Connect with us

ঢালিউড

৩ সিনেমা হিট, বাকি ৪৭টিতে মন্দার পাল্লা ভারী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বছরটা ভালো-মন্দে কেটেছে। তবে মন্দার পাল্লাই ভারী। চলতি বছর মোট ৪৯টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। আরো একটি মুক্তি পাবে ৩০ ডিসেম্বর। এরমধ্যে ব্যবসাসফল তালিকায় টেনেটুনে তিনটি সিনেমাকে রাখা যায়। বাকি বেশিরভাগই ফ্লপ।

শরিফুল রাজ

‘পরাণ’ সিনেমার দৃশ্যে শরিফুল রাজ (ছবি: লাইভ টেকনোলজিস)

এক নম্বরে শরিফুল রাজ
২০২২ সালে শরিফুল রাজের চারটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এরমধ্যে তিনটিই হিট। ‘পরাণ’ দিয়ে সবার পরাণ কেড়েছেন তিনি। তার এই সিনেমার সুবাদে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরপর সেই পালে সুদিনের হাওয়া বয়ে আনে ‘হাওয়া’। বছরের শেষের দিকে এসে ‘দামাল’ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। আর বছরের শুরুর দিকে ‘গুণিন’ প্রশংসা কুড়িয়েছে। সব মিলিয়ে বছরটা শরিফুল রাজের জন্য ছিলো পোয়াবারো।

চিত্রনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি করে সিনেমা মুক্তি পেয়েছে ইমন ও জিয়াউল রোশানের। ইমনের সিনেমার তালিকায় আছে ‘বীরত্ব’, ‘কাগজ’, ‘আগামীকাল’, ‘মাফিয়া ১’ ও ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’। অন্যদিকে রোশানের সিনেমাগুলো হলো ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘সাইকো’, ‘মুখোশ’, ‘আশীর্বাদ’ ও ‘কার্নিশ’।

‘দামাল’ সিনেমার দৃশ্য

‘দামাল’ সিনেমার দৃশ্য

সিয়াম আহমেদের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে চারটি। এগুলো হলো ‘দামাল’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘পাপ-পুণ্য’ ও ‘শান’। তিনটি সিনেমায় দেখা গেছে আদর আজাদকে। এগুলো হলো ‘যাও পাখি বলো তারে’, ‘লাইভ’ ও ‘তালাশ’।

দুটি করে সিনেমা মুক্তি পাওয়া নায়কদের তালিকায় আছেন চঞ্চল চৌধুরী (হাওয়া, পাপ-পুণ্য), শাকিব খান (গলুই, বিদ্রোহী), বাপ্পি চৌধুরী (শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২, জয় বাংলা), এবিএম সুমন (বিউটি সার্কাস, হৃদিতা) এবং ইয়াশ রোহান (পরাণ, দেশান্তর)।

শরিফুল রাজের সঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম

‘পরাণ’ সিনেমার দৃশ্যে শরিফুল রাজের সঙ্গে বিদ্যা সিনহা মিম (ছবি: লাইভ টেকনোলজিস)

শীর্ষে বিদ্যা সিনহা মিম
চলতি বছর চিত্রনায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বিদ্যা সিনহা মিম। ‘পরাণ’ ও ‘দামাল’ সিনেমা দুটির সুবাদে শীর্ষস্থানে তিনি। বিশেষ করে ‘পরাণ’ সিনেমায় অনন্যা চরিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। ‘দামাল’ সিনেমাতেও নিজের অভিনয়ের দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। এছাড়া মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘কার্নিশ’।

চিত্রনায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চারটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে পূজা চেরির। এগুলো হলো ‘গলুই’, ‘শান’, ‘হৃদিতা’ ও ‘সাইকো’। দ্বিতীয় সর্বাধিক তিনটি সিনেমায় দেখা গেছে মাহিয়া মাহিকে। এগুলো হলো ‘যাও পাখি বলো তারে’, ‘লাইভ’ ও ‘আশীর্বাদ’।

দুটি করে সিনেমা মুক্তি পাওয়া নায়িকাদের তালিকায় আছেন শবনম বুবলী (বিদ্রোহী, তালাশ), পরীমণি (গুণিন, মুখোশ), অপু বিশ্বাস (শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২, ঈশা খাঁ), মৌসুমী (ভাঙন, দেশান্তর), মৌসুমী হামিদ (হডসনের বন্দুক, ছিটমহল)।

‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্য

‘হাওয়া’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ফেসবুক)

ব্যবসাসফল ৩ সিনেমা
১. পরাণ
২. হাওয়া
৩. দামাল

লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত ও রায়হান রাফী পরিচালিত ‘পরাণ’ বছরের প্রথম সুপারহিট। গত ১০ জুলাই মুক্তির পর টানা ১৫০ দিন সিনেমা হলে টানা হাউসফুল ছিলো এটি। দেশীয় সিনেমার ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে এমন সাফল্য বিরল। বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা ও মিন্নির ফাঁসির ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ত্রিভুজ প্রেমের গল্পে সাজানো হয়েছে ‘পরাণ’।

একই মাসে (২৯ জুলাই) মুক্তিপ্রাপ্ত মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেড প্রযোজিত সিনেমাটি টানা হাউসফুল গেছে। দেশের বাইরে কলকাতায়ও সফল এটি। ‘হাওয়া’র গল্প সাজানো হয়েছে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আট জেলে এবং রহস্যময় বেদেনী গুলতিকে কেন্দ্র করে। মেয়েটি নৌকায় আসার পর থেকে জেলেদের মধ্যে ক্রমে সন্দেহ, দ্বন্দ্ব ও ভয় বাড়তে থাকে।

দামাল

‘দামাল’ তারকা (বাঁ থেকে) ইন্তেখাব দিনার, বিদ্যা সিনহা মিম, শরিফুল রাজ, শাহনাজ সুমি, সিয়াম আহমেদ, একে আজাদ সেতু ও সুমিত সেনগুপ্ত (ছবি: ফেসবুক)

বিশ্বকাপ শুরুর মাসখানেক আগে মুক্তি পেয়েছে ফুটবল বিষয়ক সিনেমা ‘দামাল’। এর মাধ্যমে ‘পরাণ’ জুটি শরিফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিম আরেকবার দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছেন। তারা ও সিনেমার অন্য অভিনয়শিল্পী সিয়াম আহমেদসহ সবাই মিলে অভিনব প্রচারণা চালিয়ে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ও রায়হান রাফী পরিচালিত সিনেমাটির চিত্রনাট্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সত্যি ঘটনায় অনুপ্রাণিত।

প্রশংসিত ৫ সিনেমা
১. শিমু (মেইড ইন বাংলাদেশ)
২. কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া
৩. পাপ-পুণ্য
৪. রোহিঙ্গা
৫. গুণিন

রুবাইয়াত হোসেনের ‘শিমু-মেড ইন বাংলাদেশ’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। এরপর ইতালির তুরিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ও নরওয়ের ট্রমসো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কার পেয়েছে এটি। ঢাকার একটি পোশাক উৎপাদক কারখানার শ্রমিক শিমুকে কেন্দ্র করে সিনেমাটির গল্প। কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হয় মেয়েটি। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্বামীর অমত থাকার পরও অধিকার ও ন্যায্য পারিশ্রমিক আদায়ের জন্য সহকর্মীদের নিয়ে একটি সংঘ গঠনের চেষ্টা করে সে।

মুহাম্মদ কাইয়ুম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা সিনেমা হিসেবে ‘গোল্ডেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ পুরস্কার জিতেছে। হাওরের দরিদ্র কৃষকদের জীবনসংগ্রাম নিয়ে এর গল্প। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকার দুর্নিবার যুদ্ধকে মোকাবিলা করতে হয় তাদের।

গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দুই সিনেমা ‘পাপ-পুণ্য’ ও ‘গুণিন’-এর গল্প, অভিনয় ও নির্মাণশৈলী দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদিকে রোহিঙ্গা সংকটের মৌলিক দিক নিয়ে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘রোহিঙ্গা’ প্রশংসা কুড়িয়েছে।

‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমায় জয়া আহসান (ছবি: ইমপ্রেস টেলিফিল্ম)

আলোচিত ৫ সিনেমা
১. অপারেশন সুন্দরবন
২. বিউটি সার্কাস
৩. দিন–দ্য ডে
৪. বিদ্রোহী
৫. গলুই

সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র‌্যাবের দুঃসাহসিক অভিযানের গল্প নিয়ে সাজানো ‘অপারেশন সুন্দরবন’ বিষয়বস্তু ও তারকার সমারোহের সুবাদে আলোচনায় এসেছে।

মাহমুদ দিদারের প্রথম সিনেমা ‘বিউটি সার্কাস’ আলোচনায় ছিলো জয়া আহসানের সুবাদে। আবহমান বাংলার সার্কাস শিল্প নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সিনেমা দেশে এটাই প্রথম।

অনন্ত জলিল ও বর্ষা অভিনীত ‘দিন–দ্য ডে’ ঈদে মুক্তির পর আলোচিত হয়। অনন্ত এর বাজেট ১০০ কোটি টাকা দাবি করায় ব্যাপক সোরগোল পড়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ইরানি পরিচালক মুর্তজা আতশ জমজম সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, সিনেমাটির বাজেট ৪ কোটি টাকা। এরপর অনন্তর বিরুদ্ধে শর্তাবলী লঙ্ঘন করে নিজের মতো করে সিনেমা বানিয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। তবে তার অভিযোগ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন অনন্ত।

শাকিব খানের নতুন সিনেমা এলে আপনাআপনি আলোচনায় থাকে। চলতি বছর তার দুই সিনেমা ‘বিদ্রোহী’ ও ‘গলুই’ মুক্তির সময় ছিলো সেই একই চিত্র। তবে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে বিয়ে ও তাদের সন্তানের বাবা হওয়ার খবরে বেশি আলোচিত ছিলেন তিনি।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত কয়েকটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে চলতি বছর। এ তালিকায় রয়েছে ‘দামাল’, ‘জয় বাংলা’, ‘আশীর্বাদ’, ‘৭১-এর একখণ্ড ইতিহাস’ এবং ‘বীরাঙ্গনা ৭১’।

সিয়াম আহমেদ ও নুসরাত ফারিয়া

সিয়াম আহমেদ ও নুসরাত ফারিয়া (ছবি: ফেসবুক)

২০২২ সালের সব সিনেমা
* প্রশান্ত অধিকারীর ‘হডসনের বন্দুক’ (মৌসুমী হামিদ, লুৎফর রহমান জর্জ)
* হাবিবুর রহমান হাবিবের ‘ছিটমহল’ (মৌসুমী হামিদ, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া)
* দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ (অপু বিশ্বাস, বাপ্পি চৌধুরী)
* শাহীন-সুমনের ‘বিদ্রোহী’ (শাকিব খান, শবনম বুবলী)
* রায়হান রাফীর ‘পরাণ’ (শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, ইয়াশ রোহান)
* মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ (জয়া আহসান, এবিএম সুমন, ফেরদৌস আহমেদ)
* এম রাহিমের ‘শান’ (সিয়াম আহমেদ, পূজা চেরি)
* দীপঙ্কর দীপনের ‘অপারেশন সুন্দরবন’ (সিয়াম আহমেদ, জিয়াউল রোশান, নুসরাত ফারিয়া, দর্শনা বণিক, রিয়াজ)
* গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পাপ-পুণ্য’ (চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, শাহনাজ সুমী)
* শামীম আহমেদ রনির ‘বিক্ষোভ’ (শান্ত খান, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়)
* অনন্য মামুনের ‘সাইকো’ (জিয়াউল রোশান, পূজা চেরি)
* মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আশীর্বাদ’ (জিয়াউল রোশান, মাহিয়া মাহি)
* মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’ (চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও নাজিফা তুষি)
* ইফতেখার শুভ পরিচালিত ‘মুখোশ’ (মোশাররফ করিম, পরীমণি ও জিয়াউল রোশান)
* অঞ্জন আইচের ‘আগামীকাল’ (ইমন, জাকিয়া বারী মম)
* অনন্য মামুনের ‘অমানুষ’ (নিরব হোসেন, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা)
* মুর্তজা আতশ জমজমের ‘দিন–দ্য ডে’ (অনন্ত, বর্ষা)
* এস এ হক অলিকের ‘গলুই’ (শাকিব খান, পূজা চেরি)
* এম কে জামানের ‘তোর মাঝেই আমার প্রেম’ (রাফাত রউফ, রোজ)
* গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ (শরিফুল রাজ, পরীমণি)
* সৈকত নাসিরের ‘তালাশ’ (শবনম বুবলী, আদর আজাদ)
* রকিবুল আলম রকিবের ‘ভাইয়ারে’ (রাসেল মিয়া, এলিনা শাম্মী, জারা)
* শামীম আহমেদ রনির ‘লাইভ’ (সাইমন সাদিক, মাহিয়া মাহি, আদর আজাদ)
* আবুল কালাম আজাদের ‘ও মাই লাভ’ (রিদ্দিশ, সাবর্ণি)
* সাইদুল ইসলাম রানার ‘বীরত্ব’ (ইমন, নিপুণ, নিশাত নাওয়ার সালওয়া)
* ডায়েল রহমানের ‘ঈশা খাঁ’ (অপু বিশ্বাস, ডি এ তায়েব)
* মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘যাও পাখি বলো তারে’ (মাহিয়া মাহি, আদর আজাদ, শিপন মিত্র)
* ইস্পাহানী-আরিফ জাহানের ‘হৃদিতা’ (এবিএম সুমন, পূজা চেরি)
* রায়হান রাফীর ‘দামাল’ (শরিফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, সিয়াম আহমেদ, সুমিত সেনগুপ্ত, শাহনাজ সুমী)
* আসাদ সরকারের ‘জীবন পাখি’ (মোহনা মীম, সঞ্জীব আহমেদ)
* রফিক সিকদারের ‘বসন্ত বিকেল’ (শিপন মিত্র, শাহ হুমায়রা সুবাহ, তানভীর তনু)
* মুহাম্মদ কাইউমের ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ (জয়িতা মহলানবীশ, উজ্জ্বল কবির হিমু)
* মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের ‘ভাঙন’ (মৌসুমী, ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়)
* আশুতোষ সুজনের ‘দেশান্তর’ (মৌসুমী, আহমেদ রুবেল, ইয়াশ রোহান, রোদেলা টাপুর)
* ইমরাউল রাফাতের ‘মেইড ইন চিটাগাং’ (পার্থ বড়ুয়া, অপর্ণা ঘোষ)
* মিজানুর রহমান শামীমের ‘৭১-এর একখণ্ড ইতিহাস’ (মাসুম পারভেজ রুবেল)
* কাজী হায়াতের ‘জয় বাংলা’ (বাপ্পি চৌধুরী, জাহারা মিতু)
* আওয়াল রেজার ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ (নাজনীন চুমকী, প্রাণ রায়, শাহনাজ সুমী)
* জুলফিকার জাহেদীর ‘কাগজ’ (ইমন, আইরিন সুলতানা)
* সাইফুল ইসলাম মাননুর ‘পায়ের ছাপ’ (মেঘলা মুক্তা, প্রাণ রায়)
* তৌহিদ হোসেন চৌধুরীর ‘মাফিয়া ১’ (জাহিদ হাসান, আনিসুর রহমান মিলন, ইমন, ‌আঁচল)
* রুবাইয়াত হোসেনের ‘শিমু-মেড ইন বাংলাদেশ’ (রিকিতা নন্দিনী শিমু, নভেরা রহমান)
* শাহ আলম মন্ডলের ‘লকডাউন লাভ স্টোরি’ (ইমন, রেহনুমা মোস্তফা)
* সাজ্জাদ হায়দারের ‘জাল ছেঁড়ার সময়’ (ইমন খান, সুস্মিতা সুস্মি)
* জুয়েল ফারসীর ‘বড্ড ভালোবাসি’ (সুলতানা রোজ নিপা, শান্ত)
* সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের ‘রোহিঙ্গা’ (আরশি, ওমর আয়াজ অনি)
* মিজানুর রহমান মিজানের ‘রাগী’ (মুনমুন, আবির চৌধুরী, আঁচল, মৌমিতা)
* ভিকি জাহেদের ‘কার্নিশ’ (জিয়াউল রোশান, বিদ্যা সিনহা মিম)
* সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর ‘যা হারিয়ে যায়’ (আফজাল হোসেন, ঝিলিক জান্নাত)
* মুক্তির অপেক্ষায় এম সাখাওয়াত হোসেনের ‘বীরাঙ্গনা ৭১’ (শাহেদ শরীফ খান, শিরীন শিলা)

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ