Connect with us

ঢালিউড

সালমান শাহ: ভালো আছি ভালো থেকো

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ

সালমান শাহ (জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, মৃত্যু: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬)

২৯ বছর আগে রুপালি পর্দায় এসেছিলেন, দেখেছিলেন, জয় করেছিলেন। ২৬ বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এবং অমর হয়ে রইলেন। সালমান শাহের এমন ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব এবং হুট করে নিভে যাওয়া যেন কোনো রূপকথার গল্প। তাকে নিয়ে আজও পত্রিকা ও টিভি চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় যতো উন্মাদনা ছড়ায় সেসব দেখলে বোঝা যায় ক্ষণজন্মা এই মহাতারকার প্রয়াণে দেশীয় সিনেমা কী হারিয়েছে!

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে গেছে সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। তাকে হারানোর শোক এখনও কাটেনি ভক্তদের। তারা ভুলতে পারেননি স্বপ্নের নায়ককে। আজও সবার ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’য় তিনি, তাকেই ‘প্রিয়জন’ মনে করেন তারা। তিনি ছিলেন সবার ‘আশা ভালোবাসা’। তাদের মুখে তাই বারবার শোনা যায়— ‘তোমাকে চাই’! তাকে দর্শকরা রাখেন ‘আনন্দ অশ্রু’তে, ‘অন্তরে অন্তরে’। তাদের এমন নির্মোহ ভালোবাসায় সিক্ত হতে পেরেছেন খুব কম তারকাই।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

প্রথম সিনেমায় বাজিমাত
১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সালমান শাহের প্রথম সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ মুক্তির পর তাকে নিয়ে সোরগোল পড়ে যায়। তিনি এতো সপ্রতিভ ও সহজাত ছিলেন যে বোঝাই যায়নি এটা ছিলো তার প্রথম সিনেমা। এরপরের ইতিহাস সবার জানা। একের পর এক সিনেমা উপহার দিতে থাকেন তিনি। মোট ২৭টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে তার। দুয়েকটি ছাড়া সবই ছিলো সুপারহিট। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে এমন একটি স্থান গড়েছিলেন যে তাঁর অভাব এখনও অনুভব করেন দর্শক-নির্মাতারা।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সব চরিত্রে নতুনত্ব
২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতেই শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টিসহ কয়েকজনের বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। রোমান্টিক ও মেলোড্রামায় বেশি কাজ কারলেও তার চরিত্রে বৈচিত্র্য ছিলো লক্ষণীয়। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই নতুনত্বের স্বাদ দিয়েছিলেন তিনি। তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দিনবদলের ফ্যাশন
সময়কে ছাড়িয়ে যাওয়া স্টাইল দিয়ে বাংলা সিনেমায় সালমান শাহ হয়ে ওঠেন দর্শকদের কাছে নতুনের আবাহন। তার কাউবয় হ্যাট, গগলস, লং কোটে ডিটেকটিভ লুক, হুডি শার্ট, ব্যাক ব্রাশ করা চুল, কানে দুল, ফেড জিন্স, মাথার স্কার্ফ, হাঁটুতে রুমাল বাঁধাসহ সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। তিনি যা করেছিলেন সবই হয়ে উঠেছিল ফ্যাশন।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সিলেটে জন্ম, খুলনায় পড়াশোনা
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়া পাড়াস্থ আবেহায়াত ভবনে জন্মেছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ সালমান শাহরিয়ার ইমন। বাবা কমরউদ্দিন চৌধুরী সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন, মা নীলা চৌধুরী করতেন রাজনীতি, একাধিকবার সংসদ নির্বাচন করেছেন। একমাত্র ছোট ভাই চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরান (ইভান)।

সালমান শাহরিয়ার ইমন পড়াশোনা করেন খুলনার বয়রা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে। ১৯৮৭ সালে তিনি ঢাকার ধানমণ্ডি আরব মিশন স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে এইচএসসি ও ধানমন্ডির ড. মালেকা সায়েন্স কলেজ থেকে বি.কম পাস করেন।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

ছোট পর্দা দিয়ে শুরু
নায়ক হওয়াই যেন ছিলো তার নিয়তি। শুরুতে টিভি নাটকে প্রশংসা কুড়ান। তার অভিনীত নাটকের তালিকায় রয়েছে ‘আকাশ ছোঁয়া’, ‘পাথর সময়’, ‘দেয়াল’, ‘সব পাখি ঘরে ফিরে’, ‘সৈকতে সারস’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘পাথর সময়’, ‘ইতিকথা’ নাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। কয়েকটি পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রে এবং হানিফ সংকেতের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে একটি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হন।

সালমান শাহ

সালমান শাহ ও সামিরা হক (ছবি: ফেসবুক)

ঘর-সংসার
‘তারকা’খ্যাতি পাওয়ার আগেই ১৯৯২ সালের ১২ আগস্ট বিয়ে করেন সালমান শাহ। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটকিপার ও অধিনায়ক শফিকুল হক হীরার মেয়ে সামিরা হকের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। খালার বান্ধবীর মেয়ে হিসেবে তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তিনি ছিলেন একজন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী। সালমানের দুটি সিনেমায় পোশাক পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেন সামিরা। এছাড়া বিভিন্ন সিনেমায় তার স্টাইল ও ফ্যাশন নিয়ে পরামর্শ দিতেন।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

গানপ্রেমী
স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ। মাঝে মধ্যে গানও করতেন পরিবারের বৈঠকি আসরে। নিজের অভিনীত ‘প্রেমযুদ্ধ’ সিনেমায় গেয়েছেন তিনি। গানের প্রতি অন্যরকম ভালোলাগা ছিলো তার। বাজাতে পারতেন গিটার। সিলেট টিভি উদ্বোধনের দিন মায়ের সঙ্গে গিয়ে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রীকে ‘সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা, সোনা নয় যতো খাঁটি’ গানটি গেয়ে শোনান তিনি। আরেকদিন মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ বেতারে। তখন শিশুদের গানের অনুষ্ঠানের রেকর্ডিং হচ্ছিল। প্রযোজক তাকে দিয়ে গাওয়ালেন ‘প্রজাপতি কোথায় পেলে ভাই এমন রঙিন পাখা’ তিনি।

জনপ্রিয় হওয়ার পর ছোট-বড় দুই পর্দার জন্যই গান গেয়েছিলেন সালমান শাহ্। ১৯৯৪ সালে ধারাবাহিক নাটক ‘ইতিকথা’য় গিটার বাজিয়ে গান করেন তিনি। ‘বজ্র যোগিণী’ শিরোনামের গানটি তার কণ্ঠে সামনে বসে শুনেছেন প্রয়াত গোলাম মোস্তফা এবং প্রবীণ অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। একই ধারাবাহিকের আরেকটি দৃশ্যে ‘মা’ বিষয়ক ইংরেজি গান গেয়েছিলেন তিনি।

১৯৯৪ সালেই নিজের অভিনীত ‘প্রেমযুদ্ধ’ ছবির একটি রোমান্টিক গানে কণ্ঠ দেন সালমান শাহ। এর শিরোনাম ‘ও তুমি আমার জীবনে এক স্বপ্ন যেন’। এর কথা মৌলিক হলেও সুরটি বলিউডের ‘১৯৪২: অ্যা লাভ স্টোরির’ ছবিতে কুমার শানুর গাওয়া একটি গানের।

সালমান শাহ

সালমান শাহ (জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১, মৃত্যু: ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬)

ভালো আছি, ভালো থেকো
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে। প্রতি বছর সালমান শাহের মৃত্যুদিনে ভক্তরা তাকে স্মরণ করেন। ভক্তরা আজও আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখে যায়— ভালো আছি, ভালো থেকো সালমান শাহ!

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ