সালমান শাহ স্মরণে শাবনূর, ‘তোমার স্মৃতিগুলো আজো আমায় কাঁদায়’

সালমান শাহ ও শাবনূর (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহ দেশীয় সিনেমায় সুবাতাস বয়ে এনেছিলেন। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে বড় পর্দায় প্রথমবার হাজির হন তিনি। স্বল্প সময়ের ক্যারিয়ারে ধারাবাহিকভাবে ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই ক্ষণজন্মা তারকা। ভক্তদের মতো সহকর্মীরা আজো তাঁর শূন্যতা অনুভব করেন। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) প্রয়াত অভিনেতার প্রয়াণ দিবসে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে স্মরণ করেছেন অনেকে।

সালমান শাহের প্রথম নায়িকা ছিলেন মৌসুমী। তবে শাবনূরের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। সহশিল্পীর ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সঙ্গে তোলা তিনটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর। তার পোস্টে লেখা, ‘কোথায় হারিয়ে গেলে সালমান। তোমার স্মৃতিগুলো আজও আমায় কাঁদায়।’

ফেসবুকে শাবনূর আরো লিখেছেন, ‘অমর নায়ক সালমান শাহের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। দীর্ঘ ২৭ বছর পর এখনো তাঁকে ভুলতে পারেনি চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষ ও তাঁর সমর্থকেরা। যেখানে আছো ভালো থেকো স্বপ্নের নায়ক। তোমার মাগফেরাত কামনা করছি।’

‘জীবন সংসার’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সমন্বয় চলচ্চিত্র)

মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দ্বিতীয়টিতে (তুমি আমার) তাঁর নায়িকা ছিলেন শাবনূর। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ-শাবনূর জুটির অন্য সিনেমাগুলো হলো- ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬), ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

‘চাওয়া থেকে পাওয়া’র শুটিংয়ে সালমান শাহ ও শাবনূর (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর চিরবিদায় নেন সালমান শাহ। ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।