Connect with us

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল

কান ২০২৪: স্বর্ণপাম জয়ী সিনেমা নির্বাচনের প্রধান বিচারক ‘বার্বি’র পরিচালক

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

গ্রেটা গারউইগ (ছবি: এক্স)

বিশ্বব্যাপী ‘বার্বি’ সিনেমার তুমুল সাফল্যের সুবাদে অনেক রেকর্ড গড়েছেন আমেরিকান পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেত্রী গ্রেটা গারউইগ। এবার ৭৭তম কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মূল প্রতিযোগিতা শাখায় বিচারকদের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। স্বর্ণপাম জয়ী সিনেমা নির্বাচনের গুরুদায়িত্ব থাকবে তার কাঁধে। ২০২৪ সালের ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে কানসৈকতে দেখা যাবে তাকে।

গ্রেটা গারউইগকে ‘আধুনিক সময়ের একজন নায়িকা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে কান উৎসবের আয়োজকেরা, যার হাত ধরে সিনেমা জগতের স্থিতাবস্থায় নাড়া পড়েছে।

এক বিবৃতিতে গ্রেটা গারউইগ বলেন, ‘সিনেমা বানাতে, দেখতে এবং সেগুলো নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে ভালো লাগে আমার। অন্ধকার থিয়েটারে বসে অচেনা সবার সঙ্গে নতুন সিনেমা দেখা আমার সবচেয়ে প্রিয় কাজ। একজন সিনেমাপ্রেমী হিসেবে কান আমার কাছে সর্বজনীন ভাষা উপস্থাপন করতে পারা সিনেমার চূড়া। কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের জুরি প্রেসিডেন্ট হতে পেরে আমি অভিভূত, রোমাঞ্চিত ও ধন্য। কানে কী অপেক্ষা করছে সেসব অভিজ্ঞতা নিতে আমার তর সইছে না!’

গ্রেটা গারউইগ (ছবি: কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল)

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে প্রধান বিচারকের আসনে বসবেন ৪০ বছর বয়সী গ্রেটা গারউইগ। ১৯৬৬ সালে উৎসবটির ১৯তম আসরে জুরি প্রেসিডেন্ট হন ইতালির কিংবদন্তি অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন। তখন তার বয়স মাত্র ৩১ বছর।

কানে জুরি প্রেসিডেন্টের তালিকায় নাম লেখানো দ্বিতীয় নারী পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। তার আগে ২০১৪ সালে উৎসবটির ৬৭তম আসরে নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন এই দায়িত্ব পালন করেন।

গ্রেটা গারউইগ (ছবি: এক্স)

প্রথম আমেরিকান নারী পরিচালক হিসেবে কানের প্রধান বিচারক হলেন গ্রেটা গারউইগ। আর দ্বিতীয় আমেরিকান নারী হিসেবে এই দায়িত্ব পেলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে উৎসবটির ১৮তম আসরে অলিভিয়া ডা হাভিলান্ড ছিলেন কানের প্রথম আমেরিকান জুরি প্রেসিডেন্ট।

গ্রেটা গারউইগ (ছবি: এক্স)

গ্রেটা গারউইগ ১৫ বছরেরও কম সময়ের ক্যারিয়ারে আমেরিকান ও আন্তর্জাতিক সিনেমায় নিজের নাম আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মুক্ত আমেরিকান সিনেমা যেমন বানিয়েছেন, তেমনি বক্স অফিসের শীর্ষে উঠেছেন। বৈশ্বিক সেনসেশনে পরিণত হওয়া ‘বার্বি’র সুবাদে বক্স অফিসে বিলিয়ন ডলার ছাড়ানো প্রথম নারী পরিচালক তিনি। তার শুরুটা হয়েছিলো অভিনেত্রী হিসেবে, এরপর চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।

গ্রেটা গারউইগ (ছবি: এক্স)

২০০৮ সালে জোসেফ সোয়ানবার্গের সঙ্গে যৌথভাবে ‘নাইটস অ্যান্ড উইকেন্ডস’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন গ্রেটা গারউইগ। এককভাবে তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘লেডি বার্ড’ ৪৪তম টেল্লরাইড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে দেখানো হয়। এটি ২০১৮ সালের অস্কারে সেরা পরিচালনাসহ পাঁচটি শাখায় মনোনয়ন পেয়েছে। যদিও কোনো পুরস্কার জেতেনি। এরপর ২০১৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লিটল উইমেন’ অস্কারে ছয়টি শাখায় মনোনীত হয় এবং পোশাক পরিকল্পনার জন্য পুরস্কার জিতেছে।

নোয়া বাউমবাক ও গ্রেটা গারউইগ (ছবি: এক্স)

ব্যক্তিজীবনে গ্রেটা গারউইগ দুই পুত্রসন্তানের মা। তার বড় ছেলে ২০১৯ সালের মার্চে এবং ছোট ছেলে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নিয়েছে। তাদের বাবা আমেরিকান পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নোয়া বাউমবাক। ২০১১ সাল থেকে এক ছাদের নিচে কাটছে তাদের জীবন। ‘বার্বি’র চিত্রনাট্য গ্রেটা ও নোয়া মিলে লিখেছেন। তারা থাকেন ম্যানহাটনে।

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ