Connect with us

টালিউড

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে ঋত্বিক-অপি

সিনেমাওয়ালা রিপোর্টার

Published

on

(বাঁ থেকে) অপি করিম, সোহেল মণ্ডল, ঋত্বিক চক্রবর্তী ও জসীম আহমেদ (ছবি: ফেসবুক)

অভিনেত্রী অপি করিম ১৯ বছর পর আবার বড় পর্দায় হাজির হতে চলেছেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও কলকাতায় একসঙ্গে মুক্তি পেতে যাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’। গতকাল (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সনি স্কয়ারে স্টার সিনেপ্লেক্সে এর বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে। এতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন ওপার বাংলার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। তাকে ও অপিকে শুভেচ্ছা জানাতে প্রদর্শনী দেখতে গিয়েছিলেন বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা।

ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী ‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। কলকাতায় ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া এসেছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, তানভীন সুইটি, অভিনেতা মনোজ প্রামানিক, পরিচালক নূরুল আলম আতিক, আফজাল হোসেন মুন্না, ইমেল হক, সেতু আরিফ, চিত্রগ্রাহক টিডব্লিউ সৈনিকসহ অনেকে।

ঋত্বিক চক্রবর্তী ও জ্যোতিকা জ্যোতি (ছবি: ফেসবুক)

‘ভুবন মাঝি’, ‘গণ্ডি’ ও ‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার পরিচালক ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘দুর্দান্ত অভিনয় অপি করিম। চমৎকার গল্প গাঁথুনি এবং নির্মাণ। অনেক ভালোবাসা জসীম আহমেদ ভাই।’

গতকাল দিনভর সিনেমার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, অপি করিম, অভিনেতা সোহেল মণ্ডল। সবশেষে সন্ধ্যায় বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশ নেন তারা। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা। তাদের পাশে ছিলেন প্রযোজক জসীম আহমেদ।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমার প্রেস মিটে (বাঁ থেকে) জসীম আহমেদ, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অপি করিম, ও সোহেল মণ্ডল (ছবি: ফেসবুক)

২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ‘ব্যাচেলর’ ছিলো অপি করিমের প্রথম সিনেমা। এরপর আর বড় পর্দায় পাওয়া যায়নি তাকে। ‘মায়ার জঞ্জাল’ দিয়ে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন তিনি। এতে তার চরিত্রের নাম সোমা। স্বামী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে মেয়েটির সংসার। স্বামী বেকার। এ কারণে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে একটি বাসায় কেয়ারটেকারের চাকরি নেয় সে।

অপি করিম ও মনোজ প্রামানিক (ছবি: ফেসবুক)

সোমার স্বামী চাঁদু চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। গণেশ বাবু চরিত্রে ব্রাত্য বসু, বিউটির ভূমিকায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ এবং সত্য চরিত্রে আছেন সোহেল মণ্ডল। এছাড়াও দেখা যাবে কলকাতার পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শাঁওলি চট্টোপাধ্যায়, দীপক হালদার, জয়দীপ মুখার্জি, অমিত সাহা ও কমলিকা ব্যানার্জিকে। এর শুটিং হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায়।

বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ইংরেজি নাম ‘ডেব্রি অব ডিজায়ার’। ‘মায়ার জঞ্জাল’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে ভিউস অ্যান্ড ভিশনস ও কলকাতার প্রতিষ্ঠান ফ্লিপবুক।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় ঋত্বিক চক্রবর্তী ও অপি করিম (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে এটি পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী। চিত্রনাট্য লিখেছেন তিনিই। ২০১৩ সালে ‘ফড়িং’ ছিলো তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা। এরপর টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য সিনেমা ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ ও ‘ভালোবাসার শহর’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা পরিচালনা করেন তিনি। অনেক বছর পর পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা পরিচালনায় ফিরলেন কলকাতার এই প্রশংসিত নির্মাতা।

চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল সিলেকশনে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর ইউরোপিয়ান প্রিমিয়ার হয় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্মস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড বিভাগে। এরপর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জোগজা-নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান পার্সপেক্টিভস বিভাগে আমন্ত্রণ পায় এটি।

‘মায়ার জঞ্জাল’ সিনেমায় চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও সোহেল মণ্ডল (ছবি: ভিউজ অ্যান্ড ভিশনস)

এছাড়া ইতালির রোমে এশিয়াটিকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগ ‘এনকাউন্টার উইথ এশিয়ান সিনেমা’য় বেস্ট ফিচার ফিল্ম জুরি অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রেইনবো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এশিয়ান কমপিটিশনে প্রতিযোগিতা করে চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার পেয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’।

এদিকে আর্টহাউস চলচ্চিত্রের বিশ্বসেরা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুবি ডটকম’-এ (mubi.com) স্থান পেয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। অবিশ্বাস্য সুন্দর ও আকর্ষণীয় সিনেমার তালিকায় রাখা হয়েছে এটি। একই বিভাগে আছে জ্যঁ লুক-গদার, ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, মার্টিন স্করসেসি, কোয়েন্টিন টারান্টিনো, রোমান পোলানস্কি, ডেভিড ফিঞ্চার, ফ্রাঁসোয়া ক্রুফোর মতো খ্যাতিমান নির্মাতাদের মাস্টারপিস সিনেমা।

টালিউড

ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলো ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ও ‘অপরাজিত’

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘কাবেরী অন্তর্ধান’ সিনেমায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (ছবি: সুরিন্দর ফিল্মস)

ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশিত হলো। সেরা বাংলা সিনেমার পুরস্কার জিতেছে কৌশিক গাঙ্গুলী পরিচালিত ‘কাবেরি অন্তর্ধান’ (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়)। অনিক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ জিতেছে সেরা শিল্প নির্দেশনা ও সেরা রূপসজ্জার পুরস্কার। এতে তুলে ধরা হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি।

গতকাল (১৬ আগস্ট) নয়াদিল্লির ন্যাশনাল মিডিয়া সেন্টারে ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় সিনেমার মধ্য থেকে সেরাদের তালিকা ঘোষণা করা হয়। এবার যৌথভাবে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন নিত্যা মেনন ও মানসী পারেখ। ‘কান্তারা’ সিনেমার সুবাদে সেরা অভিনেতার স্বীকৃতি পেয়েছেন কান্নাডা তারকা ঋষভ শেঠি। হিন্দি সিনেমা ‘উনচাই’ নির্মাণের জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন সুরজ বরজাতিয়া। তার সিনেমার সুবাদে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হয়েছেন নীনা গুপ্তা।

‘অপরাজিত’ সিনেমায় জিতু কমল (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন্স)

সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমাসহ সেরা চিত্রনাট্য ও সেরা সম্পাদনা শাখার পুরস্কার পেয়েছে মালায়লাম ভাষায় নির্মিত ‘আত্মাম’। চারটি করে পুরস্কার জিতেছে রণবীর কাপুর-আলিয়া ভাট জুটির ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা’ ও মনিরত্নম পরিচালিত ‘পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান’। ‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা’ সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘কেসারিয়া’র জন্য সেরা গায়ক হয়েছেন অরিজিৎ সিং। সিনেমাটির গানের জন্য সেরা সুরকার হয়েছেন প্রীতম।

১৯৫৪ সাল থেকে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ইতিহাসে সর্বাধিক আটটি পুরস্কার জিতেছে আমির খান অভিনীত ‘লগান’ (২০০২)।

‘ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা’ সিনেমায় আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুর (ছবি: ধর্মা প্রোডাকশন্স)

ভারতের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিজয়ী তালিকা
সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা: আত্মাম (মালায়লাম)
সেরা অভিনেতা: ঋষভ শেঠি (কান্তারা)
সেরা অভিনেত্রী: মানসী পারেখ (কুছ এক্সপ্রেস), নিত্যা মেনেন (তিরুচিত্রাম্বালাম)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা: পবন মালহোত্রা (ফৌজা)
সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী: নীনা গুপ্তা (উনচাই)
সেরা পরিচালক: সুরজ বরজাতিয়া (উনচাই)
সেরা নবাগত পরিচালক: প্রমোদ কুমার (ফৌজা)
সেরা বিনোদনমূলক জনপ্রিয় সিনেমা: কান্তারা (কান্নাডা)
সেরা জাতীয় সংহতিমূলক সিনেমা: কুছ এক্সপ্রেস (গুজরাটি)
সেরা শিশুশিল্পী: শ্রীপাঠ (মল্লিকাপ্পুরাম)
সেরা চিত্রনাট্য: আনন্দ একার্ষি (আত্মাম)
সেরা সংলাপ রচয়িতা: অর্পিতা মুখার্জি, রাহুল ভি ছিত্তেলা (গুলমোহর)
সেরা সংগীত পরিচালক (গান): প্রীতম চক্রবর্তী (ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা)
সেরা সংগীত পরিচালক (আবহ সংগীত): এআর রাহমান (পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান)
সেরা গায়ক: অরিজিৎ সিং (কেসারিয়া, ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা)
সেরা গায়িকা: বোম্বে জয়শ্রী (সৌদি ভেলাক্কা)
সেরা গীতিকবি: নওশাদ সরদার খান (ফৌজা)
সেরা নৃত্য পরিচালক: জানি মাস্টার, সতীশ কৃষ্ণান (তিরুচিত্রাম্বালাম)
সেরা চিত্রগ্রাহক: রবি বর্মণ (পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান)
সেরা পোশাক পরিকল্পনা: নিকি জোশি (কুছ এক্সপ্রেস)
সেরা ভিএফএক্স: ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা
সেরা শিল্প নির্দেশনা: আনন্দ আধ্যা (অপরাজিত)
সেরা সম্পাদনা: মহেশ ভুবনেন্দ (আত্মাম)
সেরা রূপসজ্জা: সোমনাথ কুন্ডু (অপরাজিত)
সেরা শব্দসজ্জা: আনন্দ কৃষ্ণমূর্তি (পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান)
সেরা অ্যাকশন পরিচালনা: আনবুমানি ও আরিভুমানি (কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু)
স্পেশাল মেনশন: অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী (গুলমোহর), সংগীত পরিচালক সঞ্জয় সলিল চৌধুরী (কাধিকান)
সেরা সিনেমা (অ্যানিমেশন, ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস গেমিং ও কমিক): ব্রহ্মাস্ত্র: পার্ট ওয়ান–শিবা
সেরা হিন্দি সিনেমা: গুলমোহর
সেরা বাংলা সিনেমা: কাবেরি অন্তর্ধান (কৌশিক গাঙ্গুলি)
সেরা কান্নাডা সিনেমা: কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু
সেরা মালায়লাম সিনেমা: সৌদি ভেলাক্কা
সেরা তামিল সিনেমা: পন্নিয়িন সেলভান: ওয়ান
সেরা তেলুগু সিনেমা: কার্তিকেয়া টু
সেরা মারাঠি সিনেমা: ভালভি
সেরা অসমিয়া সিনেমা: এমুথি পুথি
সেরা ওড়িয়া সিনেমা: দামান
সেরা পাঞ্জাবি সিনেমা: বাঘি দি ধী
সেরা তিওয়া সিনেমা: সিকায়সাল

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

শুটিংয়ে এসেই মনামীকে ‘গিন্নি’ ডাকতেন চঞ্চল

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

‘পদাতিক’ ছবির একটি দৃশ্যে মনামী ঘোষ ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিশেন্স)

সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘পদাতিক’ সিনেমায় ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনামী ঘোষ। মৃণাল সেনের ভূমিকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। এবারই প্রথম জুটি বেঁধেছেন তারা। সিনেমাটির ট্রেলারে তাদের রসায়নের কিঞ্চিৎ দেখা গেছে।

মৃণাল সেনের বায়োপিকে চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করে কেমন লেগেছে? পশ্চিমবঙ্গের একটি সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের উত্তরে মনামী বলেন, “চঞ্চল চৌধুরী খুবই ভালো মানুষ। ফ্লোরে শটের ফাঁকে আমরা একসঙ্গে চিত্রনাট্য পড়তাম। এর মধ্যেই ফ্লোরে টুকটাক আড্ডা হতো। মনে আছে, সকালে ফ্লোরে এসেই আমার দিকে তাকিয়ে বলতেন, ‘গুড মর্নিং, গিন্নি। কেমন আছো?’ সবসময় তিনি চরিত্রের মধ্যে থাকতেন।”

গত ৪ আগস্ট প্রকাশিত হয় ‘পদাতিক’ সিনেমার প্রায় ৩ মিনিট দৈর্ঘ্যের ট্রেলার। এতে বিভিন্ন দৃশ্যে মৃণাল সেনের ভূমিকায় চঞ্চলের অভিনয় দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইউটিউবে ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন্সের চ্যানেলে মন্তব্যের ঘর জুড়ে তার প্রশংসা। ‘পদাতিক’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে।

চঞ্চল চৌধুরী ও মনামী ঘোষ (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

ট্রেলারের শুরুতে দেখা যায় বিদেশে সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালী’র প্রশংসিত হওয়ার দৃশ্য। এতে সত্যজিতের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে জিতু কমলকে। এটি অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ (২০২২) থেকে নেওয়া। সেই সিনেমায় ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির নেপথ্য কাহিনি তুলে ধরা হয়। ‘অপরাজিত’ ও ‘পদাতিক’ দুটি সিনেমারই প্রযোজক ফিরদাউসুল হাসান।

মৃণাল সেন ও চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

পশ্চিমবঙ্গে ‘পদাতিক’ই চঞ্চল চৌধুরীর প্রথম সিনেমা। এতে মধ্যবয়সী ও পূর্ণবয়স্ক মৃণাল সেন রূপে চঞ্চলকে আর তরুণ মৃণাল সেনের ভূমিকায় থাকছেন সামন্ত কোরাক। ট্রেলারের সবশেষে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন কোরাক সামন্ত। মৃণাল-গীতার একমাত্র পুত্র কুণাল সেনের চরিত্রে আছেন সম্রাট চক্রবর্তী। আরেক কিংবদন্তি ফিল্মমেকার ঋত্বিক ঘটকের ভূমিকায় থাকছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী।

‘পদাতিক’ সিনেমার পোস্টারে চঞ্চল চৌধুরী ও কোরাক সামন্ত (ছবি: ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন)

সিনেমার নামটি মৃণাল সেনের বিখ্যাত ট্রিলজির একটি পর্ব থেকে নেওয়া। কলকাতা শহরকে নিয়ে ট্রিলজি নির্মাণ করেন তিনি। এগুলো হলো ‘ইন্টারভিউ’ (১৯৭১), ‘কলকাতা ৭১’ (১৯৭১) এবং ‘পদাতিক’ (১৯৭৩)। সিনেমায় মৃণাল সেনের শৈশব থেকে শুরু করে ফিল্মমেকিংয়ে আসার ঘটনা ও ব্যক্তিজীবনের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

‘পদাতিক’ সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরী (ছবি: ফেসবুক)

কলকাতা ও মুম্বাই ছাড়াও ভারতের বাইরে কিছু দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়েছে। ফ্রেন্ডস কমিউনিকেশন এবং বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন্স হাউসের ব্যানারে এটি প্রযোজনা করেছেন ফিরদাউসুল হাসান ও প্রবাল হালদার। সহ-প্রযোজনায় শুভজিৎ মণ্ডল। নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার পেয়েছে ‘পদাতিক’।

সিনেমাটির মাধ্যমে প্রথমবার একসঙ্গে গেয়েছেন ভারতের জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী সনু নিগাম ও অরিজিৎ সিং। এতে ব্যবহার হয়েছে প্রয়াত সলিল চৌধুরীর সুর। এছাড়া রবীন্দ্রসংগীত গেয়েছেন কবীর সুমন, রূপঙ্কর বাগচী, সাহানা বাজপেয়ী, দেবায়ন ব্যানার্জি। আবহ সংগীত করেছেন ইন্দ্রদীপ দাসগুপ্ত।

পড়া চালিয়ে যান

টালিউড

রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলায় ছাত্র আন্দোলন নিয়ে স্বস্তিকার প্রশ্ন

সিনেমাওয়ালা ডেস্ক

Published

on

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

বাংলাদেশের কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের প্রতি এবং এক রিকশাচালকের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন তিনি। তবে শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ হওয়ার পর ঘটে যাওয়া একের পর এক নাশকতার কারণে এই গণবিক্ষোভকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন নায়িকা। বিশেষ করে জলের গান ব্যান্ডের সংগীতশিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলার বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া সমালোচনা করেছেন ৪৩ বছর বয়সী এই তারকা।

গতকাল (৮ আগস্ট) ইনস্টাগ্রামে স্বস্তিকা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন গুলি ও মার খেয়েছেন তখন দেশটির নাগরিক না হয়েও তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু দুই দিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, নারীদের নিগ্রহ করা হচ্ছে। এমনকি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুণী শিল্পী রাহুলের (রাহুল আনন্দ) বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এই দায় বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে নিতে হবে। নিতে হবে তামাম বাংলাদেশিদের।’

স্বস্তিকা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এসবই কি ছিলো কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য? মুক্তিযুদ্ধ তো জেনেছিলাম সকল বাংলাভাষী মানুষের প্রাণের মূল্যের সমান। কীভাবে আপনারা একজন স্বৈরশাসককে হটাতে গিয়ে এই মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করলেন? আপনারা সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলেছিলেন। তার প্রথম শর্ত একটি দেশের সংখ্যালঘুদের প্রাণ, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা। সেসব ব্যর্থ হলো।’

রাহুল আনন্দ (ছবি: ফেসবুক)

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবি করে স্বস্তিকা যোগ করেন, ‘পালাবদলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আপনারা, সবার আগে বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রাণ বুক দিয়ে রক্ষা করুন।’

স্বস্তিকা মুখার্জি (ছবি: ইনস্টাগ্রাম)

সবশেষে নায়িকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘আপনাদের স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেবেন না। তরুণদের ত্যাগকে ব্যবহার করে কোনো শক্তি যেন গণহত্যা না চালায়। সেই দায়দায়িত্বও আপনাদের। বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, সংখ্যালঘুদের অধিকার ফিরুক যত শিগগিরই সম্ভব।’

পড়া চালিয়ে যান
Advertisement

সিনেমাওয়ালা প্রচ্ছদ