গান বাজনা
ফিতার ক্যাসেটে জেমসের ছক ভাঙা সেইসব গান
ঝাকড়া চুল। জিন্স-পাঞ্জাবির সঙ্গে গলায় গামছা। নব্বই দশকে নন্দিত রকতারকা জেমসের স্টাইল ছিলো এমন। নাগরিক শ্রোতাদের নানান রঙের গান উপহার দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন নগরবাউল। ফিতার ক্যাসেটে তার গান মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছে শ্রোতারা। বিশেষ করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তরুণদের মনে এই শিল্পী ছাপ ফেলেছেন।
বাংলা ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম কিংবদন্তি জেমস। এখনো ফিতার ক্যাসেটের যুগে প্রকাশিত তার গান তরুণদের মুখে মুখে ফেরে। আজ (২ অক্টোবর) তার জন্মদিনে সেইসব গান ঘুরেফিরে বেজে চলেছে আরও বেশি।
জেমস বরাবরই ছক ভেঙেছেন। গানের কথায় কাব্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন। মলম বিক্রেতা মান্নান মিয়ার মতো গণমানুষের কথা তুলে ধরেছেন গানে। লেইস ফিতা লেইস বিক্রেতা ও রিকশাওয়ালাসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সুরে সুরে। যাত্রাপালার মতো বাংলার লোকজ সংস্কৃতিকে তিনি তুলে ধরেছেন। ‘সুলতানা বিবিয়ানা’ গানে বলেছেন গ্রামীণ সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। ‘দিদিমনি’ গানে পোশাক শ্রমিকদের কথা বলেছেন। মা-বাবাকে নিয়ে গান গেয়ে শ্রোতাদের আবেগপ্রবণ করেছেন। নারীদের এগিয়ে যেতে উৎসাহ জুগিয়েছেন।
কবিতা থেকে গান করেছেন জেমস। কবি শামসুর রাহমানের অনুমতি নিয়ে ‘উত্তর’ কবিতাটি গানে রূপান্তর করেন তিনি। ‘নগরবাউল’ অ্যালবামের ‘আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো’ তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়া লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখা ‘প্যারিসের চিঠি’ কবিতা থেকে সাজানো ‘প্রিয় আকাশী’ তার অন্যতম একটি জনপ্রিয় গান।
গানে রোমান্টিকতা ছাড়াও দেশপ্রেম ছড়িয়েছেন জেমস। প্রিন্স মাহমুদের কথা ও সুরে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ তরুণদের চেতনায় দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে।
১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁয় জন্মগ্রহণ করেন জেমস। বাবা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, যিনি পরবর্তী সময়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছোটবেলা থেকে তিনি শিল্পী হতে চাইতেন। কিন্তু পরিবার গান-বাজনা করা পছন্দ করতো না। গানের কারণে বাবার সঙ্গে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। গানের জন্য বাবার সঙ্গে অভিমান করে কৈশোরে ১৮ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন। চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিংয়ে ৩৬ নম্বর রুমে থাকতে শুরু করেন। সেখানে থেকেই জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রামে বন্ধুদের নিয়ে ফিলিংস ব্যান্ড গড়ে তোলেন। ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয় ফিলিংস ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’। ১৯৮৮ সালে বাজারে আসে জেমসের প্রথম একক অ্যালবাম ‘অনন্যা’। ১৯৯৩ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ সালে ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’, ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অব ফিলিংস’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
পরবর্তী সময়ে ফিলিংস ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে জেমস নতুন নাম দেন ‘নগর বাউল’। এরপর বাজারে আসে ‘দুষ্টু ছেলের দল’ (২০০১) অ্যালবামটি। তার অন্য একক অ্যালবামগুলো হলো ১৯৯৫ সালে ‘পালাবে কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’ (১৯৯৭), ‘ঠিক আছে বন্ধু’ (১৯৯৯), ‘আমি তোমাদেরই লোক’ (২০০৩), ‘জনতা এক্সপ্রেস’ (২০০৫), ‘তুফান’ (২০০৬) এবং ‘কাল যমুনা’ (২০০৮)।
-
ছবি ও কথা1 year ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড2 years ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড1 year ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড2 years ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস