Connect with us

ওটিটি

ফারুকীর পরিচালনায় চঞ্চলের সঙ্গে অভিনয়ে জেফার

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির জন্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মাণ করছেন নতুন ফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। এতে মধ্যবয়সী একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে থাকছেন সংগীতশিল্পী জেফার রহমান। এবারই প্রথম অভিনয়ে নাম লেখালেন এই গায়িকা। এটাই ফিল্মটির অন্যতম চমক।

অভিনয় প্রসঙ্গে জেফার বলেন, ‘একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছি। তবে এবার অভিনেত্রী হিসেবে দেখা যাবে আমাকে। আমার জন্য ঘটনাটি নিঃসন্দেহে আনন্দের, তবে চ্যালেঞ্জিংও বটে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় অভিনয় করা এবং সহশিল্পী হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে পাওয়া বলা যায় কিছুটা চাপের এবং একইসঙ্গে রোমাঞ্চকর।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র শুটিংয়ে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জেফার রহমান (ছবি: ফেসবুক)

জেফারকে দিয়ে অভিনয় করানো প্রসঙ্গে ফারুকীর মন্তব্য, ‘জেফার গানের লোক। এটাই তার প্রথম অভিনয়। তাকে পাওয়ার ফলে আমার গল্পটা প্রাণবন্ত হয়েছে।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

চঞ্চলের ব্যাপারে ফারুকীর কথা, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বহু পুরনো। এখনও একই রকম অপ্রতিরোধ্য তিনি। চঞ্চল ভাই তার দুর্দান্ত কারিশমা দিয়ে বিচিত্র মুহূর্তগুলোকে জলবৎ তরলং করে দিয়েছেন।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: চরকি)

চরকিতে চঞ্চলকে নানান চরিত্রে দেখা গেছে। এবারও ব্যতিক্রম চরিত্রে আসছেন তিনি। তার কথায়, ‘২০০৫ সালে ফারুকী ভাইয়ের নির্দেশনায় একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করার মাধ্যমে আমার ক্যারিয়ার ঘুরে যায়। তার সঙ্গে প্রায় ২০ বছরের কাজের সম্পর্ক। ফারুকী ভাইয়ের সব গল্পে আলাদা মাত্রা থাকে। এবারের ফিল্মে দর্শকদের ভাবানোর মতো কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে। নতুন নতুন চরিত্র খুঁজে বেড়ানো আমার নেশা। তাই এতে আমার চরিত্রের লুক, গেট-আপ যথারীতি ভিন্ন।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী (ছবি: চরকি)

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানিয়েছেন, সিনেমাটির ডাকনাম ‘মনোগামী’। আর পুরো নাম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। এতে আরো অভিনয় করেছেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। তারও অভিনয়ে অভিষেক হচ্ছে। এখনো এর শুটিং চলছে।

‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’র শুটিংয়ে চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জেফার রহমান (ছবি: ফেসবুক)

ফিল্মটির নির্মাণ ভাবনা প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “আমার প্রিয় একটি কাজ হলো মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী কী ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগামী’তে অনেকদিন পরে নারী-পুরুষ সম্পর্কের কিছু দিক নিয়ে এরকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। গল্পটি আমাদের মনের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ায়। ফলে এটি হাস্যরস, আবেগ আবার কখনো ট্র্যাজেডির রঙ ধারণ করে, অনেকটা আমাদের জীবনের মতোই!”

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র শুটিংয়ে চঞ্চল চৌধুরী, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জেফার রহমান (ছবি: ফেসবুক)

ফারুকীর কথায়, “ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়াই ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় দেখাতে পেরেছি। এবারের ফিল্মে বিবাহিত ও প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।”

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ ফিল্মটি ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের অংশ। গত ৩ আগস্ট জমকালো অনুষ্ঠানে ১২ জন নির্মাতা ১২টি ভালোবাসার গল্প বলার শপথ গ্রহণ করেন। সবই মুক্তি পাবে চরকিতে। পুরো প্রকল্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছেন পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, ‘দর্শকরা আমার কাছে অনেকদিন ধরে দুটি অভিযোগ-অনুযোগ করছিলো। একটা হলো, প্রেমের বা নারী-পুরুষের সম্পর্কের গল্প করছি না অনেকদিন। দুই, আমার হিউমার ও স্যাটায়ার মিস করছেন তারা। আমি নিজেও এ নিয়ে আমার ভেতরে এক ধরনের ক্ষুধা টের পাচ্ছিলাম। মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পটি আমার সেই ক্ষুধার একটা অংশ মেটাচ্ছে।’

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

‘মনোগামী’ (লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী) ছাড়াও ‘অটোবায়োগ্রাফি’ (সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি) নামের আরেকটি ফিল্ম পরিচালনা করবেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’র দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী ও জেফার রহমান (ছবি: চরকি)

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, “দর্শকদের জন্য খুশির খবর হলো, ইতোমধ্যে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের কয়েকটি ফিল্মের শুটিং শুরু হয়েছে। বাকিগুলোর কাজ শেষের দিকে। এরমধ্যে ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত কিছু হতে যাচ্ছে।”

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ