কঠিন সময় পার করছেন। হঠাৎ ঝড়ে যেন থমকে আছে তার পৃথিবী। জনপ্রিয় এই গায়কের একমাত্র সন্তান নিবিড় কুমার দে আইসিইউতে শয্যাশায়ী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বিপর্যস্ত মানসিক অবস্থার কথা জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘জীবন কখনো কখনো অনেক বড় পরীক্ষার অন্য এক নাম।’

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে অফিসিয়াল পেজে কুমার বিশ্বজিৎ উল্লেখ করেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কানাডার টরন্টো শহরে নিবিড় ও তার তিন বন্ধু আরিয়ান দীপ্ত, শাহরিয়ার খান মাহির ও এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আরিয়ান, মাহির ও শ্রেয়া সবাইকে ছেড়ে অন্য দুনিয়ায় চলে গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন নিবিড়।

কুমার বিশ্বজিৎ লিখেছেন, ‘নিবিড়ের মতোই বাকি তিনজনকে আমি আমার সন্তানই মনে করি। তারা আমার পরিবারেরই একটা অংশ। তাদের সবার সঙ্গেই আমার সম্পর্ক ছিলো বন্ধুতুল্য। আমি মেনে নিতে পারছি না তারা নেই। সন্তান হিসেবেই তাদের স্মৃতি আমার হৃদয়ে চিরজাগ্রত থাকবে। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি আর ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি তিনি যেন আমাদের এই শোক সহ্য করবার শক্তি দেন।’

নিবিড় ও কুমার বিশ্বজিৎ (ছবি: ফেসবুক)

নিবিড়ের সুস্থতার জন্য কুমার বিশ্বজিতের প্রার্থনা, ‘ঈশ্বর যেন আমাকে ও আমার পরিবারের প্রতি দয়াপরবশ হয়ে নিবিড়কে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেন। নিবিড় এখনো আইসিইউতে শয্যাশায়ী। এই আকস্মিক ঘটনায় আমি মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত। আমি আমার সকল বন্ধু, পরিচিতজন এবং ভক্তবৃন্দের কাছে নিবিড়ের জন্য দোয়া/আশীর্বাদ কামনা করছি।’

কুমার বিশ্বজিৎ (ছবি: ফেসবুক)

নিবিড়ের আহত হওয়ার খবর জেনে সংগীতাঙ্গনের অনেকে তার সুস্থতা কামনা করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদের প্রতি কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যে নিবিড়ের সুস্থতা কামনা এবং আমার পরিবারের দুঃসহ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য দোয়া/আশীর্বাদ করেছেন ও করছেন, তাদের কাছে আমি চিরঋণী।’

কুমার বিশ্বজিৎ (ছবি: ফেসবুক)

নিবিড়সহ চারজনই টরন্টোতে স্টুডেন্ট পারমিট ভিসায় পড়াশোনা করছিলেন। দুর্ঘটনার দিন তারা একই গাড়িতে ছিলেন। নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িতে অতিরিক্ত গতিবেগ ছিলো। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে ধাক্কা লেগে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। তবে নিবিড়কে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছেন। তার বয়স ২১ বছর।

কুমার বিশ্বজিৎ (ছবি: ফেসবুক)

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্ত্রী নাঈমা সুলতানাকে নিয়ে কুমার বিশ্বজিৎ ঢাকা থেকে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন। এরপর থেকে উৎকণ্ঠায় সংগীতাঙ্গনের শিল্পীরা।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ