Connect with us

ঢালিউড

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২: বেশি স্বীকৃতি কোন কোন সিনেমার ঝুলিতে

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

চঞ্চল চৌধুরী

‘হাওয়া’ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

দেশের ৪৭তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলো। এবার এককভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’য় মাছ ধরার বড় নৌকা ‘নয়নতারা’র সরদার চাঁন মাঝি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। এটি সেরা অভিনেতা হিসেবে তার তৃতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘মনপুরা’ (২০০৯) ও ‘আয়নাবাজি’র (২০১৬) জন্য আরো দুইবার সেরা করা হয় তাকে।

এবার যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। আবহমান বাংলার সার্কাস শিল্প নিয়ে মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় সার্কাসকন্যা বিউটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া। এটি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তার পঞ্চম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘গেরিলা’ (২০১১), ‘চোরাবালি’ (২০১২), ‘জিরো ডিগ্রি’ (২০১৫) ও ‘দেবী’র (২০১৮) জন্য আরো চারবার এককভাবে এই সম্মান পেয়েছেন তিনি।

জয়া আহসান

‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় জয়া আহসান (ছবি: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)

অন্যদিকে রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত ‘শিমু’তে পোশাক উৎপাদন কারখানার শ্রমিকের ভূমিকায় মন জয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু। তার অভিনীত সিনেমাটি সর্বাধিক চারটি শাখায় সেরা হয়েছে। এর গল্প ২৩ বছর বয়সী এক তরুণীকে কেন্দ্র করে। সে ঢাকার একটি পোশাক উৎপাদন কারখানার শ্রমিক। কর্মক্ষেত্রে অধিকার ও ন্যায্য পারিশ্রমিক আদায়ের জন্য সহকর্মীদের নিয়ে একটি সংঘ গঠনের চেষ্টা করে মেয়েটি। তার বিশ্বাস, নিজেদের পথ খুঁজে পেতে নারীদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে।

রুবাইয়াত হোসেন এর আগে নিজের পরিচালিত ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’-এর (২০১৬) জন্য সেরা সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরিচালক হিসেবে এবারই প্রথম স্বীকৃতি পেলেন তিনি। ‘শিমু’ তার পরিচালিত তৃতীয় সিনেমা। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের সুবাদে প্রথমবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন রিকিতা নন্দিনী শিমু। তারেক মাসুদের ‘রানওয়ে’র মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তার। ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ ছিলো তার দ্বিতীয় সিনেমা।

‘শিমু’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: খনা টকিজ)

পরিচালক ও অভিনেত্রীর পাশাপাশি ‘শিমু’র জন্য সুজন মাহমুদ সেরা সম্পাদক এবং তানসিনা শাওন সেরা পোশাক ও সাজসজ্জা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

এবার তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ‘পরাণ’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘রোহিঙ্গা’ এবং ‘পায়ের ছাপ’। এরমধ্যে যৌথভাবে সেরা সিনেমা হয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ এবং ‘পরাণ’।

‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ধ্রুপদী চিত্রলোক)

মুহাম্মদ কাইয়ুম প্রযোজিত ও পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’য় বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু ও চাষাবাদের পটভূমিতে মানুষের জীবন, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়িতা মহলানবিশ ও উজ্জ্বল কবির হিমু। তাদের সঙ্গে দারুণ অভিনয়ের জন্য শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ফারজিনা আক্তার। সেরা সিনেমা প্রযোজকের পাশাপাশি সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন মুহাম্মদ কাইউম।

শরিফুল রাজের সঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম

‘পরাণ’ সিনেমার দৃশ্যে শরিফুল রাজের সঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম (ছবি: লাইভ টেকনোলজিস)

রায়হান রাফী পরিচালিত ‘পরাণ’ প্রযোজনা করেছে লাইভ টেকনোলজিস লিমিটেডের তামজিদ উল আলম। সেরা সিনেমা প্রযোজক হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি। ২০২২ সালের ১০ জুলাই মুক্তির পর অভাবনীয় ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে এই সিনেমা। বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার ছায়া অবলম্বনে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে সাজানো হয়েছে এটি।

নাসিরউদ্দিন খান (ছবি: ফেসবুক)

‘পরাণ’ সিনেমায় পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা হয়েছেন নাসির উদ্দিন খান। এটাই তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা মিমি। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘পাপ-পুণ্য’তে চেয়ারম্যানের বাড়ির গৃহকর্মী পারুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। কাহিনির শেষ পর্যায়ে জানা যায়, পারুলের একমাত্র ছেলের বাবা চেয়ারম্যান। এটাই তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

মুনতাহা এমিলিয়া (ছবি: ফেসবুক)

আশুতোষ সুজন পরিচালিত ‘দেশান্তর’ সিনেমার জন্য সেরা খল অভিনেতা সুভাশিষ ভৌমিক এবং দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’-এর সুবাদে সেরা কৌতুক অভিনেতা হয়েছেন দীপু ইমাম। অভিনয়ের জন্য যৌথভাবে সেরা শিশুশিল্পী হয়েছে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘রোহিঙ্গা’ সিনেমার বৃষ্টি আক্তার এবং সাইদুল ইসলাম রানা পরিচালিত ‘বীরত্ব’র মুনতাহা এমিলিয়া।

‘আদর্শ খোলা বই’ গানের মিউজিক ভিডিওতে বাপ্পা মজুমদার (ছবি: আরটিভি)

সংগীত শাখাগুলোর মধ্যে যৌথভাবে সেরা গায়কের স্বীকৃতি পেয়েছেন বাপ্পা মজুমদার ও চন্দন সিনহা। দুই জনেরই এটি দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাপ্পা এর আগে ‘সত্তা’ (২০১৯) সিনেমার জন্য সেরা সুরকার হন। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার ‘এ মন ভিজে যায়’ গানটি এবার সেরা গায়কের সম্মান এনে দিলো। এর কথা লিখেছেন গোধূলি শর্মা, সুর করেছেন অম্লান চক্রবর্তী, সংগীতায়োজনে বব এসএন ও ইমন চৌধুরী।

অন্যদিকে ইস্পাহানি আরিফ জাহান পরিচালিত ‘হৃদিতা’য় কবির বকুলের কথা ও ইমরান মাহমুদুলের সুর-সংগীতে ‘ঠিকানাবিহীন তোমাকে’ গানের জন্য এবার যৌথভাবে সেরা গায়ক হয়েছেন চন্দন সিনহা। ২০১৩ সালে সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’তে কবির বকুলের কথা ও কৌশিক হোসেন তাপসের সুরে ‘আমি নিঃস্ব হয়ে যাবো’ গানটির জন্য এককভাবে সেরা গায়কের পুরস্কার পান তিনি।

আতিয়া আনিসা (ছবি: ফেসবুক)

‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’র জন্য সেরা সংগীত পরিচালক হওয়া শওকত আলী ইমন এবার পেয়েছেন সেরা সুরকারের স্বীকৃতি। ‘পায়ের ছাপ’ সিনেমার ‘এই শহরের পথে পথে’ গানের জন্য এই পুরস্কার যোগ হলো তার নামের পাশে। একই গানের সুবাদে প্রথমবার সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন আতিয়া আনিসা। গানটি লিখেছেন ‘পায়ের ছাপ’-এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম মাননু। একই সিনেমার জন্য সেরা সংগীত পরিচালক হয়েছেন রিপন খান। এটাই তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

রবিউল ইসলাম জীবন (ছবি: ফেসবুক)

‘পরাণ’ সিনেমার ‘ধীরে ধীরে তোর স্বপ্নে’ গানের জন্য সেরা গীতিকার হয়েছেন রবিউল ইসলাম জীবন। এর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী। তার সঙ্গে এটি গেয়েছেন জিনিয়া জাফরিন লুইপা।

রিপন নাথ (ছবি: ফেসবুক)

কারিগরি শাখার মধ্যে ‘হাওয়া’র জন্য সেরা শব্দগ্রাহক হয়েছেন রিপন নাথ। এটি তার পঞ্চম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ‘চোরাবালি’ (২০১২), ‘আয়নাবাজি’ (২০১৬), ‘ঢাকা অ্যাটাক’ (২০১৭) ও ‘ন ডরাই’ (২০১৯) সিনেমার জন্য আরো চারবার এককভাবে এই সম্মান পেয়েছেন তিনি।

যৌথভাবে সেরা কাহিনিকার হয়েছেন ফরিদুর রেজা সাগর (দামাল) ও খোরশেদ আলম খসরু (গলুই)। সেরা সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার জিতেছেন ‘গলুই’ সিনেমার পরিচালক এসএ হক অলিক।

‘রোহিঙ্গা’র জন্য হিমাদ্রি বড়ুয়া সেরা শিল্প নির্দেশক এবং আসাদুজ্জামান মজনু সেরা চিত্রগ্রাহক হয়েছেন। ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার জন্য সেরা রূপসজ্জাকর হয়েছেন খোকন মোল্লা।

এবার ২৭টি শাখায় বেশ কয়েকটি সিনেমা পুরস্কৃত হয়েছে। এস.এম. কামরুল আহসান পরিচালিত ‘ঘরে ফেরা’ সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার স্বীকৃতি পেয়েছে। সেরা প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম খানের ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হবেন ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার নায়ক খসরু এবং চিত্রনায়িকা-নির্মাতা রোজিনা।

কোন সিনেমার ঝুলিতে কয়টি পুরস্কার

  • ৪টি পুরস্কার
    শিমু
  • ৩টি পুরস্কার
    কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া
    পরাণ
    অপারেশন সুন্দরবন
    পায়ের ছাপ
    রোহিঙ্গা
  • ২টি পুরস্কার
    হাওয়া
    গলুই
  • ১টি পুরস্কার
    বিউটি সার্কাস
    পাপ-পুণ্য
    দেশান্তর
    বীরত্ব
    হৃদিতা

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ