Connect with us

ওটিটি

চঞ্চল চৌধুরীর চোখ অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে রাখা উচিত: সৃজিত

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

চঞ্চল চৌধুরী

‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: হইচই)

ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার পার্ট-১’ দেখে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভারতীয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। কোনো বাক্য উচ্চারণ না করেও সাত পর্বের পুরো সিরিজ জুড়ে অনবদ্য অভিনয় দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। যেন কিছু না বলেই কতো কথা বলে দিলেন! সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃজিত লিখেছেন, ‘অভিনয় শেখার প্রতিষ্ঠানে চঞ্চল চৌধুরীর চোখ সংরক্ষণ করলে আগামী প্রজন্ম শিখতে পারবে।’

সৃজিতের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মন্তব্যের ঘরে চঞ্চল চৌধুরী হাতজোড় ও হৃদয় ইমোজি জুড়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন। সৃজিতের ফেসবুক স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট অনেকে শেয়ার করেছেন।

কলকাতার অসংখ্য দর্শক সৃজিতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন মন্তব্যের ঘরে। প্রিয়াঙ্কা দাসের দৃষ্টিতে, ‘‘একেবারে ঠিক বলেছেন। ‘কারাগার’ সিরিজে তার চোখ দিয়ে কথা বলার ভঙ্গিতে আমি মুগ্ধ। প্রতিটি অভিব্যক্তি এত নিখুঁত।’’

একই অনুভূতি সুস্মিতা ভট্টাচার্যের, ‘অসাধারণ চোখ দেখে অবাক হয়েছি, যারপরনাই মুগ্ধও হয়েছি!’

পূজা খামারু বলেন, ‘ঠিক বলেছেন। একটা গোটা সিরিজ শুধু চোখ দিয়ে উতরে দিলেন।’

সৃজিত মুখার্জি

সৃজিত মুখার্জি (ছবি: ফেসবুক)

অরিন্দম দত্ত ও শম্পা চক্রবর্তীর অনুভূতিতে, ‘পশ্চিমবঙ্গে থেকেও বাঙালি হিসেবে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জন্য আমরা গর্বিত। স্যালুট তার প্রতিভাকে।’

চঞ্চলকে অনেকে হলিউডের ক্রিশ্চিয়ান বেল এবং ভারতের মনোজ বাজপেয়ীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। সুদীপ্ত ঘোষের চোখে, ‘চঞ্চল চৌধুরী বিশ্ব সিনেমার সেরা অভিনেতাদের একজন।’

চঞ্চল চৌধুরীকে নিয়ে ভালো গল্পের সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ বানাতে সৃজিত মুখার্জির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভক্ত-দর্শকরা। আশা করা হচ্ছে, তাদের কম্বিনেশন খুব ভালো মানাবে। দুই বাংলার এই দুই প্রতিভার রসায়ন দেখতে উন্মুখ সবাই।

চঞ্চল চৌধুরী

‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: হইচই)

গত ১৯ আগস্ট ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই’য়ে মুক্তি পায় সাত পর্বের ‘কারাগার’। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর দ্বিতীয় ওয়েব সিরিজটি নিয়ে দুই বাংলার দর্শকরা মুগ্ধ। ভারতীয় দর্শকরা সিরিজটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দুই বাংলা মিলিয়ে তাদের দেখা সেরা সিরিজ এটাই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রহস্য, সাসপেন্স ও থ্রিল উপভোগ করেছেন তারা। শেষ দৃশ্যের সুবাদে পার্ট-২ দেখার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে সবাই।

কারাগারে একরাতে রহস্যময় একজন কয়েদিকে খুঁজে পাওয়ার মধ্য দিয়ে সিরিজের গল্প এগিয়েছে। তার দাবি, সে মীরজাফরকে হত্যা করেছে এবং ২৫০ বছর ধরে কারাগারে বন্দি! ১৪৫ নম্বর সেলে কোনো কয়েদিকে রাখা হলে সে আত্মহত্যা করে। তাই প্রায় ৫০ বছর ধরে সেলটি বন্ধ ছিলো। কিন্তু বন্ধ কারাগারের কুঠুরিতে মানুষটি এলো কীভাবে? লোকটা কথা বলতে পারে না, কানে শোনে না। তবে ইশারা ভাষা (সাইন লাঙ্গুয়েজ) বোঝে। রহস্যময় কয়েদির আবির্ভাব এবং সেই সঙ্গে বিভিন্ন বাস্তবিক কাহিনি নিয়ে সাজানো হয়েছে সাত পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার পার্ট-১’।

চঞ্চল চৌধুরী ও সৈয়দ আহমেদ শাওকী (ছবি: ফেসবুক)

‘তাকদীর’-এর পর ফের একসঙ্গে দারুণ কাজ করেছেন সৈয়দ আহমেদ শাওকী ও চঞ্চল চৌধুরী জুটি। ‘কারাগার’ চঞ্চলের আরেকটি মাস্টারপিস কাজ। মূক-বধির চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন তিনি।

‘কারাগার’ সিরিজের মূল আকর্ষণ চঞ্চল চৌধুরীর অসাধারণ অভিনয়। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চরিত্রে নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তাকে দর্শক যতোই দেখছে, ততোই অভিভূত হচ্ছে। দর্শকরা তার এবারের অভিনয়কে দারুণ, দুর্দান্ত, অসাধারণ ও চমৎকারসহ নানান বিশেষণ দিয়েছেন। কেউ কেউ তাকে বাংলাদেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা অভিনেতা মনে করেন।

চঞ্চল চৌধুরী

‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: হইচই)

অনেকের মতে, চঞ্চল চৌধুরী অভিনয় জগতের রাজা। কোনো কথা না বলে শুধু অভিব্যক্তি দিয়ে পুরো সাত পর্বের সিরিজটি যেভাবে টেনেছেন এই অভিনেতা, এককথায় অসাধারণ। যার কোনো সংলাপ নেই, তার অভিনয়শৈলীর গভীরতা কতো বেশি তা সহজে পরিমাপ করা যায়। সংলাপহীন সবখানে চোখে-মুখে তার নীরব অভিব্যক্তিগুলো খুবই সুন্দর লেগেছে দর্শকদের।

চঞ্চল চৌধুরীর গল্প বেছে নেওয়া এবং চরিত্রের ভেতর ঢুকে যেতে পারার ক্ষমতা অন্যমাত্রার মনে করেন ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা গর্ব করে বলে, ‘আমাদের দেশে চঞ্চল চৌধুরী নামে একজন জাদুকরী অভিনয়শিল্পী আছেন।’

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ