বিশ্বসংগীত
সর্বকালের সেরা তালিকায় লতার সঙ্গে পাকিস্তানি এই গায়ক
আমেরিকান সংগীত বিষয়ক ম্যাগাজিন রোলিং স্টোনের দৃষ্টিতে সর্বকালের সেরা ২০০ কণ্ঠশিল্পীর তালিকায় স্থান পেলেন উপমহাদেশের দুই প্রয়াত গায়ক-গায়িকা। এতে ভারতের লতা মঙ্গেশকর আছেন ৮৪ নম্বরে। আর পাকিস্তানের নুসরাত ফতেহ আলি খান জায়গা পেয়েছেন ৯১ নম্বরে।
লতা মঙ্গেশকরের সম্মানে রোলিং স্টোনে লেখা হয়েছে, ‘মেলোডি কুইনের ঝরনার মতো সুরেলা চিরসবুজ কণ্ঠ ভারতীয় আধুনিক গানের একটি ভিত্তিপ্রস্তর, বলিউডের হিন্দি সিনেমার মাধ্যমে যার প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়েছে। হিন্দি গানের সোনালি যুগের আয়না তিনি। লতা ছিলেন প্লেব্যাক সম্রাজ্ঞী, তাঁর গাওয়া অসংখ্য গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন নায়িকারা। আনুমানিক ৭ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই কিংবদন্তি।’
রোলিং স্টোন যোগ করেছে, “প্লেব্যাক গায়িকাদের মধ্যে লতা মঙ্গেশকরের সত্যিকারের সমকক্ষ আশা ভোঁসলে ‘লতা দিদি’কে নিজের ‘প্রিয় গায়িকা’ মনে করতেন। আশা ভোঁসলে তুলনামূলক বেশি গান গেয়েছেন ও বৈচিত্র্যময় ছিলেন। তবে তার বড় বোন কণ্ঠের উজ্জ্বলতায় অমর হয়েছেন। বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে লতার গান বিভিন্ন দেশের সংগীতশিল্পীদের প্রভাবিত করেছে। ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ‘টক্সিক’ ছিলো ১৯৮১ সালে লতা মঙ্গেশকর ও এসপি বালাসুব্রমনিয়ামের তেরে মেরে বিচ মে গানে অনুপ্রাণিত।”
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইনদোরে ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন ভারত সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন। ১৯৪৮ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গানে কণ্ঠ দেওয়ার সুবাদে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড আছে তার দখলে। তার গাওয়া সর্বশেষ গান ছিলো ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্মান জানানো ‘সুগন্ধ মুঝে ইস মিট্টি কি’। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৯২ বছরে চিরবিদায় নেন তিনি।
অন্যদিকে নুসরাত ফতেহ আলি খান ছিলেন গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। তাকে বলা হতো সুফি ভক্তিমূলক গান কাওয়ালির শাহেনশাহ। উর্দু ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সুফি গায়ক এবং দক্ষিণ এশিয়ার সেরা কাওয়ালি গায়ক হিসেবে তার খ্যাতি ছিলো দুনিয়াজোড়া।
আশির দশক থেকে নুসরাত ফতেহ আলি খানের গান ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। বিখ্যাত অনেক সংগীতশিল্পীর প্রিয় ছিলেন তিনি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আমেরিকান সংগীতশিল্পী ম্যাডোনা, এডি ভেডার এবং জেফ বাকলি। ১৯৯৬ সালে হলিউডের ‘ডেড ম্যান ওয়াকিং’ সিনেমায় নুসরাত ফতেহ আলি খানকে নিয়ে ‘দ্য ফেস অব লাভ’ শিরোনামের একটি গান করেন এডি ভেডার। আর জেফ বাকলি তাকে মনে করতেন ‘এলভিস প্রিসলি’। তার গান যথাযথভাবে গাওয়ার জন্যই উর্দু ভাষা শিখেছিলেন জেফ বাকলি।
১৯৪৮ সালের ১৩ অক্টোবর পাকিস্তানের ফয়সালাবাদে জন্মগ্রহণ করেন নুসরাত ফতেহ আলি খান। লিভার ও কিডনি জটিলতায় ভুগে ১৯৯৭ সালের ১৬ আগস্ট লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে মাত্র ৪৮ বছরে মারা যান তিনি।
রোলিং স্টোনের সর্বকালের সেরা ২০০ কণ্ঠশিল্পীর তালিকায় দক্ষিণ এশিয়া থেকে আরও স্থান পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিটিএস ব্যান্ডের জাংকুক এবং তার স্বদেশি গায়িকা লি জি-ইয়ুন।
তালিকায় এছাড়া আছেন মাইকেল জ্যাকসন, বব মার্লে, জন লেনন, পল ম্যাকার্টনি, এলটন জন, অ্যাডেল, ডেভিড বোওয়ি, টেলর সুইফট, লেডি গাগা, রিয়ানা, অ্যামি ওয়াইনহাউস, আরিয়ানা গ্র্যান্ড, বিলি আইলিশ, ওজি ওসবোর্ন প্রমুখ।
-
ছবি ও কথা1 year ago
তাসনিয়া ফারিণের বিয়ের কিছু ছবি
-
বলিউড2 years ago
‘ব্রহ্মাস্ত্র’ নিয়ে ক্যাটরিনার মধুর প্রতিশোধ!
-
নাটক2 years ago
আমেরিকায় ফুরফুরে মেজাজে মেহজাবীন-তানজিন তিশা-ফারিণ
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
বুসানে ফারুকী-তিশার সিনেমা দেখতে দর্শকদের ভিড়
-
ঢালিউড1 year ago
রাষ্ট্রপতি সিনেমাহলে সপরিবারে ‘প্রিয়তমা’ দেখলেন
-
ওয়ার্ল্ড সিনেমা1 year ago
‘জেলার’ হিট হওয়ায় ১০০ কোটি রুপি ও বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার পেলেন রজনীকান্ত
-
ঢালিউড2 years ago
শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ কলকাতার এই নায়িকা
-
ঢালিউড2 years ago
‘বিউটি সার্কাস’: এমন চরিত্রে আর অভিনয় করবো না: ফেরদৌস