Connect with us

ঢালিউড

আবার জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছেন যারা, শীর্ষে ‘নোনাজলের কাব্য’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

আজমেরী হক বাঁধন (ছবি: ফেসবুক)

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ বিজয়ী তালিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে। এবার সর্বাধিক সাতটি শাখায় পুরস্কার পেতে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বক্তব্যধর্মী সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’। এগুলো হলো সেরা সিনেমা (যৌথভাবে), সেরা অভিনেত্রী (তাসনোভা তামান্না, যৌথভাবে), সেরা পরিচালক ও সেরা কাহিনিকার (রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত), সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা (ফজলুর রহমান বাবু), সেরা শিল্প নির্দেশক (শিহাব নূরুন নবী) এবং সেরা পোশাক পরিকল্পনা (ইদিলা ফারিদ তুরিন)।

ফজলুর রহমান বাবু পঞ্চমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এর আগে ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’, ২০১৬ সালে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ ও ২০১৯ সালে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা হন তিনি। মাঝে ২০১৭ সালে ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার জন্য কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে। তিনি ছাড়া ‘নোনা জলের কাব্য’র প্রস্তাবিত বিজয়ী সবার জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।

দুটি করে পুরস্কার পাচ্ছে ‘মৃধা বনাম মৃধা’ এবং কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অফিসিয়াল সিলেকশনে স্থান পাওয়া ‘রেহানা মরিয়ম নূর’।

সিয়াম আহমেদ (ছবি: ফেসবুক)

‘মৃধা বনাম মৃধা’র জন্য সেরা অভিনেতা হচ্ছেন সিয়াম আহমেদ। একই সিনেমার সুবাদে সেরা কৌতুক অভিনেতা স্বীকৃতি পাচ্ছেন মিলন ভট্টাচার্য্য। সিয়াম এর আগে ২০২০ সালে ‘বিশ্বসুন্দরী’র সুবাদে সেরা অভিনেতা হন। মিলন ভট্টাচার্য্যের জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।

এবার যৌথভাবে সেরা অভিনেতা হয়েছেন মীর সাব্বির (রাতজাগা ফুল)। এটাই হবে তার প্রথম জাতীয় পুরস্কার।

‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার জন্য আজমেরী হক বাঁধন সেরা অভিনেত্রী এবং শৈব তালুকদার সেরা শব্দগ্রাহক হচ্ছেন। দুইজনের জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।

‘স্ফুলিঙ্গ’র সুবাদে সেরা সংলাপ রচয়িতা পুরস্কার পাচ্ছেন তৌকীর আহমেদ। এর আগে পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ২০০৮ সালে ‘জয়যাত্রা’র জন্য সেরা সিনেমা প্রযোজক (যৌথভাবে), সেরা পরিচালক ও সেরা চিত্রনাট্যকার, ২০১৮ সালে ‘অজ্ঞাতনামা’র জন্য সেরা কাহিনিকার এবং ২০১৯ সালে ‘হালদা’র জন্য সেরা চিত্রনাট্যকার হন তিনি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচটি পুরস্কার পাচ্ছে ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’। এগুলো হলো সেরা সিনেমা (যৌথভাবে), সেরা খল অভিনেতা (জয়রাজ), সেরা চিত্রনাট্যকার (নূরুল আলম আতিক), সেরা সম্পাদক (সামির আহমেদ), সেরা চিত্রগ্রাহক (সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু) এবং সেরা রূপসজ্জাকর (মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন)।

‘কিত্তনখোলা’ সিনেমার জন্য নূরুল আলম আতিক ২০০০ সালে সেরা চিত্রগ্রাহক এবং সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে দুটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। সামির আহমেদ ২০১১ সালে ‘গেরিলা’র সুবাদে সেরা সম্পাদক হন। ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র প্রস্তাবিত অন্য বিজয়ীদের জন্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় পুরস্কার।

তাসনোভা তামান্না (ছবি: ফেসবুক)

তিনটি করে পুরস্কার পেতে যাচ্ছে ‘পদ্মপুরাণ’ এবং ‘যৈবতী কন্যার মন’। এরমধ্যে ‘পদ্মপুরাণ’ সিনেমার জন্য সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হিসেবে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন শম্পা রেজা। একই সিনেমার সুবাদে সেরা গায়ক হচ্ছেন মুহিন। তিনিও প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। ‘পদ্মপুরাণ’ সিনেমার জন্যই সেরা গায়িকা হয়েছেন চন্দনা মজুমদার। ২০০৯ সালে ‘মনপুরা’র সুবাদে প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পান তিনি।

‘যৈবতী কন্যার মন’ গানের তিনটি শাখায় সেরা হচ্ছে। এরমধ্যে সুজেয় শ্যাম সেরা সুরকার এবং সংগীত পরিচালকের পুরস্কার পাচ্ছেন। তিনি এর আগে সেরা সংগীত পরিচালক হয়েছেন তিনবার। সিনেমা তিনটি হলো ‘হাছন রাজা’ (২০০২), ‘জয়যাত্রা’ (২০০৪), ‘অবুঝ বউ’ (২০১০)। সেরা গীতিকার হচ্ছেন প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তিনি এর আগে ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০২, ২০০৩ এবং ২০১৬ সালে একই শাখায় জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন (ছবি: ফেসবুক)

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেত্রী ডলি জহুর ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। এর আগে ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯৮৬ সালে ‘পরীণিতা’র জন্য সেরা অভিনেতা এবং ২০০৫ সালে ‘শাস্তি’র সুবাদে সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা শাখায় জাতীয় পুরস্কার পান। অন্যদিকে ডলি জহুর ১৯৯২ সালে ‘শঙ্খনীল কারাগার’-এর জন্য সেরা অভিনেত্রী এবং ২০০৬ সালে ‘ঘানি’র সুবাদে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী হন।

দেশীয় সিনেমার সর্বোচ্চ স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য গত ১৬ আগস্ট ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদের্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৭টি প্রামাণ্যচিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে এবার ২৮টি শাখায় ৩৪টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। সেরা নৃত্য পরিচালক শাখায় কেউই বিচারকদের চোখে যোগ্য বিবেচিত হননি। সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন দিয়েছে।

আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তদের ৩ লাখ টাকা করে সম্মানী দেওয়া হবে। এছাড়া সেরা পূর্ণদের্ঘ্য সিনেমার প্রযোজক ও সেরা পরিচালকের জন্য ২ লাখ টাকা করে রয়েছে। অন্যান্য শাখার বিজয়ীদের ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচিত প্রত্যেকে ১৮ ক্যারেট মানের ১৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা ও সম্মাননাপত্র পাবেন।

‘নোনাজলের কাব্য’ সিনেমার দৃশ্য (ছবি: ফেসবুক)

একনজরে চূড়ান্ত হতে যাওয়া বিজয়ী তালিকা
আজীবন সম্মাননা: ডলি জহুর, ইলিয়াস কাঞ্চন
সেরা সিনেমা: লাল মোরগের ঝুঁটি, নোনাজলের কাব্য
সেরা অভিনেতা: সিয়াম আহমেদ (মৃধা বনাম মৃধা), মীর সাব্বির (রাতজাগা ফুল)
সেরা অভিনেত্রী: আজমেরী হক বাঁধন (রেহানা মরিয়ম নূর), তাসনোভা তামান্না (নোনাজলের কাব্য)
সেরা পরিচালক: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা: ফজলুর রহমান বাবু (নোনাজলের কাব্য)
সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী: শম্পা রেজা (পদ্মপুরাণ)
সেরা খল অভিনেতা: জয়রাজ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা কৌতুক অভিনেতা: মিলন ভট্টাচার্য্য (মৃধা বনাম মৃধা)
সেরা শিশুশিল্পী: আফিয়া তাবাসসুম (রেহানা মরিয়ম নূর)
বিশেষ পুরস্কার (শিশুশিল্পী শাখা): জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক (যা হারিয়ে যায়)
সেরা গায়ক: মুহিন (শোনাতে এসেছি আজ, সিনেমা: পদ্মপুরাণ)
সেরা গায়িকা: চন্দনা মজুমদার (দেখলে ছবি পাগল হবি, সিনেমা: পদ্মপুরাণ)
সেরা সুরকার: সুজেয় শ্যাম (অন্তরে অন্তর জ্বালা, সিনেমা: যৈবতী কন্যার মন)
সেরা সংগীত পরিচালক: সুজেয় শ্যাম (যৈবতী কন্যার মন)
সেরা গীতিকার: প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার (অন্তরে অন্তর জ্বালা, সিনেমা: যৈবতী কন্যার মন)
সেরা কাহিনিকার: রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনাজলের কাব্য)
সেরা চিত্রনাট্যকার: নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা সংলাপ রচয়িতা: তৌকীর আহমেদ (স্ফুলিঙ্গ)
সেরা সম্পাদক: সামির আহমেদ (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা শিল্প নির্দেশক: শিহাব নূরুন নবী (নোনাজলের কাব্য)
সেরা চিত্রগ্রাহক: সৈয়দ কাশেফ শাহবাজি, সুমন সরকার, মাজহারুল ইসলাম রাজু (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা শব্দগ্রাহক: শৈব তালুকদার (রেহানা মরিয়ম নূর)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: ইদিলা তুরিন ফরিদ (নোনাজলের কাব্য)
সেরা রূপসজ্জাকর: মো. ফারুখ, মো. ফরহাদ রেজা মিলন (লাল মোরগের ঝুঁটি)
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা: ধড় (আকা রেজা গালিব)
সেরা প্রামাণ্যচিত্র: বধ্যভূমিতে একদিন (কাওসার চৌধুরী)

ঢালিউড

সালমান শাহের প্রতি শাবনূরের শ্রদ্ধা, ‘ওপারে ভালো থেকো’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

দেশীয় সিনেমার বরপুত্র সালমান শাহ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩) সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। মাত্র ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ক্ষণজন্মা এই তারকা। এরমধ্যে ১৪টিতেই নায়িকা ছিলেন শাবনূর। নায়কের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় সালমান শাহের জীবনপ্রদীপ। আজ (৬ সেপ্টেম্বর) তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট ও পেজে লিখেছেন, ‘আজ সিনেমার রাজপুত্র সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকাই সিনেমায় বিশাল শূন্যতা তৈরি করে বিদায় নিয়েছিলেন সবার প্রিয় নায়ক সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নক্ষত্রের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। ওপারে ভালো থেকো সালমান।’

ফেসবুকে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ সিনেমায় সালমান শাহের একটি মুহূর্তের ছবি ও নিজের একটি স্থিরচিত্র শেয়ার দিয়েছেন শাবনূর। তার মতো আরো অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘স্বপ্নের নায়ক’কে স্মরণ করেছেন।

‘তোমাকে চাই’ সিনেমায় শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: সাথী ফিল্মস)

সালমান শাহ ও শাবনূর ‘তুমি আমার’ সিনেমায় প্রথমবার জুটি বাঁধেন। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালের ২২ মে। তাদের বেশিরভাগ সিনেমা ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছে। নায়কের জীবদ্দশায় এই তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সুজন সখী’ (১২ আগস্ট, ১৯৯৪), ‘বিক্ষোভ’ (৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৪), ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ (১১ মে, ১৯৯৫), ‘মহামিলন’ (২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫), ‘বিচার হবে’ (২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬), ‘তোমাকে চাই’ (২১ জুন, ১৯৯৬), ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১২ জুলাই, ১৯৯৬)।

শাবনূর ও সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহের অপমৃত্যুর পর শাবনূরের সঙ্গে তার জুটি গড়া ৬টি সিনেমা মুক্তি পায়। এগুলো হলো ‘জীবন সংসার’ (১৮ অক্টোবর, ১৯৯৬), ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (২০ ডিসেম্বর, ১৯৯৬), ‘প্রেম পিয়াসী’ (১৮ এপ্রিল, ১৯৯৭), ‘স্বপ্নের নায়ক’ (৪ জুলাই, ১৯৯৭), ‘আনন্দ অশ্রু’ (১ আগস্ট, ১৯৯৭) এবং ‘বুকের ভেতর আগুন’ (৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭)।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

সালমান শাহ আজও ভক্তদের ‘অন্তরে অন্তরে’

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

অমর নায়ক সালমান শাহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৬ বছর বয়সে নিভে যায় ক্ষণজন্মা এই তারকার জীবনপ্রদীপ। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ভক্তরা শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় স্মরণ করেন। এবারও ব্যতিক্রম নয়। 

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে দেশীয় সিনেমার এই রাজপুত্রের নামে কিছু পেজ আছে। সেগুলোর মধ্যে টিম সালমান শাহ, সালমান শাহ (ইমন) এবং সালমান শাহ স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ রানা নকীব। টিম সালমান শাহ আজ মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। ঢাকার তেঁজগাও থানার উল্টো দিকে মসজিদ বায়তুশ শরফে বাদ আসর প্রিয় নায়কের রুহের মাগফিরাত কামনা করবেন ভক্তরা।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

সালমান শাহ ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট শহরের দাড়িয়াপাড়ায় আবেহায়াত ভবনে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম চৌধুরী শাহরিয়ার ইমন। টেলিভিশনে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২৫ মার্চ সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। চিত্রনায়িকা মৌসুমীর এটি প্রথম সিনেমা ছিলো। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমেই প্লেব্যাকে অভিষেক হয় আগুনের।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

নব্বই দশকে সাড়া জাগানো ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন সালমান শাহ। দর্শকেরা এখনো এগুলো মুগ্ধ হয়ে দেখেন। ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় খ্যাতির চূঁড়ায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩ বছর ৫ মাস ১২ দিনে থেমে যায় তাঁর রুপালি ক্যারিয়ার।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

২৭টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতে শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন সালমান। এছাড়া মৌসুমী, শাহনাজ, লিমা, কাঞ্চি, শাবনাজ, বৃষ্টি ও সোনিয়ার বিপরীতে দেখা গেছে তাকে। ছাত্রনেতা, প্রতিবাদী তরুণ, গ্রামের ছেলেসহ সব চরিত্রেই তার সহজাত অভিনয় দক্ষতা ও চরিত্রের ভেতরে মিশে যাওয়ার গুণ ছিলো দারুণ।

সালমান শাহ (ছবি: ফেসবুক)

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনে নিজের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিলেটে হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন স্বপ্নের নায়ক।

পড়া চালিয়ে যান

ঢালিউড

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় বুবলী

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় গেলেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। নৌকায় চড়ে বানভাসি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ প্রসঙ্গে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন নায়িকা। 

আজ (২৯ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফেসবুকে বন্যার্তদের নিয়ে দুটি পোস্ট করেছেন বুবলী। এরমধ্যে একটিতে নোয়াখালীতে তোলা বেশ কয়েকটি স্থিরচিত্র শেয়ার করেছেন তিনি। অন্য পোস্টে তার একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যালাইনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সামনে বুবলী। পরে সেটি পৌঁছে যায় নোয়াখালীতে। এরপর নৌকায় চড়ে বন্যাদুর্গতদের দুয়ারে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে যান তিনি।

দুটি পোস্টেই বুবলী লিখেছেন, ‘বন্যার্ত মানুষগুলোকে কাছ থেকে দেখে কষ্টগুলো আরো দ্বিগুণ অনুভব হলো। আমার মতো করে সবসময় এই ভালোবাসার মানুষগুলোর কাছাকাছি থাকতে চেষ্টা করি। কারণ এটা আমার মানসিক শান্তি।’

নোয়াখালীতে বন্যাকবলিত এলাকায় শবনম বুবলী (ছবি: ফেসবুক)

বুবলী যোগ করেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে সবার একাত্মতা ও ভালোবাসায় বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য ঢাকায় প্রচুর উপহারসামগ্রী জমা হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এসব পৌঁছানো এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বন্যার পানিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খুব নাজুক অবস্থা গ্রামের দিকে।’

সবার প্রতি বুবলীর অনুরোধ, ‘বন্যার্তদের কাছে যেন তাদের প্রাপ্য উপহারসামগ্রী পৌঁছায় সেদিকে সবাই মিলে সহযোগিতা করি।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ