গান বাজনা
গীতিকবি গাজী মাজহারুল আনোয়ার মারা গেছেন
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানের রচয়িতা গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর নেই। আজ (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়েছিলেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। সেখানেই মাথা ঘুরে পড়ে জ্ঞান হারান। তার ছেলে উপল আনোয়ার বাবাকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে শোক প্রকাশ করছেন। সিনেমা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, ‘একটা মন খারাপ করা সকাল। একজন কিংবদন্তির বিদায়।’
দেশবরেণ্য গীতিকবি মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান মনে করেন, ‘এ ক্ষতি আর কোনোদিন পূরণ হওয়ার নয়। বাংলা গানের জগত জানে, কখনো তাঁর নাম বিস্মরণযোগ্য নয়।’
কণ্ঠশিল্পী আঁখি আলমগীরের কথায়, ‘এমন গুণীর মৃত্যু হয় না, চোখের আড়ালে চলে যান শুধু। আমি ভাষাহীন।’
গীতিকবি সংঘের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল বলেন, ‘বাংলা গানের কালপুরুষ গাজী মাজহারুল আনোয়ার আর আমাদের মাঝে নেই। আমরা স্তব্ধ। শোকাহত।’
সংগীতশিল্পী পুতুল সাজিয়া সুলতানার চোখে, ‘অন্ধকার এক দিন আজ।’ শোক প্রকাশ করেছে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
কলকাতার সংগীতশিল্পী আকাশ সেন বলেন, ‘গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্যারের লেখা, আমার সুর করা আর গাওয়া ‘পোড়ামন ২’ সিনেমার ‘সুতো কাটা ঘুড়ি’ গানটি আমার জীবনে অনেক বড় প্রাপ্তি। তাঁর সঙ্গে বসে গান বানানোর মুহূর্তটা খুব মনে পড়ছে।’
১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি ১৯৬৪ সাল থেকে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখা শুরু করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে নিয়মিত গান ও নাটক রচনা করতেন। ১৯৬৭ সালে ‘আয়না ও অবশিষ্ট’র মাধ্যমে প্রথমবার সিনেমার জন্য গান লেখেন। তাঁর গীতিকবিতায় কাব্যের সমারোহ, ছন্দের অপূর্ব কারুকাজ ও শব্দের প্রাচুর্য ছিলো নান্দনিক।
‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ ছাড়াও গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’ এবং ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে’ স্থান পেয়েছে বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায়।
তাঁর লেখা অসংখ্য কালজয়ী গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িতে গেলাম’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘আমি ধন্য হয়েছি ওগো ধন্য’, ‘গীতিময় সেইদিন চিরদিন’ প্রভৃতি।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার গীতিকবি সংঘের আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য স্বাধীন দেশের সর্বপ্রথম পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন। এছাড়া জিতেছেন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ছিলেন একাধারে দেশবরেণ্য গীতিকবি, সিনেমা নির্মাতা ও কাহিনিকার। দীর্ঘ ৬০ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ২০ হাজারের বেশি গান রচনা করেছেন। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘নান্টু ঘটক’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে। তিনি মোট ৪১টি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।
-
ছবি ও কথা1 year ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড2 years ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড1 year ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড2 years ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস