Connect with us

ঢালিউড

‘হাওয়া’য় ভাসছেন দর্শকরা

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্য

‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ফেসবুক)

‘হাওয়া’ লেগেছে দর্শকদের মনে। ‘হাওয়া’ নিয়ে চলছে মাতামাতি ও উচ্ছ্বাস। ফলে বাংলা সিনেমার পালে বইছে সুদিনের ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’র নৌকায় ভেসে মুগ্ধ দর্শকরা। মুক্তির আগেই ‘হাওয়া’র টিকিট যেন নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়! তাই প্রথম তিন দিন প্রতিটি শো হাউজফুল। দর্শকদের ভিড় ছিল অভূতপূর্ব। চারপাশে এখন ‘হাওয়া’র জয়জয়কার।

সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত সিনেমাটি রাজধানীসহ সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে গত ২৯ জুলাই। ‘হাওয়া’ দেখে অভিভূত অনেক দর্শকের মন্তব্য, এমন ভিজ্যুয়াল আর্ট বাংলাদেশি সিনেমায় কখনো দেখেননি তারা। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, এর একটি দৃশ্যও ভিএফএক্স নয়!

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিরভাগ দর্শক ‘হাওয়া’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এক শব্দে বলা যায় মাস্টারপিস! তাদের মতে, এর নির্মাণ, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহণ, সাউন্ড ডিজাইন, সংগীত, সংলাপ এবং সবার অভিনয় অনবদ্য। গল্পবলায় নতুনত্ব পেয়েছেন তারা। কেউ বলেছেন, “বাংলা সিনেমার নতুন ভাষা প্রকাশে সংশ্লিষ্টদের একাগ্রতা, পরিশ্রম ও নিখুঁত কাজের জন্য আন্তরিক চেষ্টার প্রতিফলন ঘটেছে পর্দায়। সিনেমা হলে গিয়ে ‘হাওয়া’র অভিজ্ঞতা অন্য স্তরের।”

চঞ্চল চৌধুরী

‘হাওয়া’ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের বয়ান
‘হাওয়া’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহের টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে। ‘হাওয়া’য় ভাসতে সিনেপ্লেক্সে কাউন্টারের সামনে দেখা গেছে বিশাল লাইন। টিকিট না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেককে। অনেকে টিকিট পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। এসব চিত্র বলে দেয়, ছন্দে ফিরছে বাংলা সিনেমা। সব মিলিয়ে এ যেন বাংলা সিনেমার জয়জয়কার!

‘হাওয়া’র জন্য মাতামাতি বেশি হওয়ায় কেরানীগঞ্জে লায়ন সিনেমাসে তিনটি বিশেষ শো বৃদ্ধি করা হয়েছে। এজন্য ৩১ জুলাই ‘দিন: দ্য ডে’ নামিয়ে দিয়েছে সিনেমা হলটির কর্তৃপক্ষ।

স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদের মন্তব্য, ‘যারা বাংলা সিনেমাকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন, তারাই এখন বাংলা সিনেমার টিকিটের জন্য ফোন দেন। বাংলা সিনেমার সুদিন ফিরছে। এটা আমাদের জন্য খুব আনন্দের ব্যাপার। বাংলা সিনেমায় দর্শকদের ভিড় দেখে সত্যিই খুব গর্ব হয়। মনে হচ্ছে, ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’

নাজিফা তুষি

নাজিফা তুষি (ছবি: ফেসবুক)

যেভাবে ‘হাওয়া’ উন্মাদনার সৃষ্টি
‘ঝড়ো হাওয়া’র পূর্বাভাস মিলেছিলো মুক্তির আগেই। এর শুরুটা হয় নজরকাড়া পোস্টারের মাধ্যমে। তারপর ট্রেলার প্রশংসিত হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। সিনেমাটির পালে তুমুল ‘হাওয়া’ নিয়ে আসে ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি। ফলে সেই আশা গতি পায়। প্রায় সবাই তন্ময় হয়ে শুনেছেন ‘তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কী/বসন্তকালে তোমায়, বলতে পারিনি।’ এর কথা ও সুর হাশিম মাহমুদের। সংগীতায়োজনে ইমন চৌধুরী। এটি গেয়েছেন আরফান মৃধা শিবলু। গানটি প্রকাশের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় এর বন্দনা।

নাজিফা তুষি

‘হাওয়া’ সিনেমায় নাজিফা তুষি (ছবি: ফেসবুক)

প্রায় মাসখানেক ধরে ‘হাওয়া’র প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন কলাকুশলীরা। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সাক্ষাৎকার, টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং কনসার্টের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছুটে গেছেন তারা। বিভিন্ন সিনেমা হল পরিদর্শন তো আছেই। সব মিলিয়ে উৎসবের মতো ব্যস্ততা। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানকে সঞ্চালক হিসেবে রেখে আড্ডা আয়োজন আরেক আলোচিত বিষয়। এছাড়া এই সিনেমাকে কেন্দ্র করে মেঘদল ব্যান্ড দীর্ঘ বিরতির পর নতুন গান ‘এ হাওয়া’ নিয়ে হাজির হয়। কারণ নির্মাতা সুমন মেঘদল ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। মেঘদলের পক্ষ থেকে এটি তার প্রথম সিনেমার প্রতি একটি নিবেদন।

নাজিফা তুষি ও শরিফুল রাজ

‘হাওয়া’ সিনেমায় নাজিফা তুষি ও শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

কী আছে ‘হাওয়া’য়
গভীর সমুদ্রে টানা দেড় মাসের মতো ‘হাওয়া’র শুটিং হয়েছে। এটি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আট জেলে এবং রহস্যময় বেদেনী গুলতির গল্প। মাঝিদের গালাগাল আর হল্লার মাঝে গল্পের সুর বাজে। গুলতির আগমনে জেলেদের মধ্যে সন্দেহ, দ্বন্দ্ব ও ভয় বাড়ে। চান মাঝির গল্প চাঁদ সওদাগরের হাত ধরে চলে। আর অনেক মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে গুলতির কিসসা ভাসতে থাকে দরিয়ায়।

সিনেমাটিকে জেলেজীবনের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরের জলেরও গল্প বলা যায়। সেই বৈরী মাঝদরিয়ায় ভাসমান নৌযানে সাজানো ‘হাওয়া’ যেন বাংলা সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলো। এর রঙ ও ফ্রেম অদ্ভুত সুন্দর, যেন মনে হয় তুলির আঁচড়ে আঁকা কবিতা! বিশেষ করে চিত্রগ্রহণ সিনেমার জন্য নতুন এক মানদণ্ড তৈরি করলো। খুলনার আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ বেশ প্রাণবন্ত ও জমজমাট। দর্শকরা মগ্ন হয়ে এসব উপভোগ করেছেন।

‘হাওয়া’ সিনেমার পোস্টার

‘হাওয়া’ সিনেমার পোস্টার (ছবি: ফেসকার্ড প্রোডাকশন)

অভিনয়শিল্পীরা অনবদ্য
‘হাওয়া’র কলাকুশলীরা দর্শকদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন। প্রতিটি চরিত্র অনবদ্য। মাছ ধরা বোট ‘নয়নতারা’র সরদার চান মাঝি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। তার অনেক সাধনার একটি কাজ ‘হাওয়া’। অভিনয়ের মুন্সিয়ানায় নিজেকে ছাপিয়ে গেছেন তিনি। সমুদ্রে মাঝ ধরা জেলে ইব্রাহীম চরিত্রে ‘পরাণ’ তারকা শরিফুল রাজ আবার মন কেড়েছেন। গুলতি রূপে নাজিফা তুষি সংলাপ ছাড়া শুধু চোখের অভিব্যক্তিতে দর্শককে জাদুমন্ত্রের মতো আটকে রেখেছেন। কী চমৎকার অভিনয়! নাগু চরিত্রে নাসিরউদ্দিন খান, ইজা চরিত্রে সুমন আনোয়ার এবং উরকেস চরিত্রে সোহেল মন্ডল অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তবে সব ছাপিয়ে দর্শকরা সমস্বরে গেয়ে উঠছেন ‘সাদা সাদা কালা কালা’!

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ