Connect with us

বিশ্বসংগীত

গান গাইতে গাইতে মারা গেলেন কেকে

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

কেকে (ছবি: সংগৃহীত)

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কেকে। তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।

কয়েক ঘণ্টা আগেও যে মানুষটি কলকাতার বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চ মাতাচ্ছিলেন, মাইক্রোফোনে আগুন ধরে যাচ্ছিল যার দরাজ গলার আওয়াজে, তাঁর নিথর দেহ এখন হাসপাতালের বেডে!

মঙ্গলবার (৩১ মে) নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা শহরের প্রথম সারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে।

চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু তাঁর। আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে গায়কের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালায়লাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন কেকে।

প্রয়াত এই তারকার সম্পূর্ণ নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ হলেও তাঁকে বেশিরভাগ মানুষ কেকে নামেই চিনতেন। নয়াদিল্লিতে তাঁর বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা।

জানা যায়, বলিউডে কাজের সুযোগ পাওয়ার আগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জিঙ্গেল গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য ‘জোশ অব ইন্ডিয়া’ গানটি গেয়েছেন তিনি।

১৯৯১ সালে ছোটবেলার ভালোবাসা জ্যোতিকে বিয়ে করেন কেকে। সদ্যপ্রয়াত গায়কের পুত্র নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ বাবার ‘হামসফর’ অ্যালবামে একটি গান গেয়েছেন। তাঁর এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।

কিংবদন্তি গায়ক কিশোর কুমার ছিলেন কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের প্রেরণা। তাঁকে দেখেই মূলত সংগীত জীবনে আসেন তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কেকে জানান, তিনি রাহুল দেব বর্মণ, মাইকেল জ্যাকসন এবং আরও বেশ কয়েকজন পশ্চিমা গায়কের অনুরাগী ছিলেন।

দিল্লির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর মাস ছয়েকের জন্য মার্কেটিং এক্সিকিউটিভের কাজ করেন কেকে। এর কয়েক বছর পর ১৯৯৪ সালে তিনি মুম্বাই পাড়ি দেন বলিউডে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ