Connect with us

স্টার জোন

যে পরিস্থিতিতে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন পপি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সাদিকা পারভীন পপি (ছবি: ফেসবুক)

চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন। সম্প্রতি মা ও বোনের সঙ্গে বৈরি সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ্যে আসতে হয়েছে তাকে। কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিজ পরিবারের প্রতারণার চিত্র তুলে ধরেন তিনি। এবার বেরিয়ে এলো তার বিয়ের খবর। আদনান উদ্দিন কামাল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন তিনি। যদিও বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিলো না নায়িকার।

বিয়ের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে পপি জানান, ২০১৯ সালে তার বাসা থেকে অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন তিনি। কিন্তু পরে তাকেই রমনা থানায় ডাকা হয়। তিনি সেখানে গিয়ে দেখেন নিজের মা-বোন বসে আছে। সেদিন পপির সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন আদনান। তখন সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা নিয়ে পারিবারিক জটিলতার মধ্যে পপিকে বন্ধুর মতো সহযোগিতা করেছেন আদনান।

আদনান উদ্দিন কামাল ও সাদিকা পারভীন পপি (ছবি: ফেসবুক)

২০২০ সালে ফের পারিবারিক জটিলতা শুরু হলে মা-বোনের হাত থেকে বাঁচতে কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন পপি। আদনানের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশের সহযোগিতায় নিজের জমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট উদ্ধার করেন তিনি। এমন বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। এর তিন বছর আগে থেকেই তারা একে অপরের চেনাজানা। দুই পরিবারে যাওয়া-আসা ছিলো।

আদনান উদ্দিন কামাল ও সাদিকা পারভীন পপি (ছবি: ফেসবুক)

জানা গেছে, ২০২০ সালের নভেম্বরে বাসায় কাজী ডেকে আদনানের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে জড়ান পপি। তখন তার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তবে বিয়েতে মাকে খবর দেননি তিনি। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে ধানমন্ডিতে থাকতেন এই তারকা। স্বামী যেভাবে চেয়েছে সেভাবেই জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি। অবশ্য নায়িকা হিসেবে ব্যস্ত থাকার সময় পপি বিভিন্ন সময় বলেছিলেন বিয়ের পর সিনেমা ছেড়ে দেবেন।

সাদিকা পারভীন পপি (ছবি: ফেসবুক)

ঢালিউডে ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমার মাধ্যমে যাত্রা শুরুর পর রূপে আর অভিনয় গুণে ভালো অবস্থান গড়েছিলেন পপি। চিত্রনায়ক শাকিল খানের সঙ্গে তার জুটি জনপ্রিয়তা পায়। একসময় শাকিল খান দাবি করেছিলেন, তিনি পপিকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু পপি সেই দাবি অস্বীকার করেন। বাণিজ্যিক সিনেমার পাশাপাশি ‘রানীকুঠির বাকি ইতিহাস’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘গঙ্গাযাত্রা’র মাধ্যমে অভিনয় নৈপুণ্য দেখিয়েছেন তনি। তার ঝুলিতে আছে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ