Connect with us

ঢালিউড

‘পরাণ’ সিনেমার সাফল্য পুরো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য আশীর্বাদ: শরিফুল রাজ

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

রায়হান রাফি পরিচালিত ‘পরাণ’ মুক্তির পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন শরিফুল রাজ। বখাটে এবং প্রেমিক পুরুষ রোমান চরিত্রে তাকে দেখে দর্শকরা অভিভূত। প্রেমে প্রতারিত হওয়া মাস্তানের চরিত্রে সবার মন জয় করেছেন তিনি। ‘পরাণ’ ব্যবসায়িকভাবে সাফল্য পাওয়ার পেছনে তার অনবদ্য নৈপুণ্য অন্যতম। অনেকে মনে করেন, এরকম অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে যেতে পারলে বাংলা সিনেমায় রাজত্ব করতে পারেন তিনি।

শরিফুল রাজ এখন দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে আলোচিত তারকা। তাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক হইচই ও উচ্ছ্বাস। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সবাই। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছে তরুণ এই তারকার নতুন সিনেমা ‘হাওয়া’। ‘পরাণ’ সিনেমার সাফল্য, নিজের সংগ্রামের গল্প ও নতুন সিনেমা প্রসঙ্গে সিনেমাওয়ালা নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি।

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: চারদিকে ‘পরাণ’ সিনেমার জয়জয়কার চলছে। এসব দেখে কেমন অনুভূতি হয়?
শরিফুল রাজ: নিজের অভিনীত কোনো সিনেমা দর্শকদের সাড়া পেলে সত্যি ভালো লাগে। অসংখ্য মানুষ টিকিট কেটে ‘পরাণ’ দেখেছে, তাদের জন্যই মূলত সিনেমায় কাজ করি। এর আগে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছি, সেসবের জন্যও প্রশংসা পেয়েছি। তবে এতটা সাড়া পাইনি। দর্শকমহলে এতো সুন্দরভাবে আমার সিনেমা সাড়া ফেলেছে বলে সত্যি খুব খুশি হয়েছি।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: শুরুতে ১১টি সিনেমা হলে মুক্তি পেলো ‘পরাণ’। দ্বিতীয় সপ্তাহে সেই সংখ্যা পাঁচ গুণ বেড়েছে। এমন অভাবনীয় সাফল্য কি প্রত্যাশা করেছিলেন?
শরিফুল রাজ: না, এতটা প্রত্যাশা ছিলো না। যেহেতু আমরা প্রথমে খুব কম সংখ্যক সিনেমা হল পেয়েছিলাম। এমনকি সিনেপ্লেক্সগুলোতেও আমরা খুব কম শো পাই। কিন্তু প্রথম সপ্তাহে দর্শক যা করে দেখালেন, সেজন্য প্রশংসার দাবিদার তারাই। আমি এমন একটি সিনেমায় কাজ করেছি, যার গল্প ঠিকঠাক ছিলো। তার ওপর রায়হান রাফি খুব ভালো সিনেমা নির্মাণ করে। সবকিছু মিলিয়ে এই সাফল্য ‘পরাণ’ টিম এবং দর্শকদের মাধ্যেমে এসেছে। চতুর্থ সপ্তাহে এসেও ৬০টি সিনেমা হলে চলছে সিনেমাটি। আমাদের এই সাফল্য শুধু আমাদের নয়, পুরো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটা আশীর্বাদ।

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘পরাণ’ সিনেমার সুবাদে দর্শকরা বিশেষ করে নারীরাও হলমুখী হয়েছেন।
শরিফুল রাজ: এটি খুব ভালো দিক। সিনেমাটি স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, মা-বাবা, ভাইবোন, পরিবারসহ প্রতিটি শ্রেণির দর্শক দেখেছে বলেই সাড়া পড়েছে। পরিবার নিয়ে দলবেঁধে সিনেমা দেখার খুব ভালো একটি সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করেছে ‘পরাণ’। সব ধরনের দর্শক সিনেমা হলে এলে এটা সম্ভব হয়। আমি প্রচুর নারীকে সিনেমা হলমুখী হতে দেখেছি। অনেক পরিবারের অংশগ্রহণ দেখলাম।

‘পরাণ’ মুক্তির পর গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি ও আলোচনার জায়গা একটা অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। আমার মনে হয়, সিনেমাটির সাফল্যের আরেকটি বড় দিক হলো সংগীত। গানগুলো মানুষ বেশ পছন্দ করেছে। তাই ওই জায়গা থেকে বেশ সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি। তার ওপর গল্পটা ছিলো সাধারণ, কিন্তু নির্মাণ ও টুইস্ট মিলিয়ে খুব সুন্দর।

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘পরাণ’ সিনেমা নিয়ে সাধারণ দর্শকদের প্রতিক্রিয়া সামনে থেকে দেখেছেন। এরমধ্যে আলাদাভাবে একটি ঘটনার কথা বলুন যা সবসময় মনে পড়বে।
শরিফুল রাজ: সিনেমাটি নিয়ে মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অনেক ঘটনাই মনে রাখার মতো। এমন অনেক দর্শক দেখেছি যারা ১৯৯৮ সালে সবশেষ বাংলা সিনেমা দেখেছিলেন, তারাও ‘পরাণ’-এর জন্য সিনেমা হলে এসেছেন। অর্থাৎ ২০ বছর পর তারা বাংলা সিনেমা দেখলেন। একদল দর্শক পেলাম যারা সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটিতে সিনেমা দেখার জন্য এসেছেন।

এরকম অনেক ঘটনা দেখেছি, যা আমাদের দেশীয় সিনেমার বেলায় বিরল। আশি-নব্বই দশকের দিকে সিনেমার জন্য এমন হতো। পরিবার নিয়ে সিনেমা দেখার একটা হিড়িক পড়তো সেই সময়। ‘পরাণ’কে ঘিরে দর্শক সমাগম বাংলা সিনেমার জন্য একটা উৎসবের মতো। আমি নিজেও বাবা-মা, চাচা-চাচিদের নিয়ে কুমিল্লার একটি ছোট সিনেমা হলে ‘পরাণ’ দেখলাম। বিভিন্ন ধরনের মানুষ সিনেমাটি দেখতে এসেছে, এজন্য আমি আসলে ভাগ্যবান।

সবকিছু মিলিয়ে সিনেমাটি দেখে অনেক বড় একটি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন দর্শকরা, যারা সত্যিই বাংলা সিনেমা দেখতে পছন্দ করে। আমার মনে হয়, ঠিকঠাক সিনেমা কেউ বানালে এবং ভালো গল্প হলে সবশ্রেণির দর্শক দিন শেষে একসঙ্গে বাংলা সিনেমা দেখে। ‘পরাণ’ সেই প্রমাণ দিলো। এটাও প্রমাণ হলো, আমাদের দেশ বাংলা সিনেমার জন্য অনেক বড় একটি বাজার।

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: দর্শকরা বলছে, ‘পরাণ’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে রাজত্ব করতে যাচ্ছেন রাজ। কী মনে হচ্ছে?
শরিফুল রাজ: রাজত্ব নিয়ে কখনো ভাবিনি। ‘পরাণ’ সিনেমা মুক্তির পর আমাকে নিয়ে অনেক মন্তব্য শুনেছি এবং অনেকে লেখালেখি করেছেন। এটাকে খুব ভালোভাবে নিচ্ছি। আমার কাজ নিয়ে এমন আলোচনা বা বিশ্লেষণ আমার জন্য ইতিবাচক দিক। এগুলো আমার জন্য খুব অনুপ্রেরণার। আমার কাজের ধারা অনুযায়ী সাধারণ পন্থায় যেভাবে সিনেমা বাছাই করি কিংবা যেভাবে চিত্রনাট্য পছন্দ করি, সেই জায়গা থেকেই ‘পরাণ’-এর সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। দিন শেষে দর্শক গল্প ও রোমান চরিত্রটি পছন্দ করেছে। আমি যেরকম ঠিকঠাক কাজ করি, সেই ধারাটা সবসময় অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো। আমি যেরকম ছিলাম, সেরকম কাজ করতে থাকবো। রাজত্ব বা রাজ করা আমার কাজ নয়, দিন শেষে অভিনয়টা ঠিকঠাক করতে পারলেই আমি খুশি। সেটাই আমার মূল কাজ।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘পরাণ’ কি আপনার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট?
শরিফুল রাজ: আমার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট বললে ‘আইসক্রিম’ সিনেমার কথা বলবো। তবে ‘পরাণ’ সিনেমায় অভিনয় করে সবচেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। এর আগে কখনো এতো প্রশংসা পাইনি। রোমান চরিত্রটির মধ্যে হয়তো ডায়নামিক ও ইন্টারেস্টিং কোনো ব্যাপার ছিল, যে কারণে দর্শকরা তাকে এতোটা পছন্দ করেছে। সেই জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষ আমাকে নিয়ে লেখালেখি করেছেন। তাই ‘পরাণ’ আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম একটি সিনেমা। আর রোমান চরিত্রটি আমার জীবনে অন্যতম কাজ হয়ে থাকবে।

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: আপনি অনেক স্ট্রাগল করেছেন। এখন সাফল্যে ভাসছেন। দুটি বিপরীত সময়কে নিয়ে ভাবলে কেমন লাগে?
শরিফুল রাজ: সংগ্রাম ও সাফল্যের ব্যাপার কখনো আলাদা করতে চাই না। আমি এখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সংগ্রামের মধ্যে একটা মজা আছে। আর সাফল্যের মধ্যে আছে আরেকটি মজা। তাই আমার কাছে দুটি কখনো আলাদা নয়। শুধু কাজের বেলায় নয়, ব্যক্তিজীবন ও সিনেমার চরিত্রের জন্য সংগ্রাম করার মধ্যে একটা মজা আছে। তবে হ্যাঁ, ব্যক্তিজীবনে আমি অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি ছেলে। অনেকদিন অনেকভাবে সংগ্রাম করতে হয়েছে আমাকে। অবশ্য সেই সুবাদে অনেক কাজও করা হয়েছে। এসবের বিপরীতে যখন সাফল্য এসেছে, সেগুলো খুব উপভোগ করেছি।

‘পরাণ’ সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হিট হওয়ায় এবং আমার কাজ নিয়ে এতো উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে দারুণ ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে সংগ্রামটা সংগ্রামের জায়গায়। তবে হ্যাঁ, সাফল্যকে উপভোগ করি। কারণ সাফল্যটা আমার কাজের জন্য এসেছে। দিন শেষে নিজের কাজকে আমি অনেক ভালোবাসি, তাই সব কাজ মন দিয়ে করার চেষ্টা থাকে আমার। ‘পরাণ’ সিনেমার জন্য পাওয়া সাফল্য আমাকে পরবর্তী কাজের জন্য অনুপ্রাণিত করবে। আমার চেষ্টা থাকবে যেন আন্তরিকভাবে এবং দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে ঠিকঠাকভাবে কাজ করতে পারি।

আমার মনে হয়, জীবনে সংগ্রাম বা কষ্ট বা ক্রাইসিস কিংবা আপস অ্যান্ড ডাউন না থাকলে হয়তো এখনকার সাফল্য আসতো না। তাই এই সাফল্যের পেছনে আমার অনেকদিনের অনেক কষ্ট, বিষণ্ণতা ও হতাশা পাড়ি দেওয়ার ঘটনা আছে। আমাকে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে পথ চলতে হয়েছে। তাই সাফল্য ও সংগ্রামের সময় দুটোই সত্যি খুব উপভোগ করি। দুটিকে আলাদা নয়, একসঙ্গে নিয়েই বসবাসের চেষ্টা করি।

শরিফুল রাজ

শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘পরাণ’ উন্মাদনার মধ্যে এবার আসছে ‘হাওয়া’। এতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
শরিফুল রাজ: আনন্দদায়ক ব্যাপার হলো, ‘পরাণ’ উন্মাদনার পরপরই ‘হাওয়া’ আসছে। আর ‘পরাণ’ সিনেমা হলে থাকা অবস্থায় ‘হাওয়া’ আসছে। সেজন্য আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। টানা সিনেমা মুক্তির ঘটনা আমার ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম। তবে চাপ নেই, কিন্তু চ্যালেঞ্জ আছে। কারণ দুটি সিনেমায় দুই ধরনের চরিত্র এবং পরিচালক রায়হান রাফি ও মেজবাউর রহমান সুমন চিন্তাভাবনার দিক থেকে দুই রকম। সবকিছু মিলিয়ে ‘হাওয়া’ সিনেমায় আমার চরিত্রটি ভিন্ন ধাঁচের। তার নাম ইব্রাহিম। ‘হাওয়া’ মূলত কয়েকজন মাঝির গল্প। এটি একটি আঞ্চলিক সিনেমা। পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নির্মাতা। ‘হাওয়া’র মতো পেশাদার ফিল্মমেকিং টিম আমাদের দেশে এর আগে কাজ করতে গিয়ে কোথাও পাইনি। সেই জায়গা থেকে আমি ভাগ্যবান, ‘হাওয়া’র মতো একটি টিমের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আগামীকাল থেকে দর্শকরা ‘হাওয়া’ দেখবে। তাদের কেমন লাগবে জানার অপেক্ষায় আছি।

সিনেমাওয়ালা নিউজ: ‘হাওয়া’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
শরিফুল রাজ: আমি কোনো কাজই তেমন প্রত্যাশা নিয়ে করি না। তবে হ্যাঁ, সবসময় একটা ভালো অনুভূতি নিয়ে কাজ করি। যখন চিত্রনাট্য বাছাই করি তখনই বোঝা যায় শুটিং কেমন হবে। যেভাবে ‘হাওয়া’র শুটিং করেছি তাতে আমার মনে হয়, এমন সিনেমা আমাদের দেশে হয়নি এবং কেউ কখনো করেনি এর আগে। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে সিনেমাটির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন সবাই খুব পেশাদার। সিনেমাটির চিত্রায়ন এমনভাবে হয়েছে যে, সত্যি বলতে আগে কখনও দেখিনি। সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ‘হাওয়া’ একটি সুন্দর সিনেমা, ভালো গল্প ও কন্টেন্টের সিনেমা। আমার আশা, সিনেমাটি মানুষ দেখবে। ‘পরাণ’ মুক্তির পর যেমন উন্মাদনা ছড়িয়েছে, ‘হাওয়া’ ইতোমধ্যে সেই উন্মাদনা ছড়িয়েছে। সিনেমাটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। ‘পরাণ’-এর মতো ‘হাওয়া’র উন্মাদনা অব্যাহত থাকুক। বাংলা সিনেমার জন্য এটি অনেক বড় একটি ঘটনা হয়ে থাকবে। ইতিহাস হয়ে থাকার মতো অনেক কারণ আছে ‘হাওয়া’য়। এটি মুক্তির পর দর্শকরা তাদের মতামত জানাবেন নিঃসন্দেহে। আমরা আমাদের কাজ করে এসেছি, এখন মানুষ সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ দেখলেই আমরা সার্থক।

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ