Connect with us

ছবি ও কথা

মরুর শহরে কাতান শাড়িতে মেহজাবীনের কিছু ছবি

অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী সৌদি আরবে রেড সি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চতুর্থ আসরে অংশ নিলেন। উৎসবের প্রতিযোগিতা শাখায় নির্বাচিত মাকসুদ হোসেন পরিচালিত ‘সাবা’র প্রচারণা চালাতে গেছেন তিনি। জেদ্দার প্রাণকেন্দ্র আল-বালাদ শহরের কালচার স্কয়ারে কাতান শাড়িতে বাঙালি নারীর সাজে নজর কেড়েছেন এই তারকা। সেখানে তোলা কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি।

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

গাঢ় নীল কাতান শাড়িতে মেহজাবীন চৌধুরী। এর সঙ্গে ম্যাচিং করে ফুল স্লিভ ব্লাউজ পরেছেন তিনি। তার হাতে নীল রঙের ওয়ালেট। চুল সিঁথি কাটা। কপালে সাদা পাথরের টিপ। কানে নীল ও সাদা পাথরের দুল। মেরুন কালারের লিপস্টিক তার শোভা বাড়িয়েছে।

মেহজাবীন চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘রেড সি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র সিনেমা ‘সাবা’র প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে দারুণ ভালো লাগছে। সাংস্কৃতিক বিনিময় উদযাপন করার সবচেয়ে সমাদৃত একটি উৎসবের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত।’

উৎসবে হলিউডের কয়েকজন তারকার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে মেহজাবীনের। অস্কার মনোনীত ‘ওপেনহাইমার’ খ্যাত ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমিলি ব্লান্টের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন তিনি।

মেহজাবীন চৌধুরীর সেলফিতে উইল স্মিথ ও মাকসুদ হোসেন (ছবি: মেহজাবীন চৌধুরী)

রেড সি: পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রতিযোগিতা শাখায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১৫টি সিনেমার সঙ্গে লড়ছে ‘সাবা’। ৮ ডিসেম্বর, ৯ ডিসেম্বর ও ১৪ ডিসেম্বর সিনেমাটির প্রদর্শনী হবে উৎসবে।

‘সাবা’র মাধ্যমে সিনেমায় নাম লিখিয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এটি পরিচালক মাকসুদ হোসেনের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র। তার সঙ্গে মিলে চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান।

টরন্টো, বুসান ও ইন্দোনেশিয়ার পর সৌদি আরবে গেলো ‘সাবা’। ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিসকোভারি প্রোগ্রামে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে। এরপর অক্টোবরে ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ শাখায় ‘সাবা’র এশিয়ান প্রিমিয়ার হয়েছে। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পায় ‘সাবা’। গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার অল্টারনেটিভা ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়েছে সিনেমাটি।

‘সাবা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক তিনি। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের গল্পটিতে দেখা যায়, ২৫ বছর বয়সী সাবা ঢাকায় মাকে নিয়ে থাকে। তার মা শিরিন একটি দুর্ঘটনার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সংসারের হাল ধরতে চাকরি করে সাবা। এদিকে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। মায়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা কীভাবে জোগাড় করবে সেসব ভেবে দিশেহারা হয়ে যায় সাবা। এরমধ্যে মেয়েটির জীবনে আশার আলো হয়ে আসে অঙ্কুর। ‘সাবা’য় মেহজাবীনের দুই সহশিল্পী মোস্তফা মন্ওয়ার ও রোকেয়া প্রাচী।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ