Connect with us

ঢালিউড

‘হাওয়া’য় ভেসে থাকার ১০০ দিন পূর্তি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্য

‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পালে সুদিনের ‘হাওয়া’ বয়ে আনা সিনেমার মধ্যে অন্যতম মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’। এটি মুক্তি পায় গত ২৯ জুলাই। এরপর অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে এই সিনেমা। দেশ-বিদেশের দর্শকরা এটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন। শুরু থেকেই এর জয়জয়কার দেখা গেছে। সিনেমা হলে ‘হাওয়া’ মুক্তির ১০০তম দিন পূর্ণ হলো আজ (৫ নভেম্বর)। দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করতে ঢাকার মহাখালীর এসকেএস টাওয়ারের স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘হাওয়া’র বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

পরিবেশনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার সূত্র অনুযায়ী, এখন ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্লকবাস্টার সিনেমাসসহ দেশের কয়েকটি সিনেমা হলে চলছে ‘হাওয়া’। সিনেপ্লেক্সে এখনো সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এর প্রদর্শনী হাউসফুল থাকে। ‘হাওয়া’য় ভাসতে সিনেমা হলের টিকিট কাউন্টারের সামনে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে দর্শকদের। তাদের অনেকের মতে, ‘হাওয়া’ যেন বাংলা সিনেমাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেলো। ‘হাওয়া’র নির্মাণ, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহণ, সাউন্ড ডিজাইন, সংগীত, খুলনার আঞ্চলিক ভাষার সংলাপ, অভিনয়, রঙসহ সবই প্রাণবন্ত। দর্শকরা মগ্ন হয়ে এসব উপভোগ করেছেন।

নাজিফা তুষি

‘হাওয়া’ সিনেমায় নাজিফা তুষি (ছবি: ফেসবুক)

গত ৯৯ দিনে দর্শকদের প্রশংসার বিপরীতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখেও পড়েছে ‘হাওয়া’। শালিক পাখিকে খাঁচাবন্দি করে রাখা ও পাখির মাংস খাওয়ার দৃশ্যকে কেন্দ্র করে পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, ‘শনিবার বিকেল’কে সেন্সর ছাড়পত্র দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানাতে বিভিন্ন প্রজন্মের নির্মাতা, শিল্পী ও কলাকুশলীরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কাঁটাতার দেওয়া মঞ্চে সমবেত হন। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

৯৫তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস তথা অস্কারের আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম (বিদেশি ভাষার প্রতিযোগিতা) শাখার জন্য বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন পেয়েছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’। কলকাতায় চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি দেখতে দর্শকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

মেজবাউর রহমান সুমন

মেজবাউর রহমান সুমন (ছবি: সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড)

পরিচালনার পাশাপাশি ‘হাওয়া’র কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন। তার সঙ্গে মিলে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন সুকর্ন সাহেদ ধীমান ও জাহিন ফারুক আমিন। চিত্রগ্রহণে কামরুল হাসান খসরু। গানের সংগীতায়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী। আবহ সংগীতে রাশিদ শরীফ শোয়েব।

সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত ‘হাওয়া’র গল্প সাজানো হয়েছে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আট জেলে এবং রহস্যময় বেদেনী গুলতিকে কেন্দ্র করে। মেয়েটির আগমনে জেলেদের মধ্যে সন্দেহ, দ্বন্দ্ব ও ভয় বাড়ে। মাছ ধরার বড় নৌকা ‘নয়নতারা’র সরদার চাঁন মাঝি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। জেলে ইব্রাহীম চরিত্রে আছেন শরিফুল রাজ। গুলতি রূপে রয়েছেন নাজিফা তুষি। এছাড়া অভিনয় করেছেন নাসিরউদ্দিন খান (নাগু), সুমন আনোয়ার (ইজা), সোহেল মন্ডল (উরকেস), রিজভি রিজু (পারকেস), বাবলু বোস (ফনি) ও মাহমুদ আলম (মোরা)।

নাজিফা তুষি ও শরিফুল রাজ

‘হাওয়া’ সিনেমায় নাজিফা তুষি ও শরিফুল রাজ (ছবি: ফেসবুক)

সিনেমাটির গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। হাশিম মাহমুদের কথায় এটি গেয়েছেন আরফান মৃধা শিবলু। এতে আরও আছে বাসুদেব দাস বাউলের গাওয়া ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ গানটি। সংগীতায়োজনে ইমন চৌধুরী। এছাড়া সিনেমাটিকে কেন্দ্র করে মেঘদল ব্যান্ড দীর্ঘ বিরতির পর নতুন গান ‘এ হাওয়া’ নিয়ে হাজির হয়। পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন মেঘদল ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ