Connect with us

টালিউড

জয়া বললেন, ‘ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

ভালোবাসা দিবসে মনের কিছু কথা বলেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। তিনি নিঃস্বার্থ ভালোবাসার জয়গান গেয়েছেন। তার চিন্তাতে উঠে এসেছে তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তসহ সমাজের অসহায় মানুষ ও অসাম্প্রদায়িকতার কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এসব ভাবনা মেলে ধরেছেন এই তারকা।

আজ সকালে ফেসবুকে জয়া আহসান লিখেছেন, ‘আজ ভ্যালেন্টাইন। কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ড অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সবসময় আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সঙ্গত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!’

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

জয়ার চোখে, ‘ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা– ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক।’

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

জয়া মনে করেন, ‘আমরা যদি সত্যিই ভালোবাসতে শিখি, তাহলেই পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়। ফুটপাতে যে বৃদ্ধা রাতে শীতে কাঁপছে, তার জন্য ভালোবাসা। বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরী ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত, তার জন্য ভালোবাসা। ভূমিকম্পে তুরস্কে মা-বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেলো, তার জন্য ভালোবাসা। মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারী, তার জন্য ভালোবাসা। আমরা ভালোবাসি।’

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

এদিকে সম্প্রতি আরো দুই বছরের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জয়া আহসান। তিনি ২০২২ সাল থেকে এই দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শুভেচ্ছাদূত হিসেবে মূলত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা তথা এসডিজি-২০৩০ অর্জনে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সংস্থাটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে সময় দেবেন ‘বিউটি সার্কাস’ তারকা।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

কিছুদিন আগে অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় নিজের প্রথম হিন্দি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন জয়া আহসান। নাম চূড়ান্ত না হওয়া সিনেমাটিতে জয়ার সহশিল্পী পঙ্কজ ত্রিপাঠি। কলকাতা ও মুম্বাইয়ে সিনেমাটির শুটিং হয়েছে। এতে দেখা যাবে সংকটের মুখে একটি পরিবারের একত্রিত হওয়ার হৃদয়ছোঁয়া গল্প।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

গত বছরের ৬ ডিসেম্বর সিনেমার শুটিং শুরুর দিন জয়া আহসান বলেন, ‘এটাই আমার প্রথম হিন্দি সিনেমা। আমার চরিত্রটি দারুণ। এতে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। তাই সম্মতি জানাতে সময় নিইনি। কারণ এর পরিচালক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী এবং অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলাম। প্রথম হিন্দি সিনেমাতে দুইজনকেই পেয়ে আমার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে গেছে।’

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

জয়া ও পঙ্কজ ত্রিপাঠি ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সানজানা সঙ্গী, পার্বতী থিরুভোথুসহ অনেকে। গল্পটি লিখেছেন রিতেশ শাহ, বিরাফ সরকারি ও অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। চিত্রগ্রহণ করছেন অভিক মুখোপাধ্যায়। সংগীত পরিচালনায় শান্তনু মৈত্র। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে এটি।

জয়া আহসান (ছবি: ফেসবুক)

জয়া আহসানের হাতে বাংলাদেশের সিনেমার মধ্যে রয়েছে নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’, আকরাম খান পরিচালিত ‘নকশীকাঁথার জমিন’, পিপলু আর খান পরিচালিত ‘জয়া আর শারমিন’।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ